চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন নদীসহ উপকূলজুড়ে মশারি জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি পোনা। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এ পোনা ধরা হয় বলে জানা গেছে। এতে চিংড়ির পাশাপাশি কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে উপকূলীয় নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে ৪৬২টি প্রজাতির মাছের পোনা নষ্ট করছে জেলেরা। এতে বঙ্গোপসাগরের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একটি পোনার হিসাব থেকেই বোঝা যায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতটা হতে পারে। শুধু মিরসরাইয়ে নয় বরং উপকূলের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন নদীতেই অবাধে চলে এমন পোনা নিধন।
চিংড়ি পোনা আহরণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার কোন কার্যকর প্রতিকার নেই। যদিও এটি বন্ধে আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। ২০০১ সালের মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন প্রজনন মৌসুম। এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতিও রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আইন ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোকবল সংকটের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। যেমনটা জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। অবৈধভাবে চিংড়ি পোনা আহরণের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার।
শুধু মিরসরাইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই নয় বরং সারাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উত্তর একই রকম। প্রয়োজনীয় সামর্থ্যরে অভাব রয়েছে, লোকবল সংকট, এ বিষয়ে অবগত নই, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযান চালানো হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে- ইত্যাদি গতানুগতিক বা মুখস্ত কিছু উত্তর দিয়ে থাকেন তারা। কার্যকর কিংবা স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না- লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ বা অভিযান ছাড়া।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে জনবল বা সামর্থ্য আছে তার সঠিক ব্যবহার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করছে কিনা। তা ব্যবহার করে যদি একটি পোনাও রক্ষা করা যেত তাহলেও সমুদ্র উপকূলের প্রায় ৪৬২ প্রজাতির পোনা রক্ষা পেত। নাকি একটি চিংড়ির পোনা রক্ষা করার মতো জনবল বা সামর্থ্যও তাদের নেই?
শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন নদীসহ উপকূলজুড়ে মশারি জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি পোনা। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এ পোনা ধরা হয় বলে জানা গেছে। এতে চিংড়ির পাশাপাশি কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে উপকূলীয় নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে ৪৬২টি প্রজাতির মাছের পোনা নষ্ট করছে জেলেরা। এতে বঙ্গোপসাগরের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একটি পোনার হিসাব থেকেই বোঝা যায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতটা হতে পারে। শুধু মিরসরাইয়ে নয় বরং উপকূলের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন নদীতেই অবাধে চলে এমন পোনা নিধন।
চিংড়ি পোনা আহরণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার কোন কার্যকর প্রতিকার নেই। যদিও এটি বন্ধে আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। ২০০১ সালের মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন প্রজনন মৌসুম। এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতিও রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আইন ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোকবল সংকটের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। যেমনটা জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। অবৈধভাবে চিংড়ি পোনা আহরণের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার।
শুধু মিরসরাইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই নয় বরং সারাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উত্তর একই রকম। প্রয়োজনীয় সামর্থ্যরে অভাব রয়েছে, লোকবল সংকট, এ বিষয়ে অবগত নই, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযান চালানো হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে- ইত্যাদি গতানুগতিক বা মুখস্ত কিছু উত্তর দিয়ে থাকেন তারা। কার্যকর কিংবা স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না- লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ বা অভিযান ছাড়া।
প্রশ্ন হচ্ছে, যে জনবল বা সামর্থ্য আছে তার সঠিক ব্যবহার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করছে কিনা। তা ব্যবহার করে যদি একটি পোনাও রক্ষা করা যেত তাহলেও সমুদ্র উপকূলের প্রায় ৪৬২ প্রজাতির পোনা রক্ষা পেত। নাকি একটি চিংড়ির পোনা রক্ষা করার মতো জনবল বা সামর্থ্যও তাদের নেই?