গাজীপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃতরা গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মাওনা যাওয়ার সময় একটি বাসের নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাসটির ড্রাইভার ও হেলপারসহ বাকি আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। অভিযুক্তরা ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে জাকিয়া সুলতানা রুপা নামের এক নারী বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগে আদালত বাসের ড্রাইভার-হেল্পারসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয়, একজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।
দেশে বিভিন্ন সময় গণপরিবহনের শ্রমিকদের নিষ্ঠুরতা বলি হতে হয়েছে যাত্রীসাধারণকে। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ নানা ইস্যুতে তাদের প্রায়ই ড্রাইভার-হেল্পারদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয়। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, গুরুতর অপরাধ করলেও তাদের প্রায়ই বড় ধরনের শাস্তি পেতে হয় না। যে কারণে তাদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব গড়ে ওঠে। হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর কোন কোন অপরাধে তাদের কঠোর সাজা দেয়া হলেও অন্য অনেক অপরাধে তারা লঘুদন্ড পায় বা বিচারই হয় না। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না।
গণপরিবহন একটি সেবা খাত। আমরা চাই, পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পোশাদারিত্বের বিকাশ ঘটুক। যাত্রীদের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা আচরণ করতে হবে, হতে হবে মানবিক। পরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। তাদের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত করার কথা আগেও বলা হয়েছে। মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে ড্রাইভার-হেল্পারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
গাজীপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃতরা গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মাওনা যাওয়ার সময় একটি বাসের নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাসটির ড্রাইভার ও হেলপারসহ বাকি আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। অভিযুক্তরা ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে জাকিয়া সুলতানা রুপা নামের এক নারী বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগে আদালত বাসের ড্রাইভার-হেল্পারসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয়, একজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।
দেশে বিভিন্ন সময় গণপরিবহনের শ্রমিকদের নিষ্ঠুরতা বলি হতে হয়েছে যাত্রীসাধারণকে। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ নানা ইস্যুতে তাদের প্রায়ই ড্রাইভার-হেল্পারদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয়। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, গুরুতর অপরাধ করলেও তাদের প্রায়ই বড় ধরনের শাস্তি পেতে হয় না। যে কারণে তাদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব গড়ে ওঠে। হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর কোন কোন অপরাধে তাদের কঠোর সাজা দেয়া হলেও অন্য অনেক অপরাধে তারা লঘুদন্ড পায় বা বিচারই হয় না। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না।
গণপরিবহন একটি সেবা খাত। আমরা চাই, পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পোশাদারিত্বের বিকাশ ঘটুক। যাত্রীদের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা আচরণ করতে হবে, হতে হবে মানবিক। পরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। তাদের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত করার কথা আগেও বলা হয়েছে। মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে ড্রাইভার-হেল্পারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।