দেশে ছত্রাকজনিত রোগ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে রোগীদের অসচেতনতা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের অবিবেচনাপ্রসূত ওষুধ প্রয়োগ। গত শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব-প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় হাতেগোনা কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সমস্যা হচ্ছেÑ রোগীরা ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করেন না।
আবার রোগাক্রান্ত অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে প্রায়ই স্টেরয়েডমিশ্রিত ওষুধ দেয়া হয়। এর ফলে রোগ নিরাময় হয় না। অন্যদিকে ছত্রাক হয়ে ওঠে ওষুধ প্রতিরোধী। ফলে সাধারণ রোগও অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে। তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা দেশের বড় একটি সমস্যা। কেবল ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রেই নয়, আরো অনেক রোগের চিকিৎসার জন্যও মানুষ স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিছু ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা খেয়ালখুশি মতো ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। রোগীদেরও সচেতন হতে হবে।
একশ্রেণীর রোগী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে চান না কেন সেটাও জানা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে-অনেকেরই চিকিৎসকের ফি দেয়া বা চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া-আসার ব্যয় বহনের সামর্থ্য নেই। সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবার মান নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এসব সমস্যার কীভাবে সমাধান করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় জাতীয়ভাবে নির্দেশিকা থাকা দরকার। তাহলে এ রোগের চিকিৎসায় অনিয়ম দূর হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখবেন- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।
সোমবার, ২০ জুন ২০২২
দেশে ছত্রাকজনিত রোগ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে রোগীদের অসচেতনতা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের অবিবেচনাপ্রসূত ওষুধ প্রয়োগ। গত শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব-প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় হাতেগোনা কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সমস্যা হচ্ছেÑ রোগীরা ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করেন না।
আবার রোগাক্রান্ত অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে প্রায়ই স্টেরয়েডমিশ্রিত ওষুধ দেয়া হয়। এর ফলে রোগ নিরাময় হয় না। অন্যদিকে ছত্রাক হয়ে ওঠে ওষুধ প্রতিরোধী। ফলে সাধারণ রোগও অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে। তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা দেশের বড় একটি সমস্যা। কেবল ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রেই নয়, আরো অনেক রোগের চিকিৎসার জন্যও মানুষ স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিছু ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা খেয়ালখুশি মতো ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। রোগীদেরও সচেতন হতে হবে।
একশ্রেণীর রোগী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে চান না কেন সেটাও জানা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে-অনেকেরই চিকিৎসকের ফি দেয়া বা চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া-আসার ব্যয় বহনের সামর্থ্য নেই। সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবার মান নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এসব সমস্যার কীভাবে সমাধান করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় জাতীয়ভাবে নির্দেশিকা থাকা দরকার। তাহলে এ রোগের চিকিৎসায় অনিয়ম দূর হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখবেন- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।