জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে দুই ছিনতাইকারীকে একাই ধরেছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
জবির শিক্ষার্থী একাই ছিনতাইকারী ধরার যে সাহস দেখিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। ছিনতাইকারী ধরার কাজটা সহজ নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ। অতীতে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন, প্রাণও হারিয়েছেন কেউ কেউ। যে কারণে ছিনতাইয়ের শিকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ধরার সাহস করে না। ঝামেলা ও হয়রানির ভয়ে পুলিশকেও জানায় না, কোন মামলা-মোকদ্দমা তো পরের কথা।
প্রশ্ন হচ্ছে- ছিনতাই বন্ধ বা ছিনতাইকারী ধরার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী। সাধারণ মানুষ খালি হাতে থাকে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সদস্যরা তো শহরের মোড়ে মোড়ে অস্ত্রসহ সজ্জিত অবস্থায় থাকেন। তারপরও রাজধানীতে এত ছিনতাই হয় কীভাবে?
দেখা যায় একটি গোষ্ঠী বা চক্র নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ছিনতাই করে। এসব এলাকায় অনেক ভবনের বাইরেই সিসি ক্যামেরা আছে। তারপরও ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে ছিনতাই করে কীভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। এমনকি ছিনতাই হওয়ার পরে অপরাধীদের ধরা বা ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুবর্লতাও লক্ষণীয়। জবির ওই ছাত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল গত তিন দিনেও উদ্ধার করা যায়নি।
ছিনতাইকারী ধরতে যাওয়া বা যেকোন অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সব সময় ঝুঁকিপুর্ণ। তাই বোধগম্য কারণেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। ঝুঁকি সত্ত্বেও দু’জন ছিনতাইকারীকে ধরেছে জবির শিক্ষার্থী। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বলতে গেলে প্রায় কেউই তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে যায়নি। উপস্থিত মানুষের মধ্যে অনেকেই মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা বা তামাশা দেখায় ব্যস্ত ছিল।
কেউ বিপদে পড়লে তার সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বা কোন অন্যায়-অনিয়ম হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ না করা অপরাধকেই উস্কে দেয়। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে অনেক অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। কোন অন্যায়-অপরাধ দেখলে সাধারণ মানুষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণ কী- সেটা সমাজবিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে পারেন।
সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে দুই ছিনতাইকারীকে একাই ধরেছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
জবির শিক্ষার্থী একাই ছিনতাইকারী ধরার যে সাহস দেখিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। ছিনতাইকারী ধরার কাজটা সহজ নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ। অতীতে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন, প্রাণও হারিয়েছেন কেউ কেউ। যে কারণে ছিনতাইয়ের শিকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ধরার সাহস করে না। ঝামেলা ও হয়রানির ভয়ে পুলিশকেও জানায় না, কোন মামলা-মোকদ্দমা তো পরের কথা।
প্রশ্ন হচ্ছে- ছিনতাই বন্ধ বা ছিনতাইকারী ধরার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী। সাধারণ মানুষ খালি হাতে থাকে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সদস্যরা তো শহরের মোড়ে মোড়ে অস্ত্রসহ সজ্জিত অবস্থায় থাকেন। তারপরও রাজধানীতে এত ছিনতাই হয় কীভাবে?
দেখা যায় একটি গোষ্ঠী বা চক্র নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ছিনতাই করে। এসব এলাকায় অনেক ভবনের বাইরেই সিসি ক্যামেরা আছে। তারপরও ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে ছিনতাই করে কীভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। এমনকি ছিনতাই হওয়ার পরে অপরাধীদের ধরা বা ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুবর্লতাও লক্ষণীয়। জবির ওই ছাত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল গত তিন দিনেও উদ্ধার করা যায়নি।
ছিনতাইকারী ধরতে যাওয়া বা যেকোন অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সব সময় ঝুঁকিপুর্ণ। তাই বোধগম্য কারণেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। ঝুঁকি সত্ত্বেও দু’জন ছিনতাইকারীকে ধরেছে জবির শিক্ষার্থী। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বলতে গেলে প্রায় কেউই তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে যায়নি। উপস্থিত মানুষের মধ্যে অনেকেই মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা বা তামাশা দেখায় ব্যস্ত ছিল।
কেউ বিপদে পড়লে তার সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বা কোন অন্যায়-অনিয়ম হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ না করা অপরাধকেই উস্কে দেয়। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে অনেক অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। কোন অন্যায়-অপরাধ দেখলে সাধারণ মানুষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণ কী- সেটা সমাজবিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে পারেন।