alt

সম্পাদকীয়

সরকারি কর্তাব্যক্তিদের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠবার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিপদ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শক্ত অর্থনীতির অনেক দেশেরই নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের অবস্থাও ভালো নয়। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ডলারের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। টান পড়েছে রিজার্ভে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা। কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে চায় সরকার। যে কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ সাশ্রয় করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেউ বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ নানা ফাঁকফোকর গলে বিদেশ সফরের আয়োজন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স সমন্বয় কমিটির সদস্যদের জন্য এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।

নায়েম মহাপরিচালক দাবি করেছেন যে, নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিদেশ সফর করা হবে। সরকার বিদেশ সফর বন্ধের যে কথা বলেছে, সেটা এ ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত-অনিয়মিতসহ সব ধরনের বিদেশ সফরই নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বিদেশ সফর বন্ধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যে পরিপত্র জারি করেছে, তাতে শিক্ষা সফরসহ কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে, তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তারপরও নানা অসিলায় সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফরের আয়োজন করছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরকার যে বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বা ফাঁকফোকর বের করে কেউ সফর করলে বা সফরের আয়োজন করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করাই যথেষ্ট নয়, সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করা জরুরি।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি কর্তাব্যক্তিদের বিদেশ সফর প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ০৫ আগস্ট ২০২২

বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের ধকল সামলে উঠবার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিপদ দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শক্ত অর্থনীতির অনেক দেশেরই নাভিশ্বাস উঠেছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের অবস্থাও ভালো নয়। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ডলারের দাম বাড়ছে অব্যাহতভাবে। রেকর্ড পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে। টান পড়েছে রিজার্ভে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করা। কৃচ্ছ্রসাধনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে চায় সরকার। যে কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে।

কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রেখে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ সাশ্রয় করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেউ বিদেশ সফরে গিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আবার কেউ কেউ নানা ফাঁকফোকর গলে বিদেশ সফরের আয়োজন করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মকর্তা শিক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম সফরে যাচ্ছেন। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের প্রশিক্ষণার্থী ও কোর্স সমন্বয় কমিটির সদস্যদের জন্য এই সফরের আয়োজন করা হয়েছে।

নায়েম মহাপরিচালক দাবি করেছেন যে, নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিদেশ সফর করা হবে। সরকার বিদেশ সফর বন্ধের যে কথা বলেছে, সেটা এ ক্ষেত্রে কোন বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়মিত-অনিয়মিতসহ সব ধরনের বিদেশ সফরই নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সরকারি কর্তাব্যক্তিদের অপ্রয়োজনে বিদেশ সফর বন্ধ করতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি যে পরিপত্র জারি করেছে, তাতে শিক্ষা সফরসহ কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে, তা পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তারপরও নানা অসিলায় সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ সফরের আয়োজন করছেন। এই প্রবণতা বন্ধ করা উচিত। অর্থনৈতিক সংকট ও ডলারের ওপর চাপ কমাতে সরকার যে বিদেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বা ফাঁকফোকর বের করে কেউ সফর করলে বা সফরের আয়োজন করলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা জারি করাই যথেষ্ট নয়, সেটা কঠোরভাবে কার্যকর করা জরুরি।

back to top