রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের মারধর করা, বিছানাপত্র হলের বাইরে ফেলে দেয়া, ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর এসব ঘটনার কুশীলব হিসেবে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দিকেই। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র এই রকম।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। তাদের জন্য হলে আসন পাওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সেটা প্রথমবর্ষ থেকেই। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যই রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে আসে। তাদের অনেকেরই শহরে কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হলে আসন পাওয়া তাদের জন্য অতি আবশ্যক হয়ে ওঠে। আর এ সুযোগই নিয়ে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হলে হলে সংকট তৈরি করে আসন বাণিজ্য করে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর প্রশাসনিকভাবে আসন বরাদ্দ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে আসন না পেয়ে দ্বারস্থ হয় হলের বড় ভাই, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের। তাদের শিকার হতে হয় রাজনৈতিক ‘বাধ্যবাধকতার’। ছাত্রনেতাদের নাম মুখস্ত করা, তাদের সালাম দেয়া, এমনকি মধ্যরাতে মিছিল থেকে শুরু করে আরও কিছু ‘নিয়মকানুন’ মানতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কেউ যদি এসব নিয়মকানুন না মানে তাহলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার কথা বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের। কিন্তু তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করে। যতদিন পর্যন্ত কোন ঘটনা জাতীয় ইস্যু না হয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে ততদিন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয় না। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাগডে, হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল রুম সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসবের অবসান ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বরং আরও বেড়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর প্রশাসন বলেছে, যারা এটা করেছে তারা ক্রিমিনাল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। আমরা তাদের কথার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে, দলবাজি করতে নয়। তারা যেন প্রশাসনিকভাবেই হলের আসন পায়, কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার, ২৬ জুন ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শিক্ষার্থীদের মারধর করা, বিছানাপত্র হলের বাইরে ফেলে দেয়া, ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর এসব ঘটনার কুশীলব হিসেবে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দিকেই। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র এই রকম।
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। তাদের জন্য হলে আসন পাওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সেটা প্রথমবর্ষ থেকেই। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যই রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে আসে। তাদের অনেকেরই শহরে কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হলে আসন পাওয়া তাদের জন্য অতি আবশ্যক হয়ে ওঠে। আর এ সুযোগই নিয়ে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হলে হলে সংকট তৈরি করে আসন বাণিজ্য করে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর প্রশাসনিকভাবে আসন বরাদ্দ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে আসন না পেয়ে দ্বারস্থ হয় হলের বড় ভাই, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের। তাদের শিকার হতে হয় রাজনৈতিক ‘বাধ্যবাধকতার’। ছাত্রনেতাদের নাম মুখস্ত করা, তাদের সালাম দেয়া, এমনকি মধ্যরাতে মিছিল থেকে শুরু করে আরও কিছু ‘নিয়মকানুন’ মানতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কেউ যদি এসব নিয়মকানুন না মানে তাহলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার কথা বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের। কিন্তু তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করে। যতদিন পর্যন্ত কোন ঘটনা জাতীয় ইস্যু না হয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে ততদিন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয় না। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাগডে, হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল রুম সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসবের অবসান ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বরং আরও বেড়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর প্রশাসন বলেছে, যারা এটা করেছে তারা ক্রিমিনাল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। আমরা তাদের কথার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে, দলবাজি করতে নয়। তারা যেন প্রশাসনিকভাবেই হলের আসন পায়, কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।