alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীর খালগুলোকে দখলমুক্ত করুন

: শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব খালই অপদখলের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান তিনি।

ঢাকা নগরীর ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান নদী ও খালকে ঘিরে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, ঢাকা শহরে ৫৬টি খাল ছিল। নগরীর চারপাশে নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল এসব খাল। তবে এগুলোর সবই এখন মৃতপ্রায়। শুধু খালই নয় রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোও ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কালের পরিক্রমায় রাজধানী ঢাকা আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকার খালগুলোর এই অবস্থা হলো কী করে। দখল তো আর একদিনে হয়নি, যুগ যুগ ধরেই দখল হয়েছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ওয়াসার অধীনে থাকা খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর দখল-দূষণে সংকটাপন্ন এসব খাল উদ্ধারে নামে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তারা এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পারিচালনা করে। এমনকি চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগে আগেই ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে’র মাধ্যমে প্রধান খালগুলো দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল দুই সিটি মেয়র। কিন্তু তাদের এ ঘোষণার সুফল পাওয়া যায়নি। রাজধানীর খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত হয়নি, যার প্রমাণ মেলে জাতীয় সংসদের এলজিআরডি মন্ত্রীর দেয়া তথ্যে।

তাছাড়া একদিকে অভিযান চালানো হয়, অন্যদিকে আবার তা দখল হয়ে যায়। আর রাজধানীবাসীকে প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ রাজধানীর বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খাল। খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না।

দখল হওয়া এই খালগুলো উদ্ধার করা না গেলে ঢাকার স্বরূপ কোনভাবেই আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাই এসব খাল উদ্ধারে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ধারের পর যেন পুনরায় দখল হয়ে না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গেই খালগুলোর বর্জ্য অপসারণ করে খনন করতে হবে। এমনটা না করা গেলে পুনরায় দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তাছাড়া খালগুলো ভবিষ্যতে দখলমুক্ত রাখতে সীমানা চিহ্নিত করে কংক্রিটের পিলার নির্মাণ করা যেতে পারে। খালের পাশে পার্ক, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধন করে জনসাধারণের চলাচল ও বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে। এতে যেমন খাল উদ্ধার হবে, তেমন জনসাধারণের চালাচলের পথও উন্মুক্ত হবে।

খাল দখলের ফিরিস্তি আমরা আর শুনতে চাই না। আগামীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলবেন, দেশের কোন খালই এখন আর অবৈধভাবে দখলে নেই- আমরা এমনটা শুনতে চাই।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীর খালগুলোকে দখলমুক্ত করুন

শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব খালই অপদখলের মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী। গত মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান তিনি।

ঢাকা নগরীর ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থান নদী ও খালকে ঘিরে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের তথ্যানুযায়ী, ঢাকা শহরে ৫৬টি খাল ছিল। নগরীর চারপাশে নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল এসব খাল। তবে এগুলোর সবই এখন মৃতপ্রায়। শুধু খালই নয় রাজধানীর আশপাশের নদীগুলোও ধুঁকে ধুঁকে মরছে। কালের পরিক্রমায় রাজধানী ঢাকা আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ঢাকার খালগুলোর এই অবস্থা হলো কী করে। দখল তো আর একদিনে হয়নি, যুগ যুগ ধরেই দখল হয়েছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ওয়াসার অধীনে থাকা খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর দখল-দূষণে সংকটাপন্ন এসব খাল উদ্ধারে নামে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। তারা এসব খাল দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পারিচালনা করে। এমনকি চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগে আগেই ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রামে’র মাধ্যমে প্রধান খালগুলো দখলমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিল দুই সিটি মেয়র। কিন্তু তাদের এ ঘোষণার সুফল পাওয়া যায়নি। রাজধানীর খালগুলো অবৈধ দখলমুক্ত হয়নি, যার প্রমাণ মেলে জাতীয় সংসদের এলজিআরডি মন্ত্রীর দেয়া তথ্যে।

তাছাড়া একদিকে অভিযান চালানো হয়, অন্যদিকে আবার তা দখল হয়ে যায়। আর রাজধানীবাসীকে প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে হয়। কারণ রাজধানীর বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খাল। খালগুলো দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারে না।

দখল হওয়া এই খালগুলো উদ্ধার করা না গেলে ঢাকার স্বরূপ কোনভাবেই আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাই এসব খাল উদ্ধারে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। উদ্ধারের পর যেন পুনরায় দখল হয়ে না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সঙ্গে সঙ্গেই খালগুলোর বর্জ্য অপসারণ করে খনন করতে হবে। এমনটা না করা গেলে পুনরায় দখল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

তাছাড়া খালগুলো ভবিষ্যতে দখলমুক্ত রাখতে সীমানা চিহ্নিত করে কংক্রিটের পিলার নির্মাণ করা যেতে পারে। খালের পাশে পার্ক, ওয়াকওয়ে নির্মাণসহ সৌন্দর্যবর্ধন করে জনসাধারণের চলাচল ও বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া যেতে পারে। এতে যেমন খাল উদ্ধার হবে, তেমন জনসাধারণের চালাচলের পথও উন্মুক্ত হবে।

খাল দখলের ফিরিস্তি আমরা আর শুনতে চাই না। আগামীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলবেন, দেশের কোন খালই এখন আর অবৈধভাবে দখলে নেই- আমরা এমনটা শুনতে চাই।

back to top