alt

সম্পাদকীয়

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত সংস্কার করুন

: শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু সড়ক নয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সেতু, কালভার্টও। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। তবে পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। পুরোপুরি পানি নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সড়কের পিচ-খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ এড়িয়ে যানবাহন চলতে হচ্ছে এঁকেবেঁকে। ফলে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে গেছে, ঘটছে নানা দুর্ঘটনাও। কোথাও কোথাও সড়কের কার্পেটিং ও বেইজিং সরে গিয়ে স্রোতে দুই থেকে তিন ফুট মাটি সরে গেছে। ভাঙা সড়কে যাতায়াত করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

শুধু সুনামগঞ্জ নয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, মৌলভীবাজার জেলাও। এর বাইরে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, নীলফামারী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্টেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মানুষের জীবনযাত্রা মসৃণ ও স্বাভাবিক করার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। কাজেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু, কালভার্ট দ্রুত সংস্কার করতে হবে। সিলেটসহ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকারই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সড়কপথ। তাছাড়া বন্যকবলিত এলাকায় ত্রাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হলে সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করার কোন বিকল্প নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ইটের সলিং, বালু ফেলে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এটা সাময়িক সমাধান। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়ক আবার যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই টেকসই উপায়ে সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কার করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সড়ক নির্মাণ করে টাকা খরচ করা হলেও এর জীবনচক্রের ওপর জোর দেয়া হয় না। বিটুমিনের রাস্তা বেশিদিন স্থয়ী হয় না। এর পরিবর্তে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করার কথা বলেন তারা। সরকার কিছু কিছু এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় টেকসই কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা যায় কিনা-সেটা ভেবে দেখতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত সংস্কার করুন

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু সড়ক নয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সেতু, কালভার্টও। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যায় প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে এ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। তবে পানি এখনও পুরোপুরি নামেনি। পুরোপুরি পানি নামলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সড়কের পিচ-খোয়া উঠে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ এড়িয়ে যানবাহন চলতে হচ্ছে এঁকেবেঁকে। ফলে যানবাহনের গতি ধীর হয়ে গেছে, ঘটছে নানা দুর্ঘটনাও। কোথাও কোথাও সড়কের কার্পেটিং ও বেইজিং সরে গিয়ে স্রোতে দুই থেকে তিন ফুট মাটি সরে গেছে। ভাঙা সড়কে যাতায়াত করার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

শুধু সুনামগঞ্জ নয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট, মৌলভীবাজার জেলাও। এর বাইরে রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, জামালপুর, নীলফামারী, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্টেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

মানুষের জীবনযাত্রা মসৃণ ও স্বাভাবিক করার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। কাজেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, সেতু, কালভার্ট দ্রুত সংস্কার করতে হবে। সিলেটসহ উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ এলাকারই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম সড়কপথ। তাছাড়া বন্যকবলিত এলাকায় ত্রাণসহ অন্যান্য কার্যক্রম চালাতে হলে সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করার কোন বিকল্প নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে ইটের সলিং, বালু ফেলে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এটা সাময়িক সমাধান। সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব সড়ক আবার যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই টেকসই উপায়ে সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামো সংস্কার করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে সড়ক নির্মাণ করে টাকা খরচ করা হলেও এর জীবনচক্রের ওপর জোর দেয়া হয় না। বিটুমিনের রাস্তা বেশিদিন স্থয়ী হয় না। এর পরিবর্তে কংক্রিটের রাস্তা তৈরি করার কথা বলেন তারা। সরকার কিছু কিছু এলাকায় কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় টেকসই কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা যায় কিনা-সেটা ভেবে দেখতে হবে।

back to top