alt

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম : সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে

: বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

নিত্যপণ্যের দাম অনেকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারের জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে একটু থিতু হবে সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। মহামারীর ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। ভরা মৌসুমে বাড়তি দর দিয়ে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। এখন জ্বালানি তেলের দাম ৪৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়ছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষ টিকবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।

সংকট থেকে উত্তরণের কোন পথ দেখছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপদে পড়েছে। ভালো নেই মধ্যবিত্তও। ক্ষুধা মিটবে কী করে সেই ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পেছনে ব্যয় প্রভৃতির ভাবনাও আছে। বিদ্যমান অবস্থায় কেউ সঞ্চয় করতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে টিকে আছেন।

মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলেছে। আগামীতে হয়তো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিরও দাম বাড়বে। মহামারীর সময় বহু মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে কিনা সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছু জানা যায়নি। যুদ্ধের প্রভাবে মানুষের আয় কতটা কমেছে বা নতুন করে আরো কত মানুষ দরিদ্র হয়েছে সেটা হয়তো আগামীতে কোন গবেষণায় জানা যাবে।

দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এর সুফল কতটা পাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে মাথাপিছু আয় বাড়লেও পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হলে সাধারণ মানুষকে দামবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় এত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা নিয়ে কারও কোন ভাবনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘটনায় এমনটাই মনে হয়। আমরা বলতে চাই, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতে হবে। জ্বালানি তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এটা বিবেচনা করতে হবে যে, গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

নিত্যপণ্যের দাম : সাধারণ মানুষের কথা ভাবতে হবে

বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট ২০২২

নিত্যপণ্যের দাম অনেকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারের জিনিসপত্রের দাম কোথায় গিয়ে একটু থিতু হবে সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। মহামারীর ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। ভরা মৌসুমে বাড়তি দর দিয়ে চাল কিনে খেতে হচ্ছে। এখন জ্বালানি তেলের দাম ৪৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ার কারণে নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়ছে। এই অবস্থায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে মানুষ টিকবে কী করে সেটা একটা প্রশ্ন।

সংকট থেকে উত্তরণের কোন পথ দেখছে না সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপদে পড়েছে। ভালো নেই মধ্যবিত্তও। ক্ষুধা মিটবে কী করে সেই ভাবনা তো আছেই। সঙ্গে গাড়ি ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের পেছনে ব্যয় প্রভৃতির ভাবনাও আছে। বিদ্যমান অবস্থায় কেউ সঞ্চয় করতে পারছেন কিনা সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। তবে অনেকেই সঞ্চয় ভেঙে টিকে আছেন।

মানুষের আয় বাড়েনি। কিন্তু ব্যয় বেড়েই চলেছে। আগামীতে হয়তো বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিরও দাম বাড়বে। মহামারীর সময় বহু মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দারিদ্র্য বেড়েছে কিনা সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে এখনো কিছু জানা যায়নি। যুদ্ধের প্রভাবে মানুষের আয় কতটা কমেছে বা নতুন করে আরো কত মানুষ দরিদ্র হয়েছে সেটা হয়তো আগামীতে কোন গবেষণায় জানা যাবে।

দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষ এর সুফল কতটা পাচ্ছে। বাস্তবতা হচ্ছে মাথাপিছু আয় বাড়লেও পেটের দায় মেটাতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বৈষম্য এমনভাবে বাড়ছে যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল মানুষের কাছে ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। সুষম আয় বণ্টনের কাজটি ঠিকমতো হলে সাধারণ মানুষকে দামবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় এত হিমশিম খেতে হচ্ছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন।

মানুষ খাবে কী, চলবে কীভাবে সেটা নিয়ে কারও কোন ভাবনা আছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে কারও কোন দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে হয় না। একলাফে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘটনায় এমনটাই মনে হয়। আমরা বলতে চাই, খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবতে হবে। জ্বালানি তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নেয়ার সময় এটা বিবেচনা করতে হবে যে, গরিব মানুষ কী খেয়ে বাঁচবে। মানুষের আয় বাড়ানোর কার্যকর ব্যবস্থাও করতে হবে।

back to top