জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীতে অবস্থিত দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ ক্যান্সার হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিট ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। হাসপাতালের একশ্রেণীর কর্মচারী ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের কেউ কেউ সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
সরকারি হাসপাতালে সেবা নেয়ার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সাধারণত মানুষ সরকারি হাসপাতালের ধারে-কাছে যায় না। নিরুপায় মানুষই সেখানে চিকিৎসা নিতে যায়। সেবাগ্রহীতারা কম ব্যয়ে ভালো সেবা পাওয়ার প্রত্যাশা করে। সরকারও হাসপাতালগুলোতে কম ব্যয়ে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। মরণঘাতী ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ চিকিৎসা নিতে রাজধানীর এ বিশেষায়িত হাসপাতালে আসে। সেই হাসপাতালের পরিস্থিতি যদি এমন হয়, আউটডোরের টিকিটেই যদি ২০০ গুণ বেশি টাকা নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নেবে কীভাবে?
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ হাসপাতাল ঘিরে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। তাদের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ক্যান্সারের রোগীরা। শুধু টিকিট কাউন্টারই নয়, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে এই অসাধু চক্র বা দালালদের দৌরাত্ম্য। তাদের কারণে রোগ নির্ণয়, রেডিওথেরাপি, ব্র্যাকিথেরাপি, কেমোথেরাপি সেবা নিতেও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয় সেবাপ্রত্যাশীদের।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে সেবা পেতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। দালাল থেকে শুরু করে কর্মচারীদের প্রতি পদে পদে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বেশির ভাগ সেবাই মেলে না। এমনকি রোগী ভর্তি হওয়ার পর প্রয়োজনীয় বালিশ বা বিছানার চাদর পেতেও ওয়ার্ড বয় ও অন্য কর্মচারীদের টাকা দিতে হয়।
দেশের একটি জাতীয় বিশেষায়িত হাসপাতালের এ রকম চিত্র কাম্য হতে পারে না। এর মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির চিত্রই ফুটে ওঠে। এত এত অনিয়মের খবরে সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে, এসব দেখভাল করার জন্য কেউ আছে কি না।
যারা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোন উপায়ে হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে হবে। যাদের দেখভাল করার কথা তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেই এসব করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে সম্পদ ও লোকবল আছে, তা ভালো ব্যবস্থাপনায় ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিচালনা করা হলে শুধু ক্যান্সার হাসপাতালই নয়, দেশের সব সরকারি হাসপাতালই আরও ভালোভাবে চালানো সম্ভব।
শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীতে অবস্থিত দেশের একমাত্র বিশেষায়িত এ ক্যান্সার হাসপাতালে ১০ টাকার টিকিট ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। হাসপাতালের একশ্রেণীর কর্মচারী ও দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের কেউ কেউ সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টিকিট বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
সরকারি হাসপাতালে সেবা নেয়ার পথে নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। সাধারণত মানুষ সরকারি হাসপাতালের ধারে-কাছে যায় না। নিরুপায় মানুষই সেখানে চিকিৎসা নিতে যায়। সেবাগ্রহীতারা কম ব্যয়ে ভালো সেবা পাওয়ার প্রত্যাশা করে। সরকারও হাসপাতালগুলোতে কম ব্যয়ে সেবা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। মরণঘাতী ক্যান্সার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ চিকিৎসা নিতে রাজধানীর এ বিশেষায়িত হাসপাতালে আসে। সেই হাসপাতালের পরিস্থিতি যদি এমন হয়, আউটডোরের টিকিটেই যদি ২০০ গুণ বেশি টাকা নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা নেবে কীভাবে?
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ হাসপাতাল ঘিরে রয়েছে একটি অসাধু চক্র। তাদের কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ক্যান্সারের রোগীরা। শুধু টিকিট কাউন্টারই নয়, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে এই অসাধু চক্র বা দালালদের দৌরাত্ম্য। তাদের কারণে রোগ নির্ণয়, রেডিওথেরাপি, ব্র্যাকিথেরাপি, কেমোথেরাপি সেবা নিতেও অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয় সেবাপ্রত্যাশীদের।
সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে সেবা পাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে সেবা পেতে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। দালাল থেকে শুরু করে কর্মচারীদের প্রতি পদে পদে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে বেশির ভাগ সেবাই মেলে না। এমনকি রোগী ভর্তি হওয়ার পর প্রয়োজনীয় বালিশ বা বিছানার চাদর পেতেও ওয়ার্ড বয় ও অন্য কর্মচারীদের টাকা দিতে হয়।
দেশের একটি জাতীয় বিশেষায়িত হাসপাতালের এ রকম চিত্র কাম্য হতে পারে না। এর মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির চিত্রই ফুটে ওঠে। এত এত অনিয়মের খবরে সংগত কারণেই প্রশ্ন আসে, এসব দেখভাল করার জন্য কেউ আছে কি না।
যারা এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যে কোন উপায়ে হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে হবে। যাদের দেখভাল করার কথা তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকেই এসব করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যে সম্পদ ও লোকবল আছে, তা ভালো ব্যবস্থাপনায় ও দুর্নীতিমুক্তভাবে পরিচালনা করা হলে শুধু ক্যান্সার হাসপাতালই নয়, দেশের সব সরকারি হাসপাতালই আরও ভালোভাবে চালানো সম্ভব।