বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠবার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিপদ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শক্ত অর্থনীতির অনেক দেশেরই নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের অবস্থাও ভালো নয়। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ডলারের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। টান পড়েছে রিজার্ভে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা। কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে চায় সরকার। যে কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ সাশ্রয় করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেউ বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ নানা ফাঁকফোকর গলে বিদেশ সফরের আয়োজন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স সমন্বয় কমিটির সদস্যদের জন্য এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
নায়েম মহাপরিচালক দাবি করেছেন যে, নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিদেশ সফর করা হবে। সরকার বিদেশ সফর বন্ধের যে কথা বলেছে, সেটা এ ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত-অনিয়মিতসহ সব ধরনের বিদেশ সফরই নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বিদেশ সফর বন্ধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যে পরিপত্র জারি করেছে, তাতে শিক্ষা সফরসহ কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে, তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তারপরও নানা অসিলায় সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফরের আয়োজন করছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরকার যে বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বা ফাঁকফোকর বের করে কেউ সফর করলে বা সফরের আয়োজন করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করাই যথেষ্ট নয়, সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করা জরুরি।
শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২
বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠবার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিপদ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শক্ত অর্থনীতির অনেক দেশেরই নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের অবস্থাও ভালো নয়। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ডলারের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। টান পড়েছে রিজার্ভে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা। কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে চায় সরকার। যে কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ সাশ্রয় করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেউ বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ নানা ফাঁকফোকর গলে বিদেশ সফরের আয়োজন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স সমন্বয় কমিটির সদস্যদের জন্য এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।
নায়েম মহাপরিচালক দাবি করেছেন যে, নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিদেশ সফর করা হবে। সরকার বিদেশ সফর বন্ধের যে কথা বলেছে, সেটা এ ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত-অনিয়মিতসহ সব ধরনের বিদেশ সফরই নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বিদেশ সফর বন্ধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যে পরিপত্র জারি করেছে, তাতে শিক্ষা সফরসহ কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে, তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তারপরও নানা অসিলায় সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফরের আয়োজন করছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরকার যে বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বা ফাঁকফোকর বের করে কেউ সফর করলে বা সফরের আয়োজন করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করাই যথেষ্ট নয়, সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করা জরুরি।