alt

সম্পাদকীয়

জলাবদ্ধতা ও যানজটে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ

: বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দেশে গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় যানজটের ভোগান্তি। জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অফিসগামী অনেক মানুষ ও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

যানজট রাজধানীর নিত্যদিনের সমস্যা। এখানে যানবাহন চলাচলের গড় গতি ৭ কি.মি.। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও রাজধানীর অনেক সড়কে যানজট দেখা দেয়। কোনদিন যদি কোন একটি রাস্তায় জট তৈরি হয় তাহলে তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে গোটা মহানগরীতে।

একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগরীর মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ জায়গায় রাস্তা থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে রাজধানীতে রাস্তা আছে সাত থেকে আট ভাগ। এসব রাস্তার বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তাতেই চলছে নির্মাণকাজ। যে কারণে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে, সেখানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।

এক হিসাব অনুযায়ী, যানজটের কারণে রাজধানীতে প্রতিদিন ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজট দূর করতে এখন পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শত শত কোটি টাকার নেয়া পরিকল্পনায় পরিস্থিতি বদলায়নি। প্রকল্প বড় হলেই যে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এটা ভাবার কারণ নেই। স্বল্পমেয়াদে ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে একযোগে। কমাতে হবে রাজধানীমুখী চাপ। এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে মানুষ বেশি, সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

এবার বর্ষা মৌসুমে কম বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যায় রাজধানীবাসীকে কম ভুগতে হয়েছে। তবে ভাদ্রের বৃষ্টিতে তাদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও খাল। কিন্তু মহনগরীর বেশিরভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। চারপাশের নদীগুলোও নানানভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে- সেগুলো সুপরিকল্পিতভাবে সমাধান করা জরুরি।

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

জলাবদ্ধতা ও যানজটে রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দেশে গত কয়েক দিন বৃষ্টিপাত হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় যানজটের ভোগান্তি। জলাবদ্ধতা ও যানজটের কারণে শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। অফিসগামী অনেক মানুষ ও বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা সময়মতো গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে পারেনি।

যানজট রাজধানীর নিত্যদিনের সমস্যা। এখানে যানবাহন চলাচলের গড় গতি ৭ কি.মি.। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও রাজধানীর অনেক সড়কে যানজট দেখা দেয়। কোনদিন যদি কোন একটি রাস্তায় জট তৈরি হয় তাহলে তার প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে গোটা মহানগরীতে।

একটি পরিকল্পিত আধুনিক নগরীর মোট আয়তনের ২০ থেকে ২৫ ভাগ জায়গায় রাস্তা থাকা জরুরি। সেক্ষেত্রে রাজধানীতে রাস্তা আছে সাত থেকে আট ভাগ। এসব রাস্তার বড় একটি অংশই দখল হয়ে গেছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাস্তাতেই চলছে নির্মাণকাজ। যে কারণে রাস্তা খুঁড়ে রাখা হয়েছে, সেখানে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে রাস্তা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।

এক হিসাব অনুযায়ী, যানজটের কারণে রাজধানীতে প্রতিদিন ৫০ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। এর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে বছরে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা। যানজট দূর করতে এখন পর্যন্ত অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। শত শত কোটি টাকার নেয়া পরিকল্পনায় পরিস্থিতি বদলায়নি। প্রকল্প বড় হলেই যে সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে এটা ভাবার কারণ নেই। স্বল্পমেয়াদে ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেও যানজট নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

যানজট নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নগর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে কাজ করতে হবে একযোগে। কমাতে হবে রাজধানীমুখী চাপ। এখানে ধারণক্ষমতার চেয়ে মানুষ বেশি, সড়কের তুলনায় গাড়ি বেশি। এই চাপ কমানোর জন্য বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই।

এবার বর্ষা মৌসুমে কম বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যায় রাজধানীবাসীকে কম ভুগতে হয়েছে। তবে ভাদ্রের বৃষ্টিতে তাদের বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বৃষ্টির পানি নেমে যাওয়ার পথ হচ্ছে নর্দমা ও খাল। কিন্তু মহনগরীর বেশিরভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। চারপাশের নদীগুলোও নানানভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে।

ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও নর্দমা সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে- সেগুলো সুপরিকল্পিতভাবে সমাধান করা জরুরি।

back to top