alt

সম্পাদকীয়

মহাসড়ক দখলমুক্ত করুন

: বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে দোকান, স্থাপনা, ইট-বালুর ব্যবসা, খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, বাড়িঘর ও মার্কেট নির্মাণসহ নানা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধ স্থাপনার কারণে মহাসড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে খাল ভরাট করার কারণে পায়ঃনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে।

শুধু গজারিয়াতেই নয়, সারাদেশেই এভাবে সড়ক-মহাসড়ক দখল করা হয়। অথচ বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়।

এসব অবৈধ স্থাপনা রাতারাতি গড়ে ওঠে না; সওজসহ সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনেই সেগুলো বহুদিন ধরে গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সবই ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই সরকারি জায়গা-জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অভিযোগ আছে, গজারিয়ায় সওজের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তারা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে দখলদারদের কাছ থেকে নানা আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।

অবশ্য সওজের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সওজ বিভাগের দুর্নীতি রোধের জন্য ২১টি সুপারিশ করেছিল। সেসব সুপারিশ শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন হলে এমন দখলদারিত্বের খবর পাওয়া যেত না। এসব দখলের অবসান ঘটাতে হবে। সড়ক-মহাসড়ক করা হয় যানবাহনে চলাচলের জন্য, অবৈধভাবে দখলে রেখে বাণিজ্য করার জন্য নয়।

দেশের সব সড়ক-মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

মহাসড়ক দখলমুক্ত করুন

বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে দোকান, স্থাপনা, ইট-বালুর ব্যবসা, খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, বাড়িঘর ও মার্কেট নির্মাণসহ নানা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধ স্থাপনার কারণে মহাসড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে খাল ভরাট করার কারণে পায়ঃনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে।

শুধু গজারিয়াতেই নয়, সারাদেশেই এভাবে সড়ক-মহাসড়ক দখল করা হয়। অথচ বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়।

এসব অবৈধ স্থাপনা রাতারাতি গড়ে ওঠে না; সওজসহ সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনেই সেগুলো বহুদিন ধরে গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সবই ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই সরকারি জায়গা-জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অভিযোগ আছে, গজারিয়ায় সওজের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তারা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে দখলদারদের কাছ থেকে নানা আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।

অবশ্য সওজের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সওজ বিভাগের দুর্নীতি রোধের জন্য ২১টি সুপারিশ করেছিল। সেসব সুপারিশ শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন হলে এমন দখলদারিত্বের খবর পাওয়া যেত না। এসব দখলের অবসান ঘটাতে হবে। সড়ক-মহাসড়ক করা হয় যানবাহনে চলাচলের জন্য, অবৈধভাবে দখলে রেখে বাণিজ্য করার জন্য নয়।

দেশের সব সড়ক-মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top