গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল ক্রসিংয়ের উপর শ্রমিকবাহী একটি বাসে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে চারজন, আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলক্রসিং দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় ব্যারিয়ার নামানো ছিল না। তিনজন গেটম্যান দায়িত্ব পালন করলেও ঘটনার সময় সেখানে তাদের কেউই উপস্থিত ছিল না। দুর্ঘটনার পরও তাদের কারও দেখা মেলেনি। এ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার নামানো থাকলে গাজীপুরে উক্ত দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। দায়িত্ব পালনে যদি গেটম্যানরা তৎপর হতেন তাহলে হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার দেয়া বা গেটম্যান রাখাই হয় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য। দেশের অনেক অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, ব্যারিয়ার নেই, এমনকি কোনো সতর্কতামূলক চিহ্নও নেই। এ কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ গাজীপুরের উক্ত স্থানে ব্যারিয়ার ছিল, গেটম্যানও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এ দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে।
গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রেলে এর আগেও অবহেলাজনিত কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার কোন দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষ কখনো নেয় না। দায়মুক্তির এ সংস্কৃতির কারণে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় এসেছে।
রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২ হাজার ৫৬১টি রেল ক্রসিংয় আছে। যার মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অনুমোদনহীন রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো
বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেই। রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যানরা যেন তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
অরক্ষিত ক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করতে হবে। যেসব স্থানে রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করা যায় কিনা- সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। অন্তত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ওভারপাস তৈরি করা জরুরি। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না, যানজটও কমবে।
সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল ক্রসিংয়ের উপর শ্রমিকবাহী একটি বাসে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে চারজন, আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলক্রসিং দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় ব্যারিয়ার নামানো ছিল না। তিনজন গেটম্যান দায়িত্ব পালন করলেও ঘটনার সময় সেখানে তাদের কেউই উপস্থিত ছিল না। দুর্ঘটনার পরও তাদের কারও দেখা মেলেনি। এ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার নামানো থাকলে গাজীপুরে উক্ত দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। দায়িত্ব পালনে যদি গেটম্যানরা তৎপর হতেন তাহলে হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার দেয়া বা গেটম্যান রাখাই হয় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য। দেশের অনেক অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, ব্যারিয়ার নেই, এমনকি কোনো সতর্কতামূলক চিহ্নও নেই। এ কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ গাজীপুরের উক্ত স্থানে ব্যারিয়ার ছিল, গেটম্যানও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এ দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে।
গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রেলে এর আগেও অবহেলাজনিত কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার কোন দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষ কখনো নেয় না। দায়মুক্তির এ সংস্কৃতির কারণে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় এসেছে।
রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২ হাজার ৫৬১টি রেল ক্রসিংয় আছে। যার মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অনুমোদনহীন রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো
বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেই। রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যানরা যেন তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
অরক্ষিত ক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করতে হবে। যেসব স্থানে রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করা যায় কিনা- সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। অন্তত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ওভারপাস তৈরি করা জরুরি। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না, যানজটও কমবে।