দেশের বিভিন্ন স্থানে লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে গরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ গবাদিপশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদিপশু মারাও গেছে বলে জানা গেছে।
পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এক ধরনের ভাইরাসের কারণে এলএসডি রোগ আক্তান্ত হয় গরু-মহিষ। সংক্রামক এই রোগ এক পশু থেকে আরেক পশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এলএসডি রোগে আক্রান্ত পশুর ত্বক ফুলে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গবাদিপশুর এই রোগ কৃষক ও খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশে অতীতে এলএসডি মহমারী আকারে ছড়ায়নি। এই রোগকে গরুর খুরা রোগের চেয়ে ভয়াবহ হিসেব গণ্য করা হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন একটি খামারে যদি এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে সেখানকার সব পশু সংক্রমিত হতে পারে। মশা-মাছির মাধ্যমে এক খামার থেকে আরেক খামারে এই রোগের সংক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যেটা খামারি বা কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দেশে এলএসডির সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। এটা একদিকে স্বস্তিদায়ক। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সংক্রমণ কম হওয়ার কারণে এর চিকিৎসা অর্থাৎ ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। আবার রোগাক্রান্ত পশুর চিকিৎসা খরচও ব্যয় সাপেক্ষ। এ কারণে রোগ-প্রতিরোধকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের যেসব এলাকায় এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গবাদিপশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন খামারে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কৃষক বা খামারিরা যেন দ্রুত গবাদিপশুর চিকিৎসায় পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা জরুরি। খামারে কোন গরু এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটাকে বাকি পশুদের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখতে হবে। তাহলে সুস্থ পশুর মধ্যে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। আক্রান্ত পশুকে যেন মশা-মাছি কামড়াতে না পারে সেজন্য মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কারণ মশা-মাছির মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তৃত হয়। খামারের গবাদিপশুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।
শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশের বিভিন্ন স্থানে লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে গরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ গবাদিপশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদিপশু মারাও গেছে বলে জানা গেছে।
পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এক ধরনের ভাইরাসের কারণে এলএসডি রোগ আক্তান্ত হয় গরু-মহিষ। সংক্রামক এই রোগ এক পশু থেকে আরেক পশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এলএসডি রোগে আক্রান্ত পশুর ত্বক ফুলে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গবাদিপশুর এই রোগ কৃষক ও খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশে অতীতে এলএসডি মহমারী আকারে ছড়ায়নি। এই রোগকে গরুর খুরা রোগের চেয়ে ভয়াবহ হিসেব গণ্য করা হয়।
সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন একটি খামারে যদি এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে সেখানকার সব পশু সংক্রমিত হতে পারে। মশা-মাছির মাধ্যমে এক খামার থেকে আরেক খামারে এই রোগের সংক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যেটা খামারি বা কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
দেশে এলএসডির সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। এটা একদিকে স্বস্তিদায়ক। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সংক্রমণ কম হওয়ার কারণে এর চিকিৎসা অর্থাৎ ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। আবার রোগাক্রান্ত পশুর চিকিৎসা খরচও ব্যয় সাপেক্ষ। এ কারণে রোগ-প্রতিরোধকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের যেসব এলাকায় এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গবাদিপশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন খামারে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কৃষক বা খামারিরা যেন দ্রুত গবাদিপশুর চিকিৎসায় পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা জরুরি। খামারে কোন গরু এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটাকে বাকি পশুদের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখতে হবে। তাহলে সুস্থ পশুর মধ্যে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। আক্রান্ত পশুকে যেন মশা-মাছি কামড়াতে না পারে সেজন্য মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কারণ মশা-মাছির মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তৃত হয়। খামারের গবাদিপশুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।