alt

সম্পাদকীয়

নদীর তীরের মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফেরিঘাটের উত্তরদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত এলাকার অন্তত পাঁচটি ভেকু দিয়ে প্রতি রাতেই চলে এ মাটি কাটা। বর্ষার শুরুর দিকে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযুক্তরা বলছে, আমরা যার যার বিটে মাটি কাটছি, রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা যায়। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, অবৈধ মাটি কাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। উপজেলা প্রশাসন বলেছে, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বৈধভাবে বা রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা হলে রাতের আঁধারে কাটার দরকার কি। আর মাটি কাটার যদি বৈধতাই থাকে তাহলে বিআইডব্লিউটিএসহ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথাই বা বলবে কেন? একদিকে বলা হচ্ছে রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটছি, অন্যদিকে বলা হচ্ছে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন সব কথার ‘ফাঁকে’ যমুনার তীরের মাটি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। নদীর প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, অবকাঠামোসহ জনসাধারণকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

দিনের পর দিন এলাকার চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী মাটি কেটে নিচ্ছে, অথচ তাদের ধরা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতের বেলায় আমরা যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পালিয়ে যায় কীভাবে, আর পালিয়ে থাকে কোথায়। তাদের কী আর হদিস পাওয়া যায় না? মাটি কাটা তো অদৃশ্য কোন কাজ নয়, যে এটা চোখে দেখা যায় না। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।

শুধু পাটুরিয়া নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ই এভাবে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। অনেক জায়গাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পাটুরিয়াতেও এমন কোন যোগসাজশ আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। ব্যবস্থা নিচ্ছি, অভিযান অব্যাহত আছে-এমন গতানুগতিক কথা না বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর তীরে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

নদীর তীরের মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফেরিঘাটের উত্তরদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত এলাকার অন্তত পাঁচটি ভেকু দিয়ে প্রতি রাতেই চলে এ মাটি কাটা। বর্ষার শুরুর দিকে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযুক্তরা বলছে, আমরা যার যার বিটে মাটি কাটছি, রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা যায়। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, অবৈধ মাটি কাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। উপজেলা প্রশাসন বলেছে, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বৈধভাবে বা রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা হলে রাতের আঁধারে কাটার দরকার কি। আর মাটি কাটার যদি বৈধতাই থাকে তাহলে বিআইডব্লিউটিএসহ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথাই বা বলবে কেন? একদিকে বলা হচ্ছে রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটছি, অন্যদিকে বলা হচ্ছে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন সব কথার ‘ফাঁকে’ যমুনার তীরের মাটি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। নদীর প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, অবকাঠামোসহ জনসাধারণকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।

দিনের পর দিন এলাকার চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী মাটি কেটে নিচ্ছে, অথচ তাদের ধরা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতের বেলায় আমরা যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পালিয়ে যায় কীভাবে, আর পালিয়ে থাকে কোথায়। তাদের কী আর হদিস পাওয়া যায় না? মাটি কাটা তো অদৃশ্য কোন কাজ নয়, যে এটা চোখে দেখা যায় না। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।

শুধু পাটুরিয়া নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ই এভাবে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। অনেক জায়গাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পাটুরিয়াতেও এমন কোন যোগসাজশ আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।

অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। ব্যবস্থা নিচ্ছি, অভিযান অব্যাহত আছে-এমন গতানুগতিক কথা না বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর তীরে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।

back to top