alt

সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

: সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২

সাইবার অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গবেষণা প্রতিবেদনে। ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২২’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদনটি গত শনিবার প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, করোনাপরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারপ্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি হয়রানি ও পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন নারীরা। তাছাড়া অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়েও পুরুষদের তুলনায় বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছে তারা। আর মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড হ্যাকিংয়ে শিকার বেশি হচ্ছে পুরুষরা। এসব অপরাধের শিকার যারা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

মূলত প্রতিকার না পাওয়ার কারণেই সাইবার অপরাধ কমছে না। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে, সেই সঙ্গে অপরাধীরাও বেপরোয়া হয়ে গেছে। হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না কিংবা কোন আইনের আশ্রয় নেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে প্রতিকার না পাওয়া। প্রতিকার চাইতে গেলে প্রায়ই উল্টো ভুক্তভোগীকেই আরও হয়রানির শিকার হতে হয়, নানান জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। আবার সংখ্যায় কম হলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেন বা কিছু মামলা হয়; কিন্তু সেসবের ফল সন্তোষজনক নয়। যারা অভিযোগ করেন তাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশই কোন ফলই পান না। আর মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ আইনি সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

যেকোন অপরাধেই অপরাধীর সাজা হলে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। তখন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। অন্যদিকে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসে। কারণ অপরাধীদের মনে তখন ধারণা হয় যে, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না, শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। ভুক্তভোগী অভিযোগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

পাশাপাশি সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেও সচেতন হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, একটা ইন্টারনেট সংযোগ একই সময়ে পরিবারের একাধিক সদস্য ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন নন। তাছাড়া দেশে ১২ থেকে ১৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের লগ সংরক্ষণ করে না। ফলে সাইবার অপরাধ করা সহজ হয়ে যায়। এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

সাইবার অপরাধ দমনে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটাতে হবে

সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২

সাইবার অপরাধ ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ মানুষই সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে। ছবি বিকৃত করে অপপ্রচার, পর্নোগ্রাফি কনটেন্ট, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার এবং অনলাইনে-ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দিয়ে মানসিক হয়রানির ঘটনা বাড়ছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন) নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের গবেষণা প্রতিবেদনে। ‘বাংলাদেশ সাইবার অপরাধপ্রবণতা-২০২২’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদনটি গত শনিবার প্রকাশ করা হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, করোনাপরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারপ্রবণতা বাড়তে শুরু করেছে। ফলে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে ব্যবহারকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি হয়রানি ও পর্নোগ্রাফির শিকার হচ্ছেন নারীরা। তাছাড়া অনলাইনে পণ্য কিনতে গিয়েও পুরুষদের তুলনায় বেশি প্রতারণার শিকার হচ্ছে তারা। আর মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড হ্যাকিংয়ে শিকার বেশি হচ্ছে পুরুষরা। এসব অপরাধের শিকার যারা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

মূলত প্রতিকার না পাওয়ার কারণেই সাইবার অপরাধ কমছে না। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে, সেই সঙ্গে অপরাধীরাও বেপরোয়া হয়ে গেছে। হয়রানির শিকার ভুক্তভোগীদের ৭৩ দশমিক ৪ শতাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না কিংবা কোন আইনের আশ্রয় নেন না।

প্রশ্ন হচ্ছে, সাইবার অপরাধের শিকার ভুক্তভোগীরা কেন আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন না। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে প্রতিকার না পাওয়া। প্রতিকার চাইতে গেলে প্রায়ই উল্টো ভুক্তভোগীকেই আরও হয়রানির শিকার হতে হয়, নানান জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করতে হয়। আবার সংখ্যায় কম হলেও কেউ কেউ অভিযোগ করেন বা কিছু মামলা হয়; কিন্তু সেসবের ফল সন্তোষজনক নয়। যারা অভিযোগ করেন তাদের মধ্যে ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশই কোন ফলই পান না। আর মাত্র ৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ আইনি সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

যেকোন অপরাধেই অপরাধীর সাজা হলে দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়। তখন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ বা মামলা করতে উৎসাহিত হন। অন্যদিকে অপরাধপ্রবণতাও কমে আসে। কারণ অপরাধীদের মনে তখন ধারণা হয় যে, অপরাধ করলে পার পাওয়া যাবে না, শাস্তি ভোগ করতে হবে। তাই সাইবার অপরাধ দমনে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। ভুক্তভোগী অভিযোগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

পাশাপাশি সাইবার ঝুঁকির বিষয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকেও সচেতন হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, একটা ইন্টারনেট সংযোগ একই সময়ে পরিবারের একাধিক সদস্য ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন নন। তাছাড়া দেশে ১২ থেকে ১৫ হাজার অবৈধ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের লগ সংরক্ষণ করে না। ফলে সাইবার অপরাধ করা সহজ হয়ে যায়। এ ধরনের অপরাধ থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

back to top