বিশ্ববাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। জানা গেছে, তিন মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টনে কমেছে ২০০ থেকে ৪৯০ ডলার। কমেছে পাম তেলের দামও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীতেও ভোজ্যতেলের এই দরপতন অব্যাহত থাকবে। কারণ এর উৎপাদন বেড়েছে, সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে এবং চাহিদা কমেছে।
ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে এর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে দাম পুনর্নির্ধারণের কোন উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দাবি উঠেছে।
আমদানি করতে হয় এমন কোনো পণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়লে দেশে তার দাম সমন্বয়ের কাজে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ আর তৎপরতা যতটা দেখা যায় দাম কমার সময় ততটা দেখা যায় না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, তারা ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় আদৌ আন্তরিক কিনা।
শুধু ভোজ্যতেলই নয়, আরও অনেক আমদানি পণ্যেরই দাম কমছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, গম, ডাল, চিনি প্রভৃতি। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে চালের দাম এক মাসে কমেছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ব্রাজিলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত চিনির দর টনপ্রতি কমেছে ২৮ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার মসুর ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি কমেছে ৯৯ ডলার।
অথচ দেশের বাজারে এর সুফল মিলছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। এর দর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার এখন শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে। বেড়েছে গমের দামও।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলে আমদানিকারকরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাদের অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। তবে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই ফায়দা লোটে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কারণে ভোক্তা সাধারণের পকেট কাটা পড়ে। সরকার এখন যে সয়াবিন তেলের দর বেঁধে দিয়েছে তার সুফলও ভোক্তারা পুরোপুরি পাচ্ছে না।
আমরা বলতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হোক। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী অনেকবারই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
বিশ্ববাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। জানা গেছে, তিন মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টনে কমেছে ২০০ থেকে ৪৯০ ডলার। কমেছে পাম তেলের দামও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীতেও ভোজ্যতেলের এই দরপতন অব্যাহত থাকবে। কারণ এর উৎপাদন বেড়েছে, সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে এবং চাহিদা কমেছে।
ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে এর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে দাম পুনর্নির্ধারণের কোন উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দাবি উঠেছে।
আমদানি করতে হয় এমন কোনো পণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়লে দেশে তার দাম সমন্বয়ের কাজে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ আর তৎপরতা যতটা দেখা যায় দাম কমার সময় ততটা দেখা যায় না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, তারা ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় আদৌ আন্তরিক কিনা।
শুধু ভোজ্যতেলই নয়, আরও অনেক আমদানি পণ্যেরই দাম কমছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, গম, ডাল, চিনি প্রভৃতি। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে চালের দাম এক মাসে কমেছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ব্রাজিলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত চিনির দর টনপ্রতি কমেছে ২৮ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার মসুর ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি কমেছে ৯৯ ডলার।
অথচ দেশের বাজারে এর সুফল মিলছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। এর দর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার এখন শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে। বেড়েছে গমের দামও।
বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলে আমদানিকারকরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাদের অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। তবে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই ফায়দা লোটে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কারণে ভোক্তা সাধারণের পকেট কাটা পড়ে। সরকার এখন যে সয়াবিন তেলের দর বেঁধে দিয়েছে তার সুফলও ভোক্তারা পুরোপুরি পাচ্ছে না।
আমরা বলতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হোক। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী অনেকবারই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।