নিত্যপণ্যের দাম অনেকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারের জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে একটু থিতু হবে সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। মহামারীর ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। ভরা মৌসুমে বাড়তি দর দিয়ে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। এখন জ্বালানি তেলের দাম ৪৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়ছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষ টিকবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।
সংকট থেকে উত্তরণের কোন পথ দেখছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপদে পড়েছে। ভালো নেই মধ্যবিত্তও। ক্ষুধা মিটবে কী করে সেই ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পেছনে ব্যয় প্রভৃতির ভাবনাও আছে। বিদ্যমান অবস্থায় কেউ সঞ্চয় করতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে টিকে আছেন।
মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলেছে। আগামীতে হয়তো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিরও দাম বাড়বে। মহামারীর সময় বহু মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে কিনা সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছু জানা যায়নি। যুদ্ধের প্রভাবে মানুষের আয় কতটা কমেছে বা নতুন করে আরো কত মানুষ দরিদ্র হয়েছে সেটা হয়তো আগামীতে কোন গবেষণায় জানা যাবে।
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এর সুফল কতটা পাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে মাথাপিছু আয় বাড়লেও পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হলে সাধারণ মানুষকে দামবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় এত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা নিয়ে কারও কোন ভাবনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘটনায় এমনটাই মনে হয়। আমরা বলতে চাই, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতে হবে। জ্বালানি তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এটা বিবেচনা করতে হবে যে, গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২
নিত্যপণ্যের দাম অনেকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারের জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে একটু থিতু হবে সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। মহামারীর ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। ভরা মৌসুমে বাড়তি দর দিয়ে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। এখন জ্বালানি তেলের দাম ৪৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়ছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষ টিকবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।
সংকট থেকে উত্তরণের কোন পথ দেখছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপদে পড়েছে। ভালো নেই মধ্যবিত্তও। ক্ষুধা মিটবে কী করে সেই ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পেছনে ব্যয় প্রভৃতির ভাবনাও আছে। বিদ্যমান অবস্থায় কেউ সঞ্চয় করতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে টিকে আছেন।
মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলেছে। আগামীতে হয়তো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিরও দাম বাড়বে। মহামারীর সময় বহু মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে কিনা সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছু জানা যায়নি। যুদ্ধের প্রভাবে মানুষের আয় কতটা কমেছে বা নতুন করে আরো কত মানুষ দরিদ্র হয়েছে সেটা হয়তো আগামীতে কোন গবেষণায় জানা যাবে।
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এর সুফল কতটা পাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে মাথাপিছু আয় বাড়লেও পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হলে সাধারণ মানুষকে দামবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় এত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন।
মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা নিয়ে কারও কোন ভাবনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘটনায় এমনটাই মনে হয়। আমরা বলতে চাই, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতে হবে। জ্বালানি তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এটা বিবেচনা করতে হবে যে, গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।