বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বড় একটি অংশের অবস্থান বাংলাদেশে। ২০১৮ সাল করা এক জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০। একক জায়গা হিসেবে এক সময় সুন্দরবনেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল। নানা কারণে বাঘকে ‘বিপদাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনের আয়তন বাংলাদেশ অংশে ১৭৭৬ সালে ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৬ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, গত প্রায় আড়াইশ’ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।
সুন্দরবনের পাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি ও শিল্প কলকারখানা। বনের অনেক নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। চোরা শিকারিরা নিয়মিতই হরিণ মারছে। এসব কারণে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবার সংকটে পড়েছে। এসব প্রাণী প্রায়ই খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।
বাঘকে রক্ষা করতে হলে এর আবাসস্থল সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন থাকলে যেমন বাঘ রক্ষা পাবে, আবার বাঘ রক্ষা পেলে বনও রক্ষা পাবে। বনের বাস্তুসংস্থান ও টিকে থাকার জন্য বাঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোন কারণে বাঘ বিলুপ্ত হলে বাস্তুসংস্থান নষ্ট হবে, হুমকির মুখে পড়বে বন।
স্লোগান দিয়ে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার দায়িত্ব মূলত নিতে হবে সরকারকেই। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে সরকার। বনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে, বাঘ রক্ষা পাবে। তবে বনকে ঘিরে যেসব শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে তা বন্ধ করা না গেলে বন ও বাঘ রক্ষা করা কঠিন হবে।
রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বড় একটি অংশের অবস্থান বাংলাদেশে। ২০১৮ সাল করা এক জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০। একক জায়গা হিসেবে এক সময় সুন্দরবনেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল। নানা কারণে বাঘকে ‘বিপদাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনের আয়তন বাংলাদেশ অংশে ১৭৭৬ সালে ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৬ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, গত প্রায় আড়াইশ’ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।
সুন্দরবনের পাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি ও শিল্প কলকারখানা। বনের অনেক নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। চোরা শিকারিরা নিয়মিতই হরিণ মারছে। এসব কারণে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবার সংকটে পড়েছে। এসব প্রাণী প্রায়ই খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।
বাঘকে রক্ষা করতে হলে এর আবাসস্থল সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন থাকলে যেমন বাঘ রক্ষা পাবে, আবার বাঘ রক্ষা পেলে বনও রক্ষা পাবে। বনের বাস্তুসংস্থান ও টিকে থাকার জন্য বাঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোন কারণে বাঘ বিলুপ্ত হলে বাস্তুসংস্থান নষ্ট হবে, হুমকির মুখে পড়বে বন।
স্লোগান দিয়ে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার দায়িত্ব মূলত নিতে হবে সরকারকেই। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে সরকার। বনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে, বাঘ রক্ষা পাবে। তবে বনকে ঘিরে যেসব শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে তা বন্ধ করা না গেলে বন ও বাঘ রক্ষা করা কঠিন হবে।