alt

সম্পাদকীয়

সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি কেন মানা হচ্ছে না

: মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা যথাসময়ে অফিসে যান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার নতুন কর্মঘণ্টা বেঁধে দিলেও সেই সময়ে না এসে তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো অফিসে যান। তাদের অধস্তনরাও দেরি করে অফিসে যান। এমনকি সকাল ৯টার পরেও কোন কোন অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়েছে, কার্যক্রম শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা যদি নির্দেশনা না মেনে বিলম্বে অফিসে করেন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা কেন নির্দেশনা মানছেন না, তাদের সমস্যা কোথায়- সেটা জানতে হবে।

বিলম্বে আসার কারণ জানতে চাইলে সোনারগাঁয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ‘তারা ফিল্ডে আছেন; কিন্তু কে কোন ফিল্ডে আছেন, তা বলতে রাজি হননি। তাছাড়া ‘দূর থেকে আসতে হয় বিধায় একটু দেরি হয়’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’ ইত্যাদি নানান অজুহাতের কথাও বলেন অনেকে।

শুধু যে সোনারগাঁয়ের সরকারি কর্মকর্তরাই বিলম্বে অফিস করছেন তা নয়। নতুন কর্মঘণ্টা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বিলম্বে অফিসে আসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। সেখানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে যেতে গাফিলতি রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাদের বিরুদ্ধে বিলম্বে আসার অভিযোগ রয়েছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘ফিল্ডে আছি’, ‘দূর থেকে আসি’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’- বিলম্বে আসার জন্য এসব কোন অজুহাত হতে পারে না। সবাই যাতে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, তা মানতে বাধ্য করতে হবে। না হয় সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না।

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি অফিসের নতুন সময়সূচি কেন মানা হচ্ছে না

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা যথাসময়ে অফিসে যান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার নতুন কর্মঘণ্টা বেঁধে দিলেও সেই সময়ে না এসে তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো অফিসে যান। তাদের অধস্তনরাও দেরি করে অফিসে যান। এমনকি সকাল ৯টার পরেও কোন কোন অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়েছে, কার্যক্রম শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।

সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা যদি নির্দেশনা না মেনে বিলম্বে অফিসে করেন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা কেন নির্দেশনা মানছেন না, তাদের সমস্যা কোথায়- সেটা জানতে হবে।

বিলম্বে আসার কারণ জানতে চাইলে সোনারগাঁয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ‘তারা ফিল্ডে আছেন; কিন্তু কে কোন ফিল্ডে আছেন, তা বলতে রাজি হননি। তাছাড়া ‘দূর থেকে আসতে হয় বিধায় একটু দেরি হয়’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’ ইত্যাদি নানান অজুহাতের কথাও বলেন অনেকে।

শুধু যে সোনারগাঁয়ের সরকারি কর্মকর্তরাই বিলম্বে অফিস করছেন তা নয়। নতুন কর্মঘণ্টা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বিলম্বে অফিসে আসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। সেখানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে যেতে গাফিলতি রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাদের বিরুদ্ধে বিলম্বে আসার অভিযোগ রয়েছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘ফিল্ডে আছি’, ‘দূর থেকে আসি’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’- বিলম্বে আসার জন্য এসব কোন অজুহাত হতে পারে না। সবাই যাতে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, তা মানতে বাধ্য করতে হবে। না হয় সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না।

back to top