সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অভিযোগ ওঠে যে, অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যদিও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মহাপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে নগরের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সেখানে জলাবদ্ধতার জন্য তিনি দায়ী করেছেন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিকে।
মেয়রের ভাষ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো হলো, অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, নগরবাসীর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা, ঢলে টিলা ধসে ছড়া ও ড্রেন ভরাট এবং সময়মতো ড্রেন-ছড়া পরিষ্কার না করা।
জলাবদ্ধতা শুধু রাজধানী ঢাকার সমস্যা নয়। ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগর বা শহরেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ সমস্যায় জর্জরিত। সিলেটবাসীকেও এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
একটি নগরীতে কোন সমস্যা-সংকট দেখা দিলে তার দায় স্বাভাবিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সমস্যা স্বীকার করলে সমাধানের কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়। আশার কথা, সিলেটের মেয়র জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, সমস্যা দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। নালা-নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি যেন সহজে নেমে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ছড়া খালের গভীরতা বাড়াতে হবে, এগুলো নিয়মিত সংস্কার করতে হবে। টিলা ধস প্রতিরোধ করাও জরুরি।
নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে অনেক নালা ভরাট হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে নালা-নর্দমায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেটের মেয়র অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অনেকে বাড়িতে যত আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোশক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্য, সেটা লোপ পেয়েছে। আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে নগরের বাসিন্দাদেরও কিছু করণীয় আছে। তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে। নাগরিকরা সচেতন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২
সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অভিযোগ ওঠে যে, অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যদিও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মহাপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে নগরের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সেখানে জলাবদ্ধতার জন্য তিনি দায়ী করেছেন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিকে।
মেয়রের ভাষ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো হলো, অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, নগরবাসীর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা, ঢলে টিলা ধসে ছড়া ও ড্রেন ভরাট এবং সময়মতো ড্রেন-ছড়া পরিষ্কার না করা।
জলাবদ্ধতা শুধু রাজধানী ঢাকার সমস্যা নয়। ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগর বা শহরেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ সমস্যায় জর্জরিত। সিলেটবাসীকেও এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
একটি নগরীতে কোন সমস্যা-সংকট দেখা দিলে তার দায় স্বাভাবিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সমস্যা স্বীকার করলে সমাধানের কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়। আশার কথা, সিলেটের মেয়র জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, সমস্যা দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।
সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। নালা-নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি যেন সহজে নেমে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ছড়া খালের গভীরতা বাড়াতে হবে, এগুলো নিয়মিত সংস্কার করতে হবে। টিলা ধস প্রতিরোধ করাও জরুরি।
নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে অনেক নালা ভরাট হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে নালা-নর্দমায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেটের মেয়র অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অনেকে বাড়িতে যত আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোশক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্য, সেটা লোপ পেয়েছে। আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে নগরের বাসিন্দাদেরও কিছু করণীয় আছে। তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে। নাগরিকরা সচেতন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।