alt

সম্পাদকীয়

হেপাটাইটিস প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়ান

: শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

লিভার ক্যানসার ও সিরোসিসের প্রধান কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস। দেশে হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি। তাদের মধ্যে বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৮৫ লাখ; অন্যরা আক্রান্ত সি ভাইরাসে। উদ্বেগের বিষয় হলো তাদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের ৯ জনই জানেন না, তারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত। দেশে প্রতি বছর হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২০ হাজার মানুষ। এমন পটভূমিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গত ২৮ জুলাই পালিত হয়েছে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- হেপাটাইটিস নির্মূলে এখনই সময়।

দেশে প্রায় সব রোগের আধুনিক চিকিৎসা পাশাপাশি ওষুধপত্র পাওয়া যায়। তবে হেপাটাইটিসসের মতো প্রাণঘাতী রোগটি নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য এখনো বিভাগীয় বা বড় শহরে যেতে হয়। এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়ও বেশি, যা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। তা ছাড়া এ রোগের চিকিৎসায় সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ নেই। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হেপাটাইটিসকে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দেশে এ রোগের বর্তমান পরিসংখ্যানেও তেমটাই দেখা যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিসে সংক্রমণ ৯০ শতাংশ ও মৃত্যু ৬৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।

দেশে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কার্যকর টিকা বিদ্যমান রয়েছে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। তাই হেপাটাইটিস রোধে শুধু দরকার কার্যকর এবং কৌশলগত পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্টদের এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

ডব্লিউএইচও হেপাটাইটিসের চিকিৎসাকে কমিউনিটির কাছাকাছি বা প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যার যে ধরনের হেপাটাইটিসই থাকুক না কেন, তিনি যেন সঠিক চিকিৎসা সহজেই পেতে পারেন সে কথা বলেছে সংস্থাটি। আমাদের দেশে ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটু উদ্যোগ নিলে এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীকে হেপাটাইটিস ভাইরাস সম্পর্কে জানানো সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এর বাইরে হেপাটাইটিস ডাক্তারের সংখ্যা অনেক বাড়াতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ সেক্টর স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, হেপাটাইটিস নির্মূলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকাদান, হেপাটাইটিসে আক্রান্ত মায়ের সন্তান জন্মদানের সময় নবজাতককে টিকাদান, নিরাপদ ইনজেকশনের ব্যবহার, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ডায়াগনসিস ও আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা- এ পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।

দেশে ২০০৩ সাল থেকে ইপিআই শিডিউলে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনকে যুক্ত করা হয়েছে। পিছিয়ে রয়েছে আক্রান্তদের ডায়াগনসিস ও চিকিৎসায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেপাটাইটিস সির মুখে খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ রোগ নির্মূল সম্ভব হলেও দাম অনেক বেশি। তাই বিনা মূল্যে কিংবা স্বল্প মূল্যে এসব ওষুধ সরবরাহ করা হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। যেমনটা পাওয়া সম্ভব হয়েছে যক্ষ্মা রোগীদের বেলায়। এর বাইরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা সবার জন্য বিনা মূল্যে দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, সুই-সিরিঞ্জের ব্যবহার ও অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্কের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস ছড়ায়। কোন পরিবারে একজনের হেপাটাইটিস হলে প্রায় সবার হতে পারে। তাই হেপাটাইটিস ভাইরাস সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। হেপাটাইটিস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

প্রকৃত উপকারভোগীদের বয়স্কভাতা কার্ড প্রাপ্তি নিশ্চিত করুন

ইবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ আমলে নিন

কৃষককে পাটের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে

সড়ক-মহাসড়ক টেকসই হয় না কেন

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

এলপিজি : বিইআরসির নির্ধারিত দর কার্যকর করতে হবে

‘প্রকৃতির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের’ রক্ষায় তৎপর হতে হবে

আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ল কেন

শিক্ষার প্রকল্প বাস্তবায়নে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিন

