অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নানান ভুল থাকে। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। সেখানে চাওয়া হয় নানান দলিলাদি। যার কোনো কোনোটির প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এনআইডি সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আর যারা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বয়ে বেড়ান।
জানা গেছে, দেশে এনআইডি সংশোধনের জন্য প্রায় ১০ লাখ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন কবে সুরাহা হবে সেটা অনিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে মাঠপর্যায়ে অযৌক্তিক দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে শ্রেণীভেদে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এনআইডি সংশোধনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তিকে সহজ ও গতিশীল করা। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। এখন নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেনে চললে অনেক জটিলতার অবসান হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ইসির নির্দেশনা সংশ্লিষ্টরা যেন মেনে চলেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বাবস্থায় নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, কেউ যেন এ সুযোগের অপব্যবহার না করে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা নানানভাবে এনআইডি কার্ড নিয়েছে। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের মদত দিয়েছে। এখন এনআইডি সংশোধনের কাজকে সহজ করায় কেউ যেন এর ফায়দা না লোটে- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই ২০২২
অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) নানান ভুল থাকে। নামের বানান, জন্ম তারিখ, ঠিকানাসহ বিভিন্ন তথ্যে ভুল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। নাগরিকদের জীবনে এনআইডি এখন অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ভুলত্রুটিপূর্ণ এনআইডির কারণে তাদের সমস্যায় পড়তে হয়।
ভুল সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলে শুরু হয় আরেক ভোগান্তি। সেখানে চাওয়া হয় নানান দলিলাদি। যার কোনো কোনোটির প্রয়োজনীয়তা বা যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে এনআইডি সংশোধনের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আর যারা কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেন না তারা বাধ্য হয়ে এনআইডির ভুল বয়ে বেড়ান।
জানা গেছে, দেশে এনআইডি সংশোধনের জন্য প্রায় ১০ লাখ আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এসব আবেদন কবে সুরাহা হবে সেটা অনিশ্চিত।
আশার কথা হচ্ছে, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে মাঠপর্যায়ে অযৌক্তিক দলিলাদি চাওয়া থেকে বিরত থাকতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এনআইডি সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করতে শ্রেণীভেদে সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এনআইডি সংশোধনের সেবা বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তিকে সহজ ও গতিশীল করা। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। এখন নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মেনে চললে অনেক জটিলতার অবসান হবে বলে আমরা আশা করতে চাই। ইসির নির্দেশনা সংশ্লিষ্টরা যেন মেনে চলেন- সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সর্বাবস্থায় নাগরিকদের দুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
পাশাপাশি এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে যে, কেউ যেন এ সুযোগের অপব্যবহার না করে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া অনেক রোহিঙ্গা নানানভাবে এনআইডি কার্ড নিয়েছে। একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের মদত দিয়েছে। এখন এনআইডি সংশোধনের কাজকে সহজ করায় কেউ যেন এর ফায়দা না লোটে- সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।