ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে দোকান, স্থাপনা, ইট-বালুর ব্যবসা, খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, বাড়িঘর ও মার্কেট নির্মাণসহ নানা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধ স্থাপনার কারণে মহাসড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে খাল ভরাট করার কারণে পায়ঃনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে।
শুধু গজারিয়াতেই নয়, সারাদেশেই এভাবে সড়ক-মহাসড়ক দখল করা হয়। অথচ বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়।
এসব অবৈধ স্থাপনা রাতারাতি গড়ে ওঠে না; সওজসহ সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনেই সেগুলো বহুদিন ধরে গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সবই ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই সরকারি জায়গা-জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অভিযোগ আছে, গজারিয়ায় সওজের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তারা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে দখলদারদের কাছ থেকে নানা আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।
অবশ্য সওজের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সওজ বিভাগের দুর্নীতি রোধের জন্য ২১টি সুপারিশ করেছিল। সেসব সুপারিশ শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন হলে এমন দখলদারিত্বের খবর পাওয়া যেত না। এসব দখলের অবসান ঘটাতে হবে। সড়ক-মহাসড়ক করা হয় যানবাহনে চলাচলের জন্য, অবৈধভাবে দখলে রেখে বাণিজ্য করার জন্য নয়।
দেশের সব সড়ক-মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গায় অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। এই মহাসড়কের দুই পাশের ১৩ কিলোমিটার জুড়ে দোকান, স্থাপনা, ইট-বালুর ব্যবসা, খাল ভরাট করে হোটেল, কমিউনিটি সেন্টার, বাড়িঘর ও মার্কেট নির্মাণসহ নানা অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধ স্থাপনার কারণে মহাসড়ক দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি প্রায়ই ঘটছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। তাছাড়া মহাসড়কের পাশে খাল ভরাট করার কারণে পায়ঃনিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। মশা, মাছি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়াচ্ছে।
শুধু গজারিয়াতেই নয়, সারাদেশেই এভাবে সড়ক-মহাসড়ক দখল করা হয়। অথচ বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক আইন অনুযায়ী, কোন সড়ক বা মহাসড়কের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু সে আইন যে সব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না, তা বোঝা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার ঘটনায়।
এসব অবৈধ স্থাপনা রাতারাতি গড়ে ওঠে না; সওজসহ সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনেই সেগুলো বহুদিন ধরে গড়ে ওঠে। মাঝেমধ্যে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। সবই ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই। অভিযোগ রয়েছে, তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই সরকারি জায়গা-জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অভিযোগ আছে, গজারিয়ায় সওজের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। তারা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করে দখলদারদের কাছ থেকে নানা আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে।
অবশ্য সওজের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সওজ বিভাগের দুর্নীতি রোধের জন্য ২১টি সুপারিশ করেছিল। সেসব সুপারিশ শুধু কাগজে-কলমেই আছে, বাস্তবায়ন করা হয়নি। বাস্তবায়ন হলে এমন দখলদারিত্বের খবর পাওয়া যেত না। এসব দখলের অবসান ঘটাতে হবে। সড়ক-মহাসড়ক করা হয় যানবাহনে চলাচলের জন্য, অবৈধভাবে দখলে রেখে বাণিজ্য করার জন্য নয়।
দেশের সব সড়ক-মহাসড়কের অবৈধ স্থাপনা স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। অবৈধ দখলদারদের বিরদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।