নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (তিতাস গ্যাস) প্রায় ৫০ হাজার অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। সেখানে এখনও অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু সোনারগাঁয়েই নয় ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় তিতাস গ্যাসের প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ পাইপলাইন থেকে হাজার হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া হয়েছে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত হয়। তারা তিতাসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশ করে একাধিক চক্রের মাধ্যমে এ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব নিয়ে গণমাধ্যমে যখন প্রতিবেদন হয়, তখন কিছু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। যেমনটা হয়েছে সোনারগাঁয়ে, এখানে গত এক বছরে ১১টি অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে আবাসিক, রেস্টুরেন্ট, বেকারি, শিল্পসহ প্রায় ১৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু রাতের আঁধারে পুনরায় এসব সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া তিতাসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং, কম গ্যাস সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো এবং বাণিজ্যিক গ্রাহককে শিল্প শ্রেণীর গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেয়ার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। এর আগে এমন ২২টি বিষয়কে তিতাসে দুর্নীতির উৎস বলে চিহ্নিত করেছিল দুদক। এসব দুর্নীতি রোধে ১২ দফা সুপারিশও করেছিল তারা। কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে মনে হয় না। যদি বাস্তবায়নই করা হতো তাহলে এখনও এমন হাজার হাজার অবৈধ সংযোগের অস্তিত্ব কীভাবে পাওয়া যায়।
এসব সংযোগের বিনিময়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে একটি গোষ্ঠী। এর ফলে সরকার যেমন বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি বৈধ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছেন না। গ্যাসের অভাবে ভুগছে শিল্পকলকারখানা। আবাসিক গ্যাসেও চলছে তীব্র সংকট। গত কয়েক বছর ধরে গ্যাস সংকটের কথা বলে বন্ধ রাখা হয়েছে বৈধ গ্যাস সংযোগ।
তিতাস গ্যাসের এ অবৈধ সংযোগ দেয়া বন্ধ করতে হবে। যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে যে চক্র বা দলেরই হোক না কেন। তিতাসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার একটা সুরাহা করতে হবে।
রোববার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (তিতাস গ্যাস) প্রায় ৫০ হাজার অবৈধ সংযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব সংযোগ দেয়ার বিনিময়ে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে গড়ে ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে। সেখানে এখনও অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু সোনারগাঁয়েই নয় ঢাকা ও আশপাশের চার জেলায় তিতাস গ্যাসের প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ পাইপলাইন থেকে হাজার হাজার গ্রাহককে অবৈধভাবে সংযোগ দেয়া হয়েছে। যখন যে দল ক্ষমতায় আসে সেই দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা এই অবৈধ সংযোগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত হয়। তারা তিতাসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগসাজশ করে একাধিক চক্রের মাধ্যমে এ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসব নিয়ে গণমাধ্যমে যখন প্রতিবেদন হয়, তখন কিছু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়; কিন্তু কিছুদিন পর সেগুলো আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। যেমনটা হয়েছে সোনারগাঁয়ে, এখানে গত এক বছরে ১১টি অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে আবাসিক, রেস্টুরেন্ট, বেকারি, শিল্পসহ প্রায় ১৫ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কিন্তু রাতের আঁধারে পুনরায় এসব সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া তিতাসের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিটার টেম্পারিং, কম গ্যাস সরবরাহ করেও সিস্টেম লস দেখানো এবং বাণিজ্যিক গ্রাহককে শিল্প শ্রেণীর গ্রাহক হিসেবে সংযোগ দেয়ার অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। এর আগে এমন ২২টি বিষয়কে তিতাসে দুর্নীতির উৎস বলে চিহ্নিত করেছিল দুদক। এসব দুর্নীতি রোধে ১২ দফা সুপারিশও করেছিল তারা। কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে মনে হয় না। যদি বাস্তবায়নই করা হতো তাহলে এখনও এমন হাজার হাজার অবৈধ সংযোগের অস্তিত্ব কীভাবে পাওয়া যায়।
এসব সংযোগের বিনিময়ে আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে একটি গোষ্ঠী। এর ফলে সরকার যেমন বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে, তেমনি বৈধ গ্রাহকরা নিয়মিত গ্যাস পাচ্ছেন না। গ্যাসের অভাবে ভুগছে শিল্পকলকারখানা। আবাসিক গ্যাসেও চলছে তীব্র সংকট। গত কয়েক বছর ধরে গ্যাস সংকটের কথা বলে বন্ধ রাখা হয়েছে বৈধ গ্যাস সংযোগ।
তিতাস গ্যাসের এ অবৈধ সংযোগ দেয়া বন্ধ করতে হবে। যারাই এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সে যে চক্র বা দলেরই হোক না কেন। তিতাসের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে তার একটা সুরাহা করতে হবে।