ঘোষিত সময়সূচির বাইরেও সারা দেশে লোডশেডিংয় হচ্ছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে, তা রক্ষা করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে। রাজধানীর অনেক এলাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই লোডশেডিং হয়েছে। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এদিকে ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বাড়ছে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও করা হয়েছে।
নীতিনির্ধারকরা হিসাব দেখিয়ে বলেছিলেন, ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখা হলে দেশে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। তারা বলেছিলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টার লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে। সেই অনুযায়ীই তারা লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। বিশ্বে যে সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তাতে সরকারের ব্যয়সাশ্রয়ী এই পরিকল্পনায় আমরা আপত্তির কিছু দেখি না।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন, চাহিদা এবং লোডশেডিংয়ের হিসাবে কোথাও কোন গরমিল আছে কি না। নইলে দেশে প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে কেন। এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি যদি মোকাবিলা করা না যায় সেটা জনগণকে আগেই জানানো হোক, সে অনুযায়ী এর সময়সূচি ঠিক করা হোক। সেটা হলে জনগণ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।
মুখে এক কথা বলা হলে আর বাস্তবে তার বিপরীত কাজ করলে একদিকে জনভোগান্তি বাড়ে, অন্যদিকে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে সরকারও বেকায়দায় পড়তে পারে। প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হয় তাহলে এমন অভিযোগ ভিত্তি পাবে যে, সরকার দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি জানাচ্ছে না।
লোডশেডিং নিয়ে কোনো বিতর্ক বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন সেটা আমাদের আশা।
শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২
ঘোষিত সময়সূচির বাইরেও সারা দেশে লোডশেডিংয় হচ্ছে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা লোডশেডিং করার যে প্রতিশ্রুতি সরকার দিয়েছে, তা রক্ষা করতে পারছে না বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো। তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রে তাদের সীমাবদ্ধতা প্রকাশ করেছে। রাজধানীর অনেক এলাকায় নির্ধারিত সময়ের আগেই লোডশেডিং হয়েছে। একাধিকবার লোডশেডিংয়ের ঘটনাও ঘটেছে। রাজধানীর বাইরের পরিস্থিতি আরও খারাপ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এদিকে ডলারের দামও ঊর্ধ্বমুখী। জ্বালানি তেল আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় বাড়ছে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে সৃষ্ট বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। কোথায়, কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও করা হয়েছে।
নীতিনির্ধারকরা হিসাব দেখিয়ে বলেছিলেন, ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রাখা হলে দেশে এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। তারা বলেছিলেন, এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনো কোনো জায়গায় দুই ঘণ্টার লোডশেডিং হলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে। সেই অনুযায়ীই তারা লোডশেডিংয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। বিশ্বে যে সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তাতে সরকারের ব্যয়সাশ্রয়ী এই পরিকল্পনায় আমরা আপত্তির কিছু দেখি না।
প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ করছে কি না। বিদ্যুৎ উৎপাদন, চাহিদা এবং লোডশেডিংয়ের হিসাবে কোথাও কোন গরমিল আছে কি না। নইলে দেশে প্রতিশ্রুতির চেয়েও বেশি লোডশেডিং হচ্ছে কেন। এক-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি যদি মোকাবিলা করা না যায় সেটা জনগণকে আগেই জানানো হোক, সে অনুযায়ী এর সময়সূচি ঠিক করা হোক। সেটা হলে জনগণ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে।
মুখে এক কথা বলা হলে আর বাস্তবে তার বিপরীত কাজ করলে একদিকে জনভোগান্তি বাড়ে, অন্যদিকে মানুষের মনে ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে সরকারও বেকায়দায় পড়তে পারে। প্রতিশ্রুতির বাইরে গিয়ে যদি অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হয় তাহলে এমন অভিযোগ ভিত্তি পাবে যে, সরকার দেশের প্রকৃত পরিস্থিতি জানাচ্ছে না।
লোডশেডিং নিয়ে কোনো বিতর্ক বা অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই নীতিনির্ধারকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন সেটা আমাদের আশা।