দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শেষ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। তবে এখানেই সংলাপের ইতি ঘটছে ন। কমিশন বলেছে, কৌশলপত্র তৈরি করে বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে।
ইসির সংলাপ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ থেকে অর্জন কী হয়েছে সেটাও ভাববার বিষয়। দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি। এদের মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। এসব দল মূলত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যেসব দল সংলাপে অংশ নিয়েছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই পরস্পরবিরোধী। কোন কোন দল নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সংলাপে ইভিএমের বিরোধিতা যেমন করা হয়েছে, এর পক্ষেও কথা বলা হয়েছে।
পরস্পরবিরোধী এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে সেটা দেখার বিষয়। তবে কিছু বিষয়ে তাদের করণীয় কিছুই নেই। যেমন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা ইসির এখতিয়ারের বাইরে। অবশ্য ইভিএম বিতর্কের অবসানে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি লাগানো, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন, রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি বন্ধ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করা, নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধের প্রশ্নেও অনেক প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে কমিশন।
ইসি বলছে, কৌশলপত্র তৈরি করে আবার বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে। এবার যেসব দল সংলাপে আসেনি তাদেরও তখন ডাকা হবে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ করা হবে। এরপর নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশলপত্র ঠিক করা হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার পথে ইসির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ তারা কীভাবে মোকাবিলা করছে তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। কাজেই তাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে একেকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২
দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শেষ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। তবে এখানেই সংলাপের ইতি ঘটছে ন। কমিশন বলেছে, কৌশলপত্র তৈরি করে বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে।
ইসির সংলাপ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ থেকে অর্জন কী হয়েছে সেটাও ভাববার বিষয়। দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি। এদের মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। এসব দল মূলত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
যেসব দল সংলাপে অংশ নিয়েছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই পরস্পরবিরোধী। কোন কোন দল নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সংলাপে ইভিএমের বিরোধিতা যেমন করা হয়েছে, এর পক্ষেও কথা বলা হয়েছে।
পরস্পরবিরোধী এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে সেটা দেখার বিষয়। তবে কিছু বিষয়ে তাদের করণীয় কিছুই নেই। যেমন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা ইসির এখতিয়ারের বাইরে। অবশ্য ইভিএম বিতর্কের অবসানে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি লাগানো, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন, রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি বন্ধ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করা, নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধের প্রশ্নেও অনেক প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে কমিশন।
ইসি বলছে, কৌশলপত্র তৈরি করে আবার বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে। এবার যেসব দল সংলাপে আসেনি তাদেরও তখন ডাকা হবে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ করা হবে। এরপর নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশলপত্র ঠিক করা হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার পথে ইসির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ তারা কীভাবে মোকাবিলা করছে তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। কাজেই তাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে একেকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।