alt

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কঠোর হোন

: শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে গত ১৭ জুলাই। ঘটনার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সময় লাগলো চার দিন! গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটিও সহজ ছিল না। ঘটনার পরদিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করে ওই ছাত্রী। এর একদিন পর বুধবার হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও। এরপরই মূলত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে যদি এত কাঠখড় পোড়াতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি বা নির্যাতন প্রতিরোধ করা হবে কীভাবে। নিপীড়নের অভিযোগ পওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। এ কাজে তারা কালক্ষেপণ করেছেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। যে কারণে শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসের ভেতরেই ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেল রয়েছে। কিন্তু সেটির কার্যক্রম অনেকটা স্থবির বলে জানা যাচ্ছে। এই সেলে এখন পর্যন্ত যতগুলো অভিযোগ জমা হয়েছে সেগুলোর কোনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। বছরের পর বছর ঝুলে আছে অভিযোগ।

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। উল্টো তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য রাত ১০টার পর নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে প্রকারন্তেরে তারা নারী শিক্ষার্থীদের আরও বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাদের এই বিধি-নিষেধের অর্থ কী এই যে, নির্ধারিত সময়ের পর কোন নারী শিক্ষার্থী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হন তাহলে তার দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে বা যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্তরা কোন বিশেষ ছাত্র সংগঠনের হলেও যেন তারা পার পেয়ে না যায়।

শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। আমারা আশা করবো, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে অন্যরা শিক্ষা নেবে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখাযথভাবে পালন করবে সেটা আমাদের আশা।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে কঠোর হোন

শনিবার, ২৩ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় র‌্যাব।

যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে গত ১৭ জুলাই। ঘটনার পর চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সময় লাগলো চার দিন! গ্রেপ্তার প্রক্রিয়াটিও সহজ ছিল না। ঘটনার পরদিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর গত মঙ্গলবার প্রক্টরের কাছে অভিযোগ করে ওই ছাত্রী। এর একদিন পর বুধবার হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করেছে। তাদের সঙ্গে একাত্মতা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও। এরপরই মূলত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে যদি এত কাঠখড় পোড়াতে হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি বা নির্যাতন প্রতিরোধ করা হবে কীভাবে। নিপীড়নের অভিযোগ পওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। এ কাজে তারা কালক্ষেপণ করেছেন। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গড়িমসি ও উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। যে কারণে শিক্ষার্থীদের পথে নামতে হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসের ভেতরেই ছাত্রলীগের চার কর্মীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। তখন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেল রয়েছে। কিন্তু সেটির কার্যক্রম অনেকটা স্থবির বলে জানা যাচ্ছে। এই সেলে এখন পর্যন্ত যতগুলো অভিযোগ জমা হয়েছে সেগুলোর কোনটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। বছরের পর বছর ঝুলে আছে অভিযোগ।

যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। উল্টো তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য রাত ১০টার পর নারী শিক্ষার্থীদের হলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে প্রকারন্তেরে তারা নারী শিক্ষার্থীদের আরও বিপদের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। তাদের এই বিধি-নিষেধের অর্থ কী এই যে, নির্ধারিত সময়ের পর কোন নারী শিক্ষার্থী যদি যৌন নির্যাতনের শিকার হন তাহলে তার দায়-দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে দৃঢ় ভূমিকা পালন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে বা যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযুক্তরা কোন বিশেষ ছাত্র সংগঠনের হলেও যেন তারা পার পেয়ে না যায়।

শুধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ই নয় দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। আমারা আশা করবো, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে অন্যরা শিক্ষা নেবে। এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে করণীয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখাযথভাবে পালন করবে সেটা আমাদের আশা।

back to top