alt

সম্পাদকীয়

এবার কি জলাবদ্ধতা থেকে রাজধানীবাসীর মুক্তি মিলবে

: রোববার, ১৯ জুন ২০২২

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। মিরপুর, ধানমন্ডি, মহাখালী, বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন সড়কে পানি ছিল কোমরসমান। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই মেয়র অনেক আশার কথাই শুনিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এবার ঢাকায় ৭০ শতাংশ কম জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। তিনি আরও বলেছিলেন, রাজধানীর সড়ক থেকে পানি আধঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়া হবে। এবারের বর্ষায় মেয়রদের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাই দেখার বিষয়।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করার দায়িত্ব এখন আর ঢাকা ওয়াসার নেই। একসময় এই সংস্থার হাতে জলবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল। তাদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে সেই দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেয়েছে। সেই হিসেবে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য তারা দেড় বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। কিছু কাজ তারা করেছেও। এসব কাজের সুফল মিলছে কি না, তার বিচার করবেন নাগরিকরা।

রাজধানীর বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খাল। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। চারপাশের নদীগুলোও দখল-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এখানে প্রয়োজনের তুলনায় জলাশয় কম। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। কাজেই জলাবদ্ধতা দূর করার কাজটা চ্যালেঞ্জিং।

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারই মূল ভরসা। সমস্যা হচ্ছে এ কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা শুধু দেখতে চাই, রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করার যে প্রতিশ্রুতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তা রক্ষা করা হচ্ছে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

tab

সম্পাদকীয়

এবার কি জলাবদ্ধতা থেকে রাজধানীবাসীর মুক্তি মিলবে

রোববার, ১৯ জুন ২০২২

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। মিরপুর, ধানমন্ডি, মহাখালী, বাড্ডাসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন সড়কে পানি ছিল কোমরসমান। এ কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই মেয়র অনেক আশার কথাই শুনিয়েছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, এবার ঢাকায় ৭০ শতাংশ কম জলাবদ্ধতা দেখা দেবে। তিনি আরও বলেছিলেন, রাজধানীর সড়ক থেকে পানি আধঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়া হবে। এবারের বর্ষায় মেয়রদের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়ন হয় সেটাই দেখার বিষয়।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করার দায়িত্ব এখন আর ঢাকা ওয়াসার নেই। একসময় এই সংস্থার হাতে জলবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল। তাদের ধারাবাহিক ব্যর্থতার কারণে সেই দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেয়েছে। সেই হিসেবে জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য তারা দেড় বছরেরও বেশি সময় পেয়েছে। কিছু কাজ তারা করেছেও। এসব কাজের সুফল মিলছে কি না, তার বিচার করবেন নাগরিকরা।

রাজধানীর বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খাল। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। চারপাশের নদীগুলোও দখল-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এখানে প্রয়োজনের তুলনায় জলাশয় কম। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। কাজেই জলাবদ্ধতা দূর করার কাজটা চ্যালেঞ্জিং।

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারই মূল ভরসা। সমস্যা হচ্ছে এ কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আমরা শুধু দেখতে চাই, রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করার যে প্রতিশ্রুতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তা রক্ষা করা হচ্ছে।

back to top