alt

সম্পাদকীয়

এবার কি সরবে কাওরান বাজার

: রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

কৃষিপণ্যের বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে তিনটি কাঁচাবাজার নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেয় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। এজন্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সাভারের আমিনবাজার ও মহাখালী এলাকায় তিনটি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হয়। তিন দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

এসব বাজারের মধ্যে যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার পূর্বে থেকেই ছিল, সেখানে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। এর বাইরে ঢাকার অভ্যন্তরের কাওরান বাজার সরিয়ে নেয়ার জন্যই মূলত মহাখালী এবং আমিনবাজারে কাঁচাবাজার নির্মাণ হয়। এরপর দফায় দফায় কাওরান বাজারের দোকান ও ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও তা সম্ভব হয়নি।

চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কাওরান বাজার থেকে কাঁচা বাজার স্থানান্তরের নির্দেশনা এলে নড়চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ডিএনসিসির মেয়র এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আমিনবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র জানান, আমিনবাজার কিচেন মার্কেটের দোকানগুলো ভেঙে আবার নতুন করে বানাতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে এখানে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হয়নি। এর বাইরে ডিএনসিসির কর্মকর্তারাও বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করে ভবনটিতে সবজি রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়ার পর কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙল। এতদিন তারা কেন কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়েছিলেন, সেটা একটা প্রশ্ন। যদিও স্থানান্তরের সময় জানানো হলো, পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। কাঁচাবাজার স্থানান্তরে এতদিন সংশ্লিষ্টরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে-আমরা সেটা জানতে চাই।

ব্যবসায়ীদের একটা প্রবণতা হচ্ছে, যেখানে একবার ব্যবসা জমে ওঠে সেখান থেকে তারা সরে যেতে চান না। হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর করতে অনেক বছর সময় লেগেছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় শত শত হতাহতের ঘটনা ঘটলেও পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যায়নি। তবে এক্ষেত্রে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করলে চলবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও গাফিলতি রয়েছে।

বৃহত্তর স্বার্থে কাওরান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে নেয়া জরুরি। মহাখালীতে বাজার স্থানান্তরে প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। আমিন বাজারে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের যে আপত্তি আছে সেগুলো আমলে নিতে হবে। আমরা চাই না ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। পাশাপাশি যাদের কারণে এমন অপরিকল্পিত কাজে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হলো, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

এবার কি সরবে কাওরান বাজার

রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

কৃষিপণ্যের বাজার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়নের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে তিনটি কাঁচাবাজার নির্মাণের একটি প্রকল্প হাতে নেয় অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। এজন্য রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সাভারের আমিনবাজার ও মহাখালী এলাকায় তিনটি কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হয়। তিন দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের জুনে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

এসব বাজারের মধ্যে যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার পূর্বে থেকেই ছিল, সেখানে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়। এর বাইরে ঢাকার অভ্যন্তরের কাওরান বাজার সরিয়ে নেয়ার জন্যই মূলত মহাখালী এবং আমিনবাজারে কাঁচাবাজার নির্মাণ হয়। এরপর দফায় দফায় কাওরান বাজারের দোকান ও ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরেও তা সম্ভব হয়নি।

চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কাওরান বাজার থেকে কাঁচা বাজার স্থানান্তরের নির্দেশনা এলে নড়চড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ডিএনসিসির মেয়র এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আমিনবাজারের কাঁচাবাজার পরিদর্শনে যান।

পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র জানান, আমিনবাজার কিচেন মার্কেটের দোকানগুলো ভেঙে আবার নতুন করে বানাতে হবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে এখানে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে কাঁচাবাজার নির্মাণ করা হয়নি। এর বাইরে ডিএনসিসির কর্মকর্তারাও বেশকিছু সমস্যা চিহ্নিত করে ভবনটিতে সবজি রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দেয়ার পর কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙল। এতদিন তারা কেন কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমিয়েছিলেন, সেটা একটা প্রশ্ন। যদিও স্থানান্তরের সময় জানানো হলো, পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়নি। কাঁচাবাজার স্থানান্তরে এতদিন সংশ্লিষ্টরা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে-আমরা সেটা জানতে চাই।

ব্যবসায়ীদের একটা প্রবণতা হচ্ছে, যেখানে একবার ব্যবসা জমে ওঠে সেখান থেকে তারা সরে যেতে চান না। হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্প সাভারে স্থানান্তর করতে অনেক বছর সময় লেগেছে। একের পর এক দুর্ঘটনায় শত শত হতাহতের ঘটনা ঘটলেও পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যায়নি। তবে এক্ষেত্রে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষারোপ করলে চলবে না, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও গাফিলতি রয়েছে।

বৃহত্তর স্বার্থে কাওরান বাজার থেকে কাঁচাবাজার সরিয়ে নেয়া জরুরি। মহাখালীতে বাজার স্থানান্তরে প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। আমিন বাজারে পরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের যে আপত্তি আছে সেগুলো আমলে নিতে হবে। আমরা চাই না ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। পাশাপাশি যাদের কারণে এমন অপরিকল্পিত কাজে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হলো, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

back to top