alt

সম্পাদকীয়

চাই টেকসই বন্যা ব্যবস্থাপনা

: বুধবার, ২২ জুন ২০২২

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। সেখানে বন্যা কেন ভয়াবহ আকার ধারণ করল তার কারণ খুঁজছেন অনেকে। প্রতিবেশী দেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিই কি এর একমাত্র কারণ নাকি এর পেছনে নিজেদেরও কোন দায় আছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ভাটির দেশে বন্যা হবে সেটা স্বাভাবিক। এটা বাংলাদেশের চিরচেনা এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে বন্যা শুধু আমাদের জন্য দুঃখ-কষ্টই বয়ে আনে না। এর সঙ্গে আসা পলিমাটি কৃষিজমিকে উর্বর করে, তাতে ফসলের ফলন বাড়ে।

প্রশ্ন হচ্ছে বন্যা মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত কিনা। শুধু আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করলে আর বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণ করলেই দায় মিটে যায় না বলে আমরা মনে করি। বন্যা ব্যবস্থাপনায় আরো অনেক করণীয় আছে। সবচেয়ে জরুরি করণীয়টা হচ্ছে, বন্যার পানিকে সাগরে পৌঁছার সুব্যবস্থা রাখা। এজন্য নদ-নদী, হাওর, বিলসহ সবধরনের জলাশয়কে প্রস্তুত রাখা।

সমস্যা হচ্ছে, জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এমনকি নদ-নদী পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো যেসব নদ-নদী টিকে আছে সেগুলোর গভীরতা কমছে। পলি পড়ে যেমন এর গভীরতা কমে। আবার মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকান্ডের কারণেও সেটা কমে। নানাভাবে মানুষ নদ-নদী ভরাট ও দখল করছে।

অভিযোগ উঠেছে, নদ-নদী ও হাওরে সরকার অনেক অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। বন্যার পানি কীভাবে নামবে সেটা বিবেচনায় না নিয়েই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব বাঁধ ফসল রক্ষা করতে পারছে না বরং বন্যার পানি ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এসব কারণে সিলেট অঞ্চলে এবার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

সিলেটে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের কুফল সরকারও বুঝতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হবে। অবকাঠামোগুলোও সেভাবে তৈরি করতে হবে। তিনি নদ-নদীর গভীরতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্টরা তার কথার মর্ম উপলব্ধি করবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

বন্যা আগামীতেও হবে। এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবেশ-প্রকৃতিকে রক্ষা করে বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। নদ-নদীকে বাদ দিয়ে বন্যা ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করা যাবে না।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

চাই টেকসই বন্যা ব্যবস্থাপনা

বুধবার, ২২ জুন ২০২২

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ডুবেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। সেখানে বন্যা কেন ভয়াবহ আকার ধারণ করল তার কারণ খুঁজছেন অনেকে। প্রতিবেশী দেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিই কি এর একমাত্র কারণ নাকি এর পেছনে নিজেদেরও কোন দায় আছে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

ভাটির দেশে বন্যা হবে সেটা স্বাভাবিক। এটা বাংলাদেশের চিরচেনা এক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে বন্যা শুধু আমাদের জন্য দুঃখ-কষ্টই বয়ে আনে না। এর সঙ্গে আসা পলিমাটি কৃষিজমিকে উর্বর করে, তাতে ফসলের ফলন বাড়ে।

প্রশ্ন হচ্ছে বন্যা মোকাবিলায় আমরা যথেষ্ট প্রস্তুত কিনা। শুধু আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করলে আর বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণ করলেই দায় মিটে যায় না বলে আমরা মনে করি। বন্যা ব্যবস্থাপনায় আরো অনেক করণীয় আছে। সবচেয়ে জরুরি করণীয়টা হচ্ছে, বন্যার পানিকে সাগরে পৌঁছার সুব্যবস্থা রাখা। এজন্য নদ-নদী, হাওর, বিলসহ সবধরনের জলাশয়কে প্রস্তুত রাখা।

সমস্যা হচ্ছে, জলাশয়ের সংখ্যা দিন দিন কমছে। এমনকি নদ-নদী পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে। এখনো যেসব নদ-নদী টিকে আছে সেগুলোর গভীরতা কমছে। পলি পড়ে যেমন এর গভীরতা কমে। আবার মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকান্ডের কারণেও সেটা কমে। নানাভাবে মানুষ নদ-নদী ভরাট ও দখল করছে।

অভিযোগ উঠেছে, নদ-নদী ও হাওরে সরকার অনেক অপরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। বন্যার পানি কীভাবে নামবে সেটা বিবেচনায় না নিয়েই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এসব বাঁধ ফসল রক্ষা করতে পারছে না বরং বন্যার পানি ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এসব কারণে সিলেট অঞ্চলে এবার বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।

সিলেটে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের কুফল সরকারও বুঝতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেই চলতে হবে। অবকাঠামোগুলোও সেভাবে তৈরি করতে হবে। তিনি নদ-নদীর গভীরতা বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্টরা তার কথার মর্ম উপলব্ধি করবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।

বন্যা আগামীতেও হবে। এবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবেশ-প্রকৃতিকে রক্ষা করে বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। নদ-নদীকে বাদ দিয়ে বন্যা ব্যবস্থাপনাকে টেকসই করা যাবে না।

back to top