ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের সবাই মাদক কারবারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আর গুলির সব ঘটনাই ঘটেছে রাতে।’
সীমান্ত সম্মেলনের পর গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।’
বিএসএফের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানোর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যদিও বিএসএফের বর্তমান ডিজি দাবি করেছেন যে, সীমান্তে গুলিতে নিহতরা সবাই অপরাধী।
প্রশ্ন হচ্ছে, নিহতরা যে অপরাধী সেটা কোন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয়েছে। কোন বিচারিক আদালতে কি তাদের বিচার করা হয়েছে? সেখানে কি তাদের অপরাধ অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে? অপরাধ প্রমাণিত হলেই যে কাউকে বিনা বাক্যব্যয়ে গুলি করে মেরে ফেলা যায় সেটা কোন আইনে আছে?
কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠতে পারে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করাই আইনের বিধান। সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে আদালত তাকে সাজা বা মুক্তি দিতে পারেন। শুধু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে হত্যা করা যায় না। আদালতে অপরাধ প্রমাণের আগ পর্যন্ত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধী বলা যায় না। অভিযুক্ত ব্যক্তি বা একজন অপরাধীরও কিছু আইনি অধিকার রয়েছে যা কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।
সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে বিএসএফ। তারা বলছে, আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, তাদের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যায়। তাদের হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছেন বিএসএফের ডিজি। আমরা বলতে চাই, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার বিষয়ে উভয়পক্ষই একমত হয়। কিন্তু বিএসএফ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএসএফ কি আসলেই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় নাকি শুধু বলার জন্য একথা বলে। আমাদের আশা, সীমান্ত হত্যা বন্ধে তারা আবারও যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হবে।
শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২
ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) পঙ্কজ কুমার সিং বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের সবাই মাদক কারবারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। আর গুলির সব ঘটনাই ঘটেছে রাতে।’
সীমান্ত সম্মেলনের পর গত বৃহস্পতিবার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা যৌথভাবে কাজ করছি।’
বিএসএফের বিরুদ্ধে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানোর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যদিও বিএসএফের বর্তমান ডিজি দাবি করেছেন যে, সীমান্তে গুলিতে নিহতরা সবাই অপরাধী।
প্রশ্ন হচ্ছে, নিহতরা যে অপরাধী সেটা কোন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত হয়েছে। কোন বিচারিক আদালতে কি তাদের বিচার করা হয়েছে? সেখানে কি তাদের অপরাধ অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়েছে? অপরাধ প্রমাণিত হলেই যে কাউকে বিনা বাক্যব্যয়ে গুলি করে মেরে ফেলা যায় সেটা কোন আইনে আছে?
কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠতে পারে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করাই আইনের বিধান। সাক্ষ্য-প্রমাণ সাপেক্ষে আদালত তাকে সাজা বা মুক্তি দিতে পারেন। শুধু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাউকে হত্যা করা যায় না। আদালতে অপরাধ প্রমাণের আগ পর্যন্ত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অপরাধী বলা যায় না। অভিযুক্ত ব্যক্তি বা একজন অপরাধীরও কিছু আইনি অধিকার রয়েছে যা কোন অবস্থাতেই অস্বীকার করা চলে না।
সীমান্তে নানা অপরাধের কথা বলে বিএসএফ। তারা বলছে, আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছুড়তে হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, তাদের গুলিতে নিরস্ত্র মানুষ মারা যায়। তাদের হাতে গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকরা নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার কথা বলেছেন বিএসএফের ডিজি। আমরা বলতে চাই, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, সীমান্ত অতিক্রমের ঘটনায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার না করার বিষয়ে উভয়পক্ষই একমত হয়। কিন্তু বিএসএফ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএসএফ কি আসলেই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায় নাকি শুধু বলার জন্য একথা বলে। আমাদের আশা, সীমান্ত হত্যা বন্ধে তারা আবারও যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেটা এবার রক্ষা করা হবে।