alt

সম্পাদকীয়

চাই সুরক্ষিত রেলক্রসিং

: শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেলক্রসিংয়ে গতকাল শুক্রবার একটি মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা লেগে ১১ জন মারা গেছেন। নিহতদের সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। অভিযোগ উঠেছে, গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত গেটম্যানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে পুলিশ মামলা করেছে।

রেলক্রসিংয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়েই ঘটে। বাংলাদেশ রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, রেল দুর্ঘটনায় ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২২১ জন মারা গেছেন। যাদের মধ্যে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৮৭ জন। দেশের রেলক্রসিংগুলো যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। অরক্ষিত রেলক্রসিং তো বটেই সুরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত ক্রসিংয়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ক্রসিংয়ে মূলত গেটম্যানদের অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মিরসরাইয়েও একই অভিযোগ মিলেছে।

মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেল দুর্ঘটনার তদন্তের পর কী হয় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ তদন্তই হয় দায়সারা। অনেক তদন্তের প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। যেগুলো আলোর মুখ দেখে সেগুলো গৎবাঁধা। বেশিরভাগ তদন্তেই ঘটনার বর্ণনা প্রায় একই রকম থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেসব সুপারিশ করা হয় তা বাস্তবায়ন হয় না। কোন তদন্তে রেলের কাউকে দায়ী করা হলেও দেয়া হয় লঘুদন্ড।

গেটম্যানদের দায়িত্বশীল হওয়ার পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে গৎবাঁধা প্রক্রিয়া। সমস্যা হচ্ছে, রেল দুর্ঘটনার কোন দায়দায়িত্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও কখনো স্বীকার করে না। রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানি ঘটলে তার জন্য শাস্তির কোন বিধান প্রচলিত আইনে নেই। বরং দুর্ঘটনার শিকার যানবাহনের চালককেই দায়ী করা হয়।

রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, অনেক ক্রসিংয় দেখভালের দায়িত্ব তারা নিতে নারাজ। রেলের ওপর দিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ সড়ক তৈরি করে তাদেরই ক্রসিং দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপায়। আর দায় চাপানোর এই খেলায় বলি হন সাধারণ মানুষ।

রেলক্রসিং নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ক্রসিংয়ের ওপর ওভারপাস তৈরি করতে হবে। দেশের কোথাও কোথাও ক্রসিংয়ের ওপর ওভারপাস তৈরি করা হয়েছে। তার সুফলও মিলেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানেও বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরি করতে হবে।

সব ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশিক্ষিত গেটম্যান রাখতে হবে। মিরসরাইয়ের উক্ত রেলগেট অস্থায়ী অপ্রশিক্ষিত ওয়েম্যান দায়িত্ব পালন করছে বলে জানা গেছে। গেট রক্ষার কাজ প্রশিক্ষিত লোক দিয়ে করা হলে এই দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। মিরসরাইসহ অন্যান্য স্থানে প্রশিক্ষিত গেটম্যান নিয়োগ দেয়া জরুরি।

আমরা সুরক্ষিত রেলক্রসিং চাই। অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে বা কারও কোন অবহেলায় আর একটি প্রাণও যেন না ঝরে সেটাই আমাদের চাওয়া।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

চাই সুরক্ষিত রেলক্রসিং

শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে রেলক্রসিংয়ে গতকাল শুক্রবার একটি মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কা লেগে ১১ জন মারা গেছেন। নিহতদের সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী। অভিযোগ উঠেছে, গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত গেটম্যানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে রেলওয়ে পুলিশ মামলা করেছে।

রেলক্রসিংয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়েই ঘটে। বাংলাদেশ রেলওয়ের হিসাব অনুযায়ী, রেল দুর্ঘটনায় ২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ২২১ জন মারা গেছেন। যাদের মধ্যে রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৮৭ জন। দেশের রেলক্রসিংগুলো যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। অরক্ষিত রেলক্রসিং তো বটেই সুরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত ক্রসিংয়েও দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব ক্রসিংয়ে মূলত গেটম্যানদের অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। মিরসরাইয়েও একই অভিযোগ মিলেছে।

মিরসরাইয়ের দুর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেল দুর্ঘটনার তদন্তের পর কী হয় সেই প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ তদন্তই হয় দায়সারা। অনেক তদন্তের প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। যেগুলো আলোর মুখ দেখে সেগুলো গৎবাঁধা। বেশিরভাগ তদন্তেই ঘটনার বর্ণনা প্রায় একই রকম থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। যেসব সুপারিশ করা হয় তা বাস্তবায়ন হয় না। কোন তদন্তে রেলের কাউকে দায়ী করা হলেও দেয়া হয় লঘুদন্ড।

গেটম্যানদের দায়িত্বশীল হওয়ার পথে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে গৎবাঁধা প্রক্রিয়া। সমস্যা হচ্ছে, রেল দুর্ঘটনার কোন দায়দায়িত্ব রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও কখনো স্বীকার করে না। রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানি ঘটলে তার জন্য শাস্তির কোন বিধান প্রচলিত আইনে নেই। বরং দুর্ঘটনার শিকার যানবাহনের চালককেই দায়ী করা হয়।

রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, অনেক ক্রসিংয় দেখভালের দায়িত্ব তারা নিতে নারাজ। রেলের ওপর দিয়ে যেসব কর্তৃপক্ষ সড়ক তৈরি করে তাদেরই ক্রসিং দেখভালের দায়িত্ব নিতে হয়। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের জন্য এক কর্তৃপক্ষ আরেক কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে দায় চাপায়। আর দায় চাপানোর এই খেলায় বলি হন সাধারণ মানুষ।

রেলক্রসিং নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে যেখানে প্রয়োজন সেখানে ক্রসিংয়ের ওপর ওভারপাস তৈরি করতে হবে। দেশের কোথাও কোথাও ক্রসিংয়ের ওপর ওভারপাস তৈরি করা হয়েছে। তার সুফলও মিলেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানেও বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ ক্রসিংয়ে ওভারপাস তৈরি করতে হবে।

সব ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রশিক্ষিত গেটম্যান রাখতে হবে। মিরসরাইয়ের উক্ত রেলগেট অস্থায়ী অপ্রশিক্ষিত ওয়েম্যান দায়িত্ব পালন করছে বলে জানা গেছে। গেট রক্ষার কাজ প্রশিক্ষিত লোক দিয়ে করা হলে এই দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। মিরসরাইসহ অন্যান্য স্থানে প্রশিক্ষিত গেটম্যান নিয়োগ দেয়া জরুরি।

আমরা সুরক্ষিত রেলক্রসিং চাই। অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে বা কারও কোন অবহেলায় আর একটি প্রাণও যেন না ঝরে সেটাই আমাদের চাওয়া।

back to top