alt

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের দাম দেশের বাজারে কেন কমছে না

: শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

বিশ্ববাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। জানা গেছে, তিন মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টনে কমেছে ২০০ থেকে ৪৯০ ডলার। কমেছে পাম তেলের দামও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীতেও ভোজ্যতেলের এই দরপতন অব্যাহত থাকবে। কারণ এর উৎপাদন বেড়েছে, সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে এবং চাহিদা কমেছে।

ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে এর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে দাম পুনর্নির্ধারণের কোন উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দাবি উঠেছে।

আমদানি করতে হয় এমন কোনো পণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়লে দেশে তার দাম সমন্বয়ের কাজে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ আর তৎপরতা যতটা দেখা যায় দাম কমার সময় ততটা দেখা যায় না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, তারা ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় আদৌ আন্তরিক কিনা।

শুধু ভোজ্যতেলই নয়, আরও অনেক আমদানি পণ্যেরই দাম কমছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, গম, ডাল, চিনি প্রভৃতি। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে চালের দাম এক মাসে কমেছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ব্রাজিলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত চিনির দর টনপ্রতি কমেছে ২৮ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার মসুর ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি কমেছে ৯৯ ডলার।

অথচ দেশের বাজারে এর সুফল মিলছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। এর দর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার এখন শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে। বেড়েছে গমের দামও।

বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলে আমদানিকারকরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাদের অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। তবে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই ফায়দা লোটে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কারণে ভোক্তা সাধারণের পকেট কাটা পড়ে। সরকার এখন যে সয়াবিন তেলের দর বেঁধে দিয়েছে তার সুফলও ভোক্তারা পুরোপুরি পাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হোক। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী অনেকবারই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ভোজ্যতেলের দাম দেশের বাজারে কেন কমছে না

শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

বিশ্ববাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে ভোজ্যতেলের দাম নিম্নমুখী। জানা গেছে, তিন মাসের ব্যবধানে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টনে কমেছে ২০০ থেকে ৪৯০ ডলার। কমেছে পাম তেলের দামও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীতেও ভোজ্যতেলের এই দরপতন অব্যাহত থাকবে। কারণ এর উৎপাদন বেড়েছে, সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়েছে এবং চাহিদা কমেছে।

ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও দেশের বাজারে খুচরা পর্যায়ে এর দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে দাম পুনর্নির্ধারণের কোন উদ্যোগও চোখে পড়ছে না। এ কারণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর দাবি উঠেছে।

আমদানি করতে হয় এমন কোনো পণ্যের আমদানি ব্যয় বাড়লে দেশে তার দাম সমন্বয়ের কাজে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহ আর তৎপরতা যতটা দেখা যায় দাম কমার সময় ততটা দেখা যায় না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে যে, তারা ভোক্তা সাধারণের স্বার্থ রক্ষায় আদৌ আন্তরিক কিনা।

শুধু ভোজ্যতেলই নয়, আরও অনেক আমদানি পণ্যেরই দাম কমছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে চাল, গম, ডাল, চিনি প্রভৃতি। ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে চালের দাম এক মাসে কমেছে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। ব্রাজিলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিশোধিত চিনির দর টনপ্রতি কমেছে ২৮ ডলার। অস্ট্রেলিয়ার মসুর ডালের দাম এক মাসের ব্যবধানে টনপ্রতি কমেছে ৯৯ ডলার।

অথচ দেশের বাজারে এর সুফল মিলছে না। ভরা মৌসুমেও চালের দাম বেড়েছে। এর দর নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার এখন শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সুযোগ দিয়েছে। বেড়েছে গমের দামও।

বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কমলে আমদানিকারকরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তাদের অনেক সময় লোকসান গুনতে হয়। তবে মধ্যস্বত্বভোগীরা ঠিকই ফায়দা লোটে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের কারণে ভোক্তা সাধারণের পকেট কাটা পড়ে। সরকার এখন যে সয়াবিন তেলের দর বেঁধে দিয়েছে তার সুফলও ভোক্তারা পুরোপুরি পাচ্ছে না।

আমরা বলতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য আমদানি পণ্যের দাম সমন্বয় করা হোক। এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী অনেকবারই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তার আশ্বাসের বাস্তবায়ন দেখতে চাই।

back to top