alt

সম্পাদকীয়

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা

: রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অভিযোগ ওঠে যে, অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যদিও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মহাপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে নগরের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সেখানে জলাবদ্ধতার জন্য তিনি দায়ী করেছেন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিকে।

মেয়রের ভাষ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো হলো, অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, নগরবাসীর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা, ঢলে টিলা ধসে ছড়া ও ড্রেন ভরাট এবং সময়মতো ড্রেন-ছড়া পরিষ্কার না করা।

জলাবদ্ধতা শুধু রাজধানী ঢাকার সমস্যা নয়। ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগর বা শহরেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ সমস্যায় জর্জরিত। সিলেটবাসীকেও এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

একটি নগরীতে কোন সমস্যা-সংকট দেখা দিলে তার দায় স্বাভাবিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সমস্যা স্বীকার করলে সমাধানের কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়। আশার কথা, সিলেটের মেয়র জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, সমস্যা দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। নালা-নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি যেন সহজে নেমে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ছড়া খালের গভীরতা বাড়াতে হবে, এগুলো নিয়মিত সংস্কার করতে হবে। টিলা ধস প্রতিরোধ করাও জরুরি।

নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে অনেক নালা ভরাট হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে নালা-নর্দমায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেটের মেয়র অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অনেকে বাড়িতে যত আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোশক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্য, সেটা লোপ পেয়েছে। আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে নগরের বাসিন্দাদেরও কিছু করণীয় আছে। তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে। নাগরিকরা সচেতন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা

রোববার, ২৪ জুলাই ২০২২

সম্প্রতি বৃষ্টির পানিতে সিলেট নগরীতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন অভিযোগ ওঠে যে, অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। যদিও মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, মহাপরিকল্পনার মধ্য দিয়ে নগরের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। সেখানে জলাবদ্ধতার জন্য তিনি দায়ী করেছেন রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিকে।

মেয়রের ভাষ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো হলো, অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি, নগরবাসীর যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা, ঢলে টিলা ধসে ছড়া ও ড্রেন ভরাট এবং সময়মতো ড্রেন-ছড়া পরিষ্কার না করা।

জলাবদ্ধতা শুধু রাজধানী ঢাকার সমস্যা নয়। ঢাকার বাইরে অন্যান্য নগর বা শহরেও এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম এ সমস্যায় জর্জরিত। সিলেটবাসীকেও এই সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

একটি নগরীতে কোন সমস্যা-সংকট দেখা দিলে তার দায় স্বাভাবিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তায়। দায়-দায়িত্ব অস্বীকার করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। সমস্যা স্বীকার করলে সমাধানের কাজটি তুলনামূলকভাবে সহজ হয়ে যায়। আশার কথা, সিলেটের মেয়র জলাবদ্ধতার সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন, সমস্যা দূর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৮টি স্ট্রাইকিং ফোর্স প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে। নালা-নর্দমা দিয়ে বৃষ্টির পানি যেন সহজে নেমে যেতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ছড়া খালের গভীরতা বাড়াতে হবে, এগুলো নিয়মিত সংস্কার করতে হবে। টিলা ধস প্রতিরোধ করাও জরুরি।

নাগরিকদের অসচেতনতার কারণে অনেক নালা ভরাট হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলার কারণে নালা-নর্দমায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধতার সৃষ্টি হয়। সিলেটের মেয়র অভিযোগ করে বলেছেন, ‘অনেকে বাড়িতে যত আবর্জনা আছে, কাপড় থেকে শুরু করে লেপ-তোশক সবই ড্রেনে ছেড়ে দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ড্রেন বা ছড়ার যে নাব্য, সেটা লোপ পেয়েছে। আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে নগরের বাসিন্দাদেরও কিছু করণীয় আছে। তাদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে হবে। নাগরিকরা সচেতন হলে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

back to top