alt

সম্পাদকীয়

ছিনতাইকারী আটক : পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ভূমিকা

: সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে দুই ছিনতাইকারীকে একাই ধরেছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

জবির শিক্ষার্থী একাই ছিনতাইকারী ধরার যে সাহস দেখিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। ছিনতাইকারী ধরার কাজটা সহজ নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ। অতীতে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন, প্রাণও হারিয়েছেন কেউ কেউ। যে কারণে ছিনতাইয়ের শিকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ধরার সাহস করে না। ঝামেলা ও হয়রানির ভয়ে পুলিশকেও জানায় না, কোন মামলা-মোকদ্দমা তো পরের কথা।

প্রশ্ন হচ্ছে- ছিনতাই বন্ধ বা ছিনতাইকারী ধরার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী। সাধারণ মানুষ খালি হাতে থাকে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সদস্যরা তো শহরের মোড়ে মোড়ে অস্ত্রসহ সজ্জিত অবস্থায় থাকেন। তারপরও রাজধানীতে এত ছিনতাই হয় কীভাবে?

দেখা যায় একটি গোষ্ঠী বা চক্র নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ছিনতাই করে। এসব এলাকায় অনেক ভবনের বাইরেই সিসি ক্যামেরা আছে। তারপরও ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে ছিনতাই করে কীভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। এমনকি ছিনতাই হওয়ার পরে অপরাধীদের ধরা বা ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুবর্লতাও লক্ষণীয়। জবির ওই ছাত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল গত তিন দিনেও উদ্ধার করা যায়নি।

ছিনতাইকারী ধরতে যাওয়া বা যেকোন অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সব সময় ঝুঁকিপুর্ণ। তাই বোধগম্য কারণেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। ঝুঁকি সত্ত্বেও দু’জন ছিনতাইকারীকে ধরেছে জবির শিক্ষার্থী। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বলতে গেলে প্রায় কেউই তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে যায়নি। উপস্থিত মানুষের মধ্যে অনেকেই মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা বা তামাশা দেখায় ব্যস্ত ছিল।

কেউ বিপদে পড়লে তার সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বা কোন অন্যায়-অনিয়ম হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ না করা অপরাধকেই উস্কে দেয়। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে অনেক অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। কোন অন্যায়-অপরাধ দেখলে সাধারণ মানুষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণ কী- সেটা সমাজবিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে পারেন।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

ছিনতাইকারী আটক : পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ভূমিকা

সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রী রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে দুই ছিনতাইকারীকে একাই ধরেছে। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

জবির শিক্ষার্থী একাই ছিনতাইকারী ধরার যে সাহস দেখিয়েছেন সেটা প্রশংসনীয়। ছিনতাইকারী ধরার কাজটা সহজ নয়, বরং ঝুঁকিপূর্ণ। অতীতে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন, প্রাণও হারিয়েছেন কেউ কেউ। যে কারণে ছিনতাইয়ের শিকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের ধরার সাহস করে না। ঝামেলা ও হয়রানির ভয়ে পুলিশকেও জানায় না, কোন মামলা-মোকদ্দমা তো পরের কথা।

প্রশ্ন হচ্ছে- ছিনতাই বন্ধ বা ছিনতাইকারী ধরার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কী। সাধারণ মানুষ খালি হাতে থাকে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ সদস্যরা তো শহরের মোড়ে মোড়ে অস্ত্রসহ সজ্জিত অবস্থায় থাকেন। তারপরও রাজধানীতে এত ছিনতাই হয় কীভাবে?

দেখা যায় একটি গোষ্ঠী বা চক্র নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ছিনতাই করে। এসব এলাকায় অনেক ভবনের বাইরেই সিসি ক্যামেরা আছে। তারপরও ছিনতাইকারীরা নির্বিঘ্নে ছিনতাই করে কীভাবে- সেটা একটা প্রশ্ন। এমনকি ছিনতাই হওয়ার পরে অপরাধীদের ধরা বা ছিনতাই হওয়া মালামাল উদ্ধার করার ক্ষেত্রেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুবর্লতাও লক্ষণীয়। জবির ওই ছাত্রীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল গত তিন দিনেও উদ্ধার করা যায়নি।

ছিনতাইকারী ধরতে যাওয়া বা যেকোন অপরাধীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সব সময় ঝুঁকিপুর্ণ। তাই বোধগম্য কারণেই সাধারণ মানুষ নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। ঝুঁকি সত্ত্বেও দু’জন ছিনতাইকারীকে ধরেছে জবির শিক্ষার্থী। সেখানে অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বলতে গেলে প্রায় কেউই তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে যায়নি। উপস্থিত মানুষের মধ্যে অনেকেই মোবাইলে ভিডিও ধারণ করা বা তামাশা দেখায় ব্যস্ত ছিল।

কেউ বিপদে পড়লে তার সাহায্যে এগিয়ে না যাওয়া বা কোন অন্যায়-অনিয়ম হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ না করা অপরাধকেই উস্কে দেয়। সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসলে অনেক অন্যায়-অপরাধ সংঘটিত হতে পারে না। কোন অন্যায়-অপরাধ দেখলে সাধারণ মানুষের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার কারণ কী- সেটা সমাজবিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখতে পারেন।

back to top