alt

সম্পাদকীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ প্রসঙ্গে

: মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২

দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শেষ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। তবে এখানেই সংলাপের ইতি ঘটছে ন। কমিশন বলেছে, কৌশলপত্র তৈরি করে বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে।

ইসির সংলাপ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ থেকে অর্জন কী হয়েছে সেটাও ভাববার বিষয়। দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি। এদের মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। এসব দল মূলত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

যেসব দল সংলাপে অংশ নিয়েছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই পরস্পরবিরোধী। কোন কোন দল নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সংলাপে ইভিএমের বিরোধিতা যেমন করা হয়েছে, এর পক্ষেও কথা বলা হয়েছে।

পরস্পরবিরোধী এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে সেটা দেখার বিষয়। তবে কিছু বিষয়ে তাদের করণীয় কিছুই নেই। যেমন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা ইসির এখতিয়ারের বাইরে। অবশ্য ইভিএম বিতর্কের অবসানে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি লাগানো, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন, রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি বন্ধ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করা, নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধের প্রশ্নেও অনেক প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে কমিশন।

ইসি বলছে, কৌশলপত্র তৈরি করে আবার বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে। এবার যেসব দল সংলাপে আসেনি তাদেরও তখন ডাকা হবে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ করা হবে। এরপর নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশলপত্র ঠিক করা হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার পথে ইসির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ তারা কীভাবে মোকাবিলা করছে তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। কাজেই তাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে একেকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির সংলাপ প্রসঙ্গে

মঙ্গলবার, ০২ আগস্ট ২০২২

দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপ শেষ হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপের আয়োজন করেছিল ইসি। তবে এখানেই সংলাপের ইতি ঘটছে ন। কমিশন বলেছে, কৌশলপত্র তৈরি করে বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে।

ইসির সংলাপ কতটা সফল হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ থেকে অর্জন কী হয়েছে সেটাও ভাববার বিষয়। দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৩৯টি। এদের মধ্যে বিএনপিসহ ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। এসব দল মূলত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

যেসব দল সংলাপে অংশ নিয়েছে তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে নানা প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের বেশিরভাগই পরস্পরবিরোধী। কোন কোন দল নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ বা সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সংলাপে ইভিএমের বিরোধিতা যেমন করা হয়েছে, এর পক্ষেও কথা বলা হয়েছে।

পরস্পরবিরোধী এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কী পদক্ষেপ নেবে সেটা দেখার বিষয়। তবে কিছু বিষয়ে তাদের করণীয় কিছুই নেই। যেমন নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে সেটা ইসির এখতিয়ারের বাইরে। অবশ্য ইভিএম বিতর্কের অবসানে তাদের ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে সিসিটিভি লাগানো, নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েন, রাজনৈতিক মামলা ও হয়রানি বন্ধ করা, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, ডিসিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করা, নির্বাচনে ধর্মের ব্যবহার বন্ধ করা, কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার বন্ধের প্রশ্নেও অনেক প্রস্তাব এসেছে। এসব প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার কথা বলেছে কমিশন।

ইসি বলছে, কৌশলপত্র তৈরি করে আবার বিশেষ সংলাপের আয়োজন করা হবে। এবার যেসব দল সংলাপে আসেনি তাদেরও তখন ডাকা হবে। বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও সংলাপ করা হবে। এরপর নির্বাচনের চূড়ান্ত কৌশলপত্র ঠিক করা হবে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। বিতর্কের ঊর্ধ্বে থেকে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত করার পথে ইসির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ তারা কীভাবে মোকাবিলা করছে তার ওপর দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। কাজেই তাদের বিচক্ষণতার সঙ্গে একেকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।

back to top