নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা যথাসময়ে অফিসে যান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার নতুন কর্মঘণ্টা বেঁধে দিলেও সেই সময়ে না এসে তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো অফিসে যান। তাদের অধস্তনরাও দেরি করে অফিসে যান। এমনকি সকাল ৯টার পরেও কোন কোন অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়েছে, কার্যক্রম শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা যদি নির্দেশনা না মেনে বিলম্বে অফিসে করেন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা কেন নির্দেশনা মানছেন না, তাদের সমস্যা কোথায়- সেটা জানতে হবে।
বিলম্বে আসার কারণ জানতে চাইলে সোনারগাঁয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ‘তারা ফিল্ডে আছেন; কিন্তু কে কোন ফিল্ডে আছেন, তা বলতে রাজি হননি। তাছাড়া ‘দূর থেকে আসতে হয় বিধায় একটু দেরি হয়’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’ ইত্যাদি নানান অজুহাতের কথাও বলেন অনেকে।
শুধু যে সোনারগাঁয়ের সরকারি কর্মকর্তরাই বিলম্বে অফিস করছেন তা নয়। নতুন কর্মঘণ্টা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বিলম্বে অফিসে আসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। সেখানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে যেতে গাফিলতি রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাদের বিরুদ্ধে বিলম্বে আসার অভিযোগ রয়েছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘ফিল্ডে আছি’, ‘দূর থেকে আসি’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’- বিলম্বে আসার জন্য এসব কোন অজুহাত হতে পারে না। সবাই যাতে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, তা মানতে বাধ্য করতে হবে। না হয় সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না।
মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ সরকারি কর্মকর্তা যথাসময়ে অফিসে যান না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকার নতুন কর্মঘণ্টা বেঁধে দিলেও সেই সময়ে না এসে তারা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো অফিসে যান। তাদের অধস্তনরাও দেরি করে অফিসে যান। এমনকি সকাল ৯টার পরেও কোন কোন অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সেবাপ্রত্যাশীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেয়া হয়েছে, কার্যক্রম শুরুর সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে গত ২৪ আগস্ট থেকে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে।
সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে ভালো একটি উদ্যোগ নিয়েছে; কিন্তু একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা যদি নির্দেশনা না মেনে বিলম্বে অফিসে করেন তাহলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ হবে না। কিছু সরকারি কর্মকর্তা কেন নির্দেশনা মানছেন না, তাদের সমস্যা কোথায়- সেটা জানতে হবে।
বিলম্বে আসার কারণ জানতে চাইলে সোনারগাঁয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ‘তারা ফিল্ডে আছেন; কিন্তু কে কোন ফিল্ডে আছেন, তা বলতে রাজি হননি। তাছাড়া ‘দূর থেকে আসতে হয় বিধায় একটু দেরি হয়’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’ ইত্যাদি নানান অজুহাতের কথাও বলেন অনেকে।
শুধু যে সোনারগাঁয়ের সরকারি কর্মকর্তরাই বিলম্বে অফিস করছেন তা নয়। নতুন কর্মঘণ্টা শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি বিলম্বে অফিসে আসার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজশাহীর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা হামলার শিকার হয়েছেন। সেখানেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথাসময়ে অফিসে যেতে গাফিলতি রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঠিক সময়ে অফিসে আসতে হবে। সোনারগাঁসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাদের বিরুদ্ধে বিলম্বে আসার অভিযোগ রয়েছে তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ‘ফিল্ডে আছি’, ‘দূর থেকে আসি’, ‘ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়’- বিলম্বে আসার জন্য এসব কোন অজুহাত হতে পারে না। সবাই যাতে নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু নির্দেশনা দিলেই হবে না, তা মানতে বাধ্য করতে হবে। না হয় সরকারের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের যে লক্ষ্য তা পূরণ হবে না।