alt

সম্পাদকীয়

বাঘ রক্ষা করতে হলে সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে

: রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বড় একটি অংশের অবস্থান বাংলাদেশে। ২০১৮ সাল করা এক জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০। একক জায়গা হিসেবে এক সময় সুন্দরবনেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল। নানা কারণে বাঘকে ‘বিপদাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনের আয়তন বাংলাদেশ অংশে ১৭৭৬ সালে ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৬ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, গত প্রায় আড়াইশ’ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।

সুন্দরবনের পাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি ও শিল্প কলকারখানা। বনের অনেক নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। চোরা শিকারিরা নিয়মিতই হরিণ মারছে। এসব কারণে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবার সংকটে পড়েছে। এসব প্রাণী প্রায়ই খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।

বাঘকে রক্ষা করতে হলে এর আবাসস্থল সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন থাকলে যেমন বাঘ রক্ষা পাবে, আবার বাঘ রক্ষা পেলে বনও রক্ষা পাবে। বনের বাস্তুসংস্থান ও টিকে থাকার জন্য বাঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোন কারণে বাঘ বিলুপ্ত হলে বাস্তুসংস্থান নষ্ট হবে, হুমকির মুখে পড়বে বন।

স্লোগান দিয়ে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার দায়িত্ব মূলত নিতে হবে সরকারকেই। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে সরকার। বনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে, বাঘ রক্ষা পাবে। তবে বনকে ঘিরে যেসব শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে তা বন্ধ করা না গেলে বন ও বাঘ রক্ষা করা কঠিন হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

বাঘ রক্ষা করতে হলে সুন্দরবনকে বাঁচাতে হবে

রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বড় একটি অংশের অবস্থান বাংলাদেশে। ২০১৮ সাল করা এক জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘ রয়েছে ১১৪টি। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশের করা এক যৌথ জরিপে বলা হয়েছিল, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৪৫০। একক জায়গা হিসেবে এক সময় সুন্দরবনেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বাঘ ছিল। নানা কারণে বাঘকে ‘বিপদাপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

গত শুক্রবার ছিল বিশ্ব বাঘ দিবস। এবারের ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।

বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবনের আয়তন বাংলাদেশ অংশে ১৭৭৬ সালে ছিল ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার। ২০১৬ সালে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) করা এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, গত প্রায় আড়াইশ’ বছরে বনের আয়তন কমে হয়েছে ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও কম।

সুন্দরবনের পাশে গড়ে উঠেছে জনবসতি ও শিল্প কলকারখানা। বনের অনেক নদী-খাল ভরাট হয়ে গেছে। বাঘের প্রধান খাবার হরিণ। চোরা শিকারিরা নিয়মিতই হরিণ মারছে। এসব কারণে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী খাবার সংকটে পড়েছে। এসব প্রাণী প্রায়ই খাবারের খোঁজে চলে আসছে লোকালয়ে।

বাঘকে রক্ষা করতে হলে এর আবাসস্থল সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। সুন্দরবন থাকলে যেমন বাঘ রক্ষা পাবে, আবার বাঘ রক্ষা পেলে বনও রক্ষা পাবে। বনের বাস্তুসংস্থান ও টিকে থাকার জন্য বাঘের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কোন কারণে বাঘ বিলুপ্ত হলে বাস্তুসংস্থান নষ্ট হবে, হুমকির মুখে পড়বে বন।

স্লোগান দিয়ে বা দিবস পালন করে বাঘ রক্ষা করা যাবে না। বাঘ রক্ষার দায়িত্ব মূলত নিতে হবে সরকারকেই। বাঘ রক্ষার কাজে অর্থায়ন করতে হবে, বনবিভাগের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বাঘ হত্যা ও চোরা শিকার বন্ধ করাও জরুরি। সুন্দরবনের আয়তন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃত্রিম ম্যানগ্রোভ তৈরি করছে সরকার। বনের বিস্তৃতি ঘটলে পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য উপকৃত হবে, বাঘ রক্ষা পাবে। তবে বনকে ঘিরে যেসব শিল্পকারখানা স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে তা বন্ধ করা না গেলে বন ও বাঘ রক্ষা করা কঠিন হবে।

back to top