নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আবারও রাস্তায় নামতে হয়েছে। গত রোববার রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্র মারা যায়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও তার চালককে আটক করেছে পুলিশ।
সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে হতাহতদের বড় একটি অংশই শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় সহপাঠী মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রায়ই শিক্ষার্থীরা পথে নেমে বিক্ষোভ করে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে। তখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তার পর চার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হয়নি, সড়কগুলো আর নিরাপদ হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। আইন হয়েছে কিন্তু বিধিমালা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা বলতে চাই, সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক, সেটাই আমাদের চাওয়া। সচেতন প্রয়াস চালালে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য পুরো পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।
অভিযোগ রয়েছে যে, পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না। পরিবহন মালিকদের মানবিকতাবোধ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে মানবিকতা বোধ জাগ্রত করা না গেলে সড়ক নিরাপদ করা অত্যন্ত কঠিন হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের পাশাপাশি মালিকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটা আমাদের আশা।
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীতে শিক্ষার্থীদের আবারও রাস্তায় নামতে হয়েছে। গত রোববার রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্র মারা যায়। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও তার চালককে আটক করেছে পুলিশ।
সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে হতাহতদের বড় একটি অংশই শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় সহপাঠী মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রায়ই শিক্ষার্থীরা পথে নেমে বিক্ষোভ করে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলে। তখন নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। তার পর চার বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ হয়নি, সড়কগুলো আর নিরাপদ হয়নি।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর যে সড়ক আইন পাস হয়েছে তাতে অনেক দুর্বলতা আছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগেও শৈথিল্য দেখা যায়। আইন হয়েছে কিন্তু বিধিমালা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা আইনের দুর্বলতা দূর করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো আইন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে। আমরা বলতে চাই, সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক, সেটাই আমাদের চাওয়া। সচেতন প্রয়াস চালালে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য পুরো পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। সড়ক আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বিধিমালা দ্রুত প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন চক্রের কাছে নতিস্বীকার করা যাবে না। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।
অভিযোগ রয়েছে যে, পরিবহন শ্রমিকরা মানবিক আচরণ করতে পারছে না। পরিবহন মালিকদের মানবিকতাবোধ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে মানবিকতা বোধ জাগ্রত করা না গেলে সড়ক নিরাপদ করা অত্যন্ত কঠিন হবে। উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের পাশাপাশি মালিকদেরও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, সেটা আমাদের আশা।