দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে গড়ে প্রায় ১৬ ডলার। যে কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন শত কোটি টাকার উপর লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।
জ্বালানি তেলে দাম আবারও বাড়তে পারে এমন খবরে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তেলের দাম বাড়া মানে জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়া। ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষি খাতে সেচ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে উৎপাদন খরচ। এর ঘানি শেষ পর্যন্ত ভোক্তাসাধারণকেই টানতে হয়।
গাড়ি ভাড়া বাড়বে। ফলে পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতের খরচ বেড়ে যাবে। তেলের দাম বাড়াতে না বাড়াতেই গণপরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করেন। এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়ায় বিপিসিকে এখন বাড়তি পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাড়তি ব্যয় কোথা থেকে হচ্ছে। সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সঙ্গে ব্যবসা করছে কিনা।
এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, বিপিসি আসলে লোকসান করছে না, তার মুনাফা কমছে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ভার কতদিন সংস্থাটি বইতে পারবে সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সরকারের এই লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়।
বিপিসিকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার লোকসান থেকে রক্ষা করতে হলে জনগণের ঘাড়ে যে পরিমাণ বোঝা চাপাতে হবে তার আর্থিক মূল্য কী সেটাও ভেবে দেখতে হবে। সরাসরি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে কী প্রভাব পড়বে, তেলের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিলে কী লাভ-ক্ষতি তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিবেচনা করে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা। এজন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।
মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে গড়ে প্রায় ১৬ ডলার। যে কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন শত কোটি টাকার উপর লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।
জ্বালানি তেলে দাম আবারও বাড়তে পারে এমন খবরে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তেলের দাম বাড়া মানে জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়া। ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষি খাতে সেচ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে উৎপাদন খরচ। এর ঘানি শেষ পর্যন্ত ভোক্তাসাধারণকেই টানতে হয়।
গাড়ি ভাড়া বাড়বে। ফলে পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতের খরচ বেড়ে যাবে। তেলের দাম বাড়াতে না বাড়াতেই গণপরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করেন। এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়ায় বিপিসিকে এখন বাড়তি পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাড়তি ব্যয় কোথা থেকে হচ্ছে। সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সঙ্গে ব্যবসা করছে কিনা।
এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, বিপিসি আসলে লোকসান করছে না, তার মুনাফা কমছে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ভার কতদিন সংস্থাটি বইতে পারবে সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সরকারের এই লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়।
বিপিসিকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার লোকসান থেকে রক্ষা করতে হলে জনগণের ঘাড়ে যে পরিমাণ বোঝা চাপাতে হবে তার আর্থিক মূল্য কী সেটাও ভেবে দেখতে হবে। সরাসরি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে কী প্রভাব পড়বে, তেলের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিলে কী লাভ-ক্ষতি তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিবেচনা করে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা। এজন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।