alt

সম্পাদকীয়

রাজধানীর প্রবেশমুখের যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

: বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

পদ্মা সেতু রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের পথ সহজ ও মসৃণ করবে-এমনটা প্রত্যাশা ছিল। আশা করা হয়েছিল, সেতু চালু হলে কম সময় বা ফেরি পারাপারে সময় অপচয় না করে রাজধানীতে আসা-যাওয়া করা যাবে। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন ফিকে হতে চলছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে। এসব যানবাহন ৫-৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হলেও রাজধানীর প্রবেশমুখে দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে যানজটে। এক্ষেত্রে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে যানজট লেগেই থাকে। আগে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে সময় লাগত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এখন ঢাকার এ প্রবেশমুখেই ২-৩ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়।

যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভার হওয়ার পরে যানজট ছিল না। ফলে রাজধানীতে প্রবেশে যাত্রী সাধারণের সময়ও কম লেগেছে। এখন যানজটের কারণে শুধু পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা যানবাহনই নয়; ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাড়ছে শহরতলীর যানজটও। যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন সড়কের ২-৩ কিলোমিটারজুড়ে যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীসাধারণের।

যানজটের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর আন্তঃজেলা পরিবহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। এর চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সড়কে চরম অব্যবস্থাপনা। সংবাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সড়কের দুই পাশে বাসের অবৈধ পার্কিং, বিভিন্ন বাস কোম্পানির একাধিক কাউন্টার, চৌরাস্তায় সড়ক বন্ধ করে বাজার ও দোকান, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, সড়কের মাঝখান দিয়ে গাড়ি ঘোরানো, পুলিশ ও স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদাবাজি, যততত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো, ফুটপাতের দোকান এবং সড়কের খানাখন্দের কারণে যানজট লেগেই থাকে।

পদ্মা সেতুর কাক্সিক্ষত সুফল পেতে হলে অবিলম্বে এ যানজট নিরসন করতে হবে। এজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প মেয়াদে সড়কের সব অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে। দ্রুত সড়ক সংস্কার করে খানখন্দ দূর করতে হবে, যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে। আন্তঃজেলার বেশিরভাগ পরিবহনই ফ্লাইওভার ব্যবহার না করে নিচের সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এতে নিচের সড়কে চাপ আরও বেড়ে যায়। এসব পরিবহনকে ফ্লাইওভার ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে।

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাসের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। হয় বাস টর্মিনালের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে, নতুবা নতুন টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মা সেতু ও মাওয়া মহাসড়ক নির্মাণের ফলে ঢাকার বাইরের খন্ডিত যানজট ঢাকার প্রবেশমুখে নিয়ে আসা হয়েছে। সময় বাঁচানো ও যানজট নিরসনে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও সমন্বিত উন্নয়ন না করায় এসবের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার ৮টি মহাসড়কে প্রবেশের জন্য লিংক রোড নির্মাণ করতে হবে। পদ্মা সেতুর ‘ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্ক’ ইনার সার্কুলার রুটের গাবতলী সোয়ারীঘাট হয়ে কেরানীগঞ্জের সাড়ে ১২ কিলোমিটার অংশ অগ্রাধিকারে ভিত্তিতে নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে ঢাকার প্রবেশমুখের যানজট দূর হবে না।

যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

রাজধানীর প্রবেশমুখের যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

বুধবার, ২৭ জুলাই ২০২২

পদ্মা সেতু রাজধানীর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীসাধারণের যাতায়াতের পথ সহজ ও মসৃণ করবে-এমনটা প্রত্যাশা ছিল। আশা করা হয়েছিল, সেতু চালু হলে কম সময় বা ফেরি পারাপারে সময় অপচয় না করে রাজধানীতে আসা-যাওয়া করা যাবে। কিন্তু সে স্বপ্ন এখন ফিকে হতে চলছে।

পদ্মা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২০-৩০ হাজার যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করছে। এসব যানবাহন ৫-৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হলেও রাজধানীর প্রবেশমুখে দীর্ঘ সময় আটকে থাকছে যানজটে। এক্ষেত্রে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে যানজট লেগেই থাকে। আগে ফেরিতে পদ্মা নদী পার হতে সময় লাগত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। এখন ঢাকার এ প্রবেশমুখেই ২-৩ ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়।

যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভার হওয়ার পরে যানজট ছিল না। ফলে রাজধানীতে প্রবেশে যাত্রী সাধারণের সময়ও কম লেগেছে। এখন যানজটের কারণে শুধু পদ্মা সেতু পার হয়ে আসা যানবাহনই নয়; ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাড়ছে শহরতলীর যানজটও। যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন সড়কের ২-৩ কিলোমিটারজুড়ে যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীসাধারণের।

যানজটের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর আন্তঃজেলা পরিবহনের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়া। এর চেয়ে বড় কারণ হচ্ছে সড়কে চরম অব্যবস্থাপনা। সংবাদের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সড়কের দুই পাশে বাসের অবৈধ পার্কিং, বিভিন্ন বাস কোম্পানির একাধিক কাউন্টার, চৌরাস্তায় সড়ক বন্ধ করে বাজার ও দোকান, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, সড়কের মাঝখান দিয়ে গাড়ি ঘোরানো, পুলিশ ও স্থানীয় মাস্তানদের চাঁদাবাজি, যততত্র বাস থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো, ফুটপাতের দোকান এবং সড়কের খানাখন্দের কারণে যানজট লেগেই থাকে।

পদ্মা সেতুর কাক্সিক্ষত সুফল পেতে হলে অবিলম্বে এ যানজট নিরসন করতে হবে। এজন্য স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বল্প মেয়াদে সড়কের সব অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে। দ্রুত সড়ক সংস্কার করে খানখন্দ দূর করতে হবে, যানবাহন চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হবে। আন্তঃজেলার বেশিরভাগ পরিবহনই ফ্লাইওভার ব্যবহার না করে নিচের সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এতে নিচের সড়কে চাপ আরও বেড়ে যায়। এসব পরিবহনকে ফ্লাইওভার ব্যবহারে বাধ্য করতে হবে।

রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাসের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। হয় বাস টর্মিনালের ধারণক্ষমতা বাড়াতে হবে, নতুবা নতুন টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পদ্মা সেতু ও মাওয়া মহাসড়ক নির্মাণের ফলে ঢাকার বাইরের খন্ডিত যানজট ঢাকার প্রবেশমুখে নিয়ে আসা হয়েছে। সময় বাঁচানো ও যানজট নিরসনে বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও সমন্বিত উন্নয়ন না করায় এসবের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকার ৮টি মহাসড়কে প্রবেশের জন্য লিংক রোড নির্মাণ করতে হবে। পদ্মা সেতুর ‘ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্ক’ ইনার সার্কুলার রুটের গাবতলী সোয়ারীঘাট হয়ে কেরানীগঞ্জের সাড়ে ১২ কিলোমিটার অংশ অগ্রাধিকারে ভিত্তিতে নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে ঢাকার প্রবেশমুখের যানজট দূর হবে না।

যানজট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top