alt

সম্পাদকীয়

অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা বন্ধে কঠোর হোন

: শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শুধু নিকটাত্মীয়ের দেয়া কিডনিই প্রতিস্থাপন করা যায়। এক হিসেবে দেখা গেছে, দেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলেও কমবেশি করা হয় ২০০ রোগীর। দেশে কিডনি চিকিৎসাদানকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যাও কম।

তাই সচ্ছল মানুষেরা দেশের বাইরে, বিশেষত ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজটি করে থাকেন। এ জন্যই মূলত কিডনিদাতা খুঁজে বের করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, পাসপোর্ট-ভিসা করা, দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশে কিডনিদাতাকে দেখভাল করার পুরো প্রক্রিয়ার জন্য গড়ে উঠেছে কয়েক স্তরের দালাল চক্র। প্রভাবশালী ব্যক্তি, হাসপাতাল ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন স্তরের আরও অনেকেই এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি তাদেরই একটি অংশমাত্র, এমন আরও অসংখ্য চক্র রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চক্রের সদস্যরা কিডনিদাতা হিসেবে খুঁজে বের করে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে। দিনের পর দিন এভাবে কিডনি কেনাবেচা করে প্রতারণা করে হচ্ছিল কীভাবে-সেটা একটা প্রশ্ন। পুরো কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। কিন্তু তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে আসছে বলেই অভিযোগ। যখই গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তখনই তারা নড়েচড়ে বসে। দু’একটি অভিযান পারিচালনা করে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন পর এদিকে আর দৃষ্টি থাকে না, আগের মতোই চলতে থাকে কিডনি কেনাবেচা।

২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিডনি কেনাবেচা সংক্রান্ত মাত্র ১৫টি মামলা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে সেগুলোর একটিরও বিচার হয়নি। এসব মামলার পুলিশি প্রতিবেদনও গতানুগতিক। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কিডনি ব্যবসার সঙ্গে রাজধানীর নামীদামি কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিক জড়িত বলেও কয়েকবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীরা। কিন্তু মামালার অভিযোগপত্র থেকে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রতারণার মাধ্যমে মানব দেহের কিডনি বিক্রয়, অঙ্গহানি করা হত্যার চেষ্টার অপরাধ। তাই কিডনি কেনাবেচা বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যান্য চক্রের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলাগুলোকে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচা বন্ধে কঠোর হোন

শুক্রবার, ২২ জুলাই ২০২২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতাসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শুধু নিকটাত্মীয়ের দেয়া কিডনিই প্রতিস্থাপন করা যায়। এক হিসেবে দেখা গেছে, দেশে বছরে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলেও কমবেশি করা হয় ২০০ রোগীর। দেশে কিডনি চিকিৎসাদানকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যাও কম।

তাই সচ্ছল মানুষেরা দেশের বাইরে, বিশেষত ভারতে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজটি করে থাকেন। এ জন্যই মূলত কিডনিদাতা খুঁজে বের করে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, পাসপোর্ট-ভিসা করা, দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া এবং বিদেশে কিডনিদাতাকে দেখভাল করার পুরো প্রক্রিয়ার জন্য গড়ে উঠেছে কয়েক স্তরের দালাল চক্র। প্রভাবশালী ব্যক্তি, হাসপাতাল ব্যবস্থাপকসহ বিভিন্ন স্তরের আরও অনেকেই এ চক্রের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি তাদেরই একটি অংশমাত্র, এমন আরও অসংখ্য চক্র রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চক্রের সদস্যরা কিডনিদাতা হিসেবে খুঁজে বের করে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষকে। দিনের পর দিন এভাবে কিডনি কেনাবেচা করে প্রতারণা করে হচ্ছিল কীভাবে-সেটা একটা প্রশ্ন। পুরো কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। কিন্তু তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে আসছে বলেই অভিযোগ। যখই গণমাধ্যমে কোন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তখনই তারা নড়েচড়ে বসে। দু’একটি অভিযান পারিচালনা করে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। কিছুদিন পর এদিকে আর দৃষ্টি থাকে না, আগের মতোই চলতে থাকে কিডনি কেনাবেচা।

২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কিডনি কেনাবেচা সংক্রান্ত মাত্র ১৫টি মামলা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে সেগুলোর একটিরও বিচার হয়নি। এসব মামলার পুলিশি প্রতিবেদনও গতানুগতিক। অভিযুক্তরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, কিডনি ব্যবসার সঙ্গে রাজধানীর নামীদামি কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিক জড়িত বলেও কয়েকবার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত ও ভুক্তভোগীরা। কিন্তু মামালার অভিযোগপত্র থেকে সেই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

প্রতারণার মাধ্যমে মানব দেহের কিডনি বিক্রয়, অঙ্গহানি করা হত্যার চেষ্টার অপরাধ। তাই কিডনি কেনাবেচা বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যান্য চক্রের সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করে, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। এ সংক্রান্ত বিচারাধীন মামলাগুলোকে দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top