রাজধানীর চকবাজারে দেবীদাস ঘাটের একটি তিনতলা ভবনে গতকাল সোমবার অগ্নিকান্ডে ছয়জন মারা গেছেন। যে ভবনে আগুন লেগেছে সেই ভবনের নিচতলায় একটি হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই ওই হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। রাতে ডিউটি শেষে হোটেলের উপর তলার একটি রুমে তারা ঘুমাচ্ছিলেন, সেখান থেকেই চলে যান চিরঘুমে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গতকাল বরিশাল হোটেলের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটাসহ আশপাশের কোন ভবন নির্মাণের নিয়মনীতি মানা হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাছাড়া ওই ভবনের তিন তলায় একটি প্লাস্টিক কারখানা ছিল। লালবাগ পুলিশের উপকমিশনার জনিয়েছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
কোন ভবনে অগ্নিকান্ডসহ কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেই জানা যায়, সেটি নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আর কারখানা বা গোডাউনের ক্ষেত্রে জানা যায় সেগুলো অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে জানতে পারে না কেন। যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন তারা গৎবাঁধা কিছু কথা বলেন। যেমনটা বলেছেন পুরান ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টার দুর্ঘটনার পর। দুর্ঘটনা রোধে পূর্বে যেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি, তেমনি পরেও না।
রাসায়নিক গুদাম, প্লাস্টিক কারখানা, জুতার কারখানাসহ অন্যান্য কারখানায় প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকে। ফলে কোন কারণে আগুন লাগলেই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু আদতে পুরান ঢাকা থেকে এখনও রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেয়া হয়নি। অবৈধ কারখানা উচ্ছেদ করতে কার্যকর কোন ব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি।
নগরবিদদের মতে, উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশের নগরায়ণ হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। পুরান ঢাকার অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে রাস্তাঘাট অপ্রশস্ত, ভবন নির্মাণে কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি, অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া একই ভবনকে আবাসিক-বাণিজ্যিক-শিল্পকারখানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে আগুন লাগলে বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।
পুরান ঢাকায় নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ, পুরান ভবন সংস্কার ও কিছু ভবন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নীতি পরিকল্পনায় কমতি নেই, কিন্তু বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। এ জন্যই বারবার একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। রাস্তাঘাট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা করতে হবে। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না তা বাস্তবায়নও করতে হবে। রাস্তার পাশে ফায়ার হাইড্রেন্ড বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর চকবাজারে দেবীদাস ঘাটের একটি তিনতলা ভবনে গতকাল সোমবার অগ্নিকান্ডে ছয়জন মারা গেছেন। যে ভবনে আগুন লেগেছে সেই ভবনের নিচতলায় একটি হোটেলে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই ওই হোটেলের কর্মচারী ছিলেন। রাতে ডিউটি শেষে হোটেলের উপর তলার একটি রুমে তারা ঘুমাচ্ছিলেন, সেখান থেকেই চলে যান চিরঘুমে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গতকাল বরিশাল হোটেলের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
যে ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেটাসহ আশপাশের কোন ভবন নির্মাণের নিয়মনীতি মানা হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তাছাড়া ওই ভবনের তিন তলায় একটি প্লাস্টিক কারখানা ছিল। লালবাগ পুলিশের উপকমিশনার জনিয়েছেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে।
কোন ভবনে অগ্নিকান্ডসহ কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলেই জানা যায়, সেটি নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। আর কারখানা বা গোডাউনের ক্ষেত্রে জানা যায় সেগুলো অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এগুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে জানতে পারে না কেন। যখনই কোন দুর্ঘটনা ঘটে তখন তারা গৎবাঁধা কিছু কথা বলেন। যেমনটা বলেছেন পুরান ঢাকার নিমতলী, চুড়িহাট্টার দুর্ঘটনার পর। দুর্ঘটনা রোধে পূর্বে যেমন কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি, তেমনি পরেও না।
রাসায়নিক গুদাম, প্লাস্টিক কারখানা, জুতার কারখানাসহ অন্যান্য কারখানায় প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকে। ফলে কোন কারণে আগুন লাগলেই তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে, ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু আদতে পুরান ঢাকা থেকে এখনও রাসায়নিক গুদাম সরিয়ে নেয়া হয়নি। অবৈধ কারখানা উচ্ছেদ করতে কার্যকর কোন ব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি।
নগরবিদদের মতে, উন্নত দেশের তুলনায় আমাদের দেশের নগরায়ণ হয়েছে অপরিকল্পিতভাবে। পুরান ঢাকার অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে রাস্তাঘাট অপ্রশস্ত, ভবন নির্মাণে কোন নিয়মনীতি মানা হয়নি, অগ্নিনির্বাপণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। তাছাড়া একই ভবনকে আবাসিক-বাণিজ্যিক-শিল্পকারখানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে আগুন লাগলে বা কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়।
পুরান ঢাকায় নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ, পুরান ভবন সংস্কার ও কিছু ভবন ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নীতি পরিকল্পনায় কমতি নেই, কিন্তু বাস্তবায়নে ঘাটতি আছে। এ জন্যই বারবার একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। রাস্তাঘাট প্রশস্ত করার পরিকল্পনা করতে হবে। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না তা বাস্তবায়নও করতে হবে। রাস্তার পাশে ফায়ার হাইড্রেন্ড বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।