alt

সম্পাদকীয়

ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে

: সোমবার, ২০ জুন ২০২২

দেশে ছত্রাকজনিত রোগ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে রোগীদের অসচেতনতা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের অবিবেচনাপ্রসূত ওষুধ প্রয়োগ। গত শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব-প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় হাতেগোনা কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সমস্যা হচ্ছেÑ রোগীরা ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করেন না।

আবার রোগাক্রান্ত অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে প্রায়ই স্টেরয়েডমিশ্রিত ওষুধ দেয়া হয়। এর ফলে রোগ নিরাময় হয় না। অন্যদিকে ছত্রাক হয়ে ওঠে ওষুধ প্রতিরোধী। ফলে সাধারণ রোগও অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে। তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা দেশের বড় একটি সমস্যা। কেবল ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রেই নয়, আরো অনেক রোগের চিকিৎসার জন্যও মানুষ স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিছু ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা খেয়ালখুশি মতো ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। রোগীদেরও সচেতন হতে হবে।

একশ্রেণীর রোগী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে চান না কেন সেটাও জানা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে-অনেকেরই চিকিৎসকের ফি দেয়া বা চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া-আসার ব্যয় বহনের সামর্থ্য নেই। সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবার মান নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এসব সমস্যার কীভাবে সমাধান করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় জাতীয়ভাবে নির্দেশিকা থাকা দরকার। তাহলে এ রোগের চিকিৎসায় অনিয়ম দূর হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখবেন- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসা প্রসঙ্গে

সোমবার, ২০ জুন ২০২২

দেশে ছত্রাকজনিত রোগ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে রোগীদের অসচেতনতা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকদের অবিবেচনাপ্রসূত ওষুধ প্রয়োগ। গত শুক্রবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘ছত্রাকের প্রাদুর্ভাব-প্রয়োজন সঠিক ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব কথা বলেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় হাতেগোনা কিছু ওষুধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধ ব্যবহার করলে রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সমস্যা হচ্ছেÑ রোগীরা ব্যবস্থাপত্র মেনে ওষুধের কোর্স সম্পন্ন করেন না।

আবার রোগাক্রান্ত অনেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। সেখান থেকে প্রায়ই স্টেরয়েডমিশ্রিত ওষুধ দেয়া হয়। এর ফলে রোগ নিরাময় হয় না। অন্যদিকে ছত্রাক হয়ে ওঠে ওষুধ প্রতিরোধী। ফলে সাধারণ রোগও অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে। তখন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পক্ষেও তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা দেশের বড় একটি সমস্যা। কেবল ছত্রাকজনিত রোগের ক্ষেত্রেই নয়, আরো অনেক রোগের চিকিৎসার জন্যও মানুষ স্থানীয় ফার্মেসির শরণাপন্ন হন। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ কেনাবেচা বন্ধের বিষয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কিছু ওষুধ ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তা বন্ধ হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যারা খেয়ালখুশি মতো ওষুধ বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। রোগীদেরও সচেতন হতে হবে।

একশ্রেণীর রোগী চিকিৎসার জন্য চিকিৎসাকেন্দ্রে যেতে চান না কেন সেটাও জানা জরুরি। বাস্তবতা হচ্ছে-অনেকেরই চিকিৎসকের ফি দেয়া বা চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া-আসার ব্যয় বহনের সামর্থ্য নেই। সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবার মান নিয়ে মানুষের মনে অসন্তোষ রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি। এসব সমস্যার কীভাবে সমাধান করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

চিকিৎসকরা বলছেন, ছত্রাকজনিত রোগের চিকিৎসায় জাতীয়ভাবে নির্দেশিকা থাকা দরকার। তাহলে এ রোগের চিকিৎসায় অনিয়ম দূর হতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখবেন- সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

back to top