সিডও সনদ ও নারীর অগ্রগতি

সাঙ্গু নদীর ঝুলন্ত সেতু সংস্কার করুন

রাজধানীর খাল রক্ষায় সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

হেপাটাইটিস প্রতিরোধে তৎপরতা বাড়ান

শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২

লিভার ক্যানসার ও সিরোসিসের প্রধান কারণ হচ্ছে হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস। দেশে হেপাটাইটিস ভাইরাসের আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি। তাদের মধ্যে বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৮৫ লাখ; অন্যরা আক্রান্ত সি ভাইরাসে। উদ্বেগের বিষয় হলো তাদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের ৯ জনই জানেন না, তারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত। দেশে প্রতি বছর হেপাটাইটিস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ২০ হাজার মানুষ। এমন পটভূমিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গত ২৮ জুলাই পালিত হয়েছে বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- হেপাটাইটিস নির্মূলে এখনই সময়।

দেশে প্রায় সব রোগের আধুনিক চিকিৎসা পাশাপাশি ওষুধপত্র পাওয়া যায়। তবে হেপাটাইটিসসের মতো প্রাণঘাতী রোগটি নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য এখনো বিভাগীয় বা বড় শহরে যেতে হয়। এ রোগের চিকিৎসা ব্যয়ও বেশি, যা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে। তা ছাড়া এ রোগের চিকিৎসায় সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা রোডম্যাপ নেই। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হেপাটাইটিসকে বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দেশে এ রোগের বর্তমান পরিসংখ্যানেও তেমটাই দেখা যাচ্ছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে হেপাটাইটিসে সংক্রমণ ৯০ শতাংশ ও মৃত্যু ৬৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে হবে।

দেশে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের কার্যকর টিকা বিদ্যমান রয়েছে। হেপাটাইটিস সি ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। তাই হেপাটাইটিস রোধে শুধু দরকার কার্যকর এবং কৌশলগত পরিকল্পনা। সংশ্লিষ্টদের এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।

ডব্লিউএইচও হেপাটাইটিসের চিকিৎসাকে কমিউনিটির কাছাকাছি বা প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যার যে ধরনের হেপাটাইটিসই থাকুক না কেন, তিনি যেন সঠিক চিকিৎসা সহজেই পেতে পারেন সে কথা বলেছে সংস্থাটি। আমাদের দেশে ১৮ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটু উদ্যোগ নিলে এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীকে হেপাটাইটিস ভাইরাস সম্পর্কে জানানো সম্ভব। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। এর বাইরে হেপাটাইটিস ডাক্তারের সংখ্যা অনেক বাড়াতে হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল হেলথ সেক্টর স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী, হেপাটাইটিস নির্মূলে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকাদান, হেপাটাইটিসে আক্রান্ত মায়ের সন্তান জন্মদানের সময় নবজাতককে টিকাদান, নিরাপদ ইনজেকশনের ব্যবহার, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ডায়াগনসিস ও আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা- এ পাঁচটি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে।

দেশে ২০০৩ সাল থেকে ইপিআই শিডিউলে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনকে যুক্ত করা হয়েছে। পিছিয়ে রয়েছে আক্রান্তদের ডায়াগনসিস ও চিকিৎসায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হেপাটাইটিস সির মুখে খাওয়ার ওষুধের মাধ্যমে প্রায় শতভাগ রোগ নির্মূল সম্ভব হলেও দাম অনেক বেশি। তাই বিনা মূল্যে কিংবা স্বল্প মূল্যে এসব ওষুধ সরবরাহ করা হলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। যেমনটা পাওয়া সম্ভব হয়েছে যক্ষ্মা রোগীদের বেলায়। এর বাইরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা সবার জন্য বিনা মূল্যে দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালন, সুই-সিরিঞ্জের ব্যবহার ও অনিরাপদ দৈহিক সম্পর্কের মাধ্যমে হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস ছড়ায়। কোন পরিবারে একজনের হেপাটাইটিস হলে প্রায় সবার হতে পারে। তাই হেপাটাইটিস ভাইরাস সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। হেপাটাইটিস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই অনেক বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

back to top