alt

সম্পাদকীয়

শিশুর সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

: বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

শিশুদের বড় একটি অংশ অরক্ষিত। জাতীয় গৃহস্থালি জরিপের তথ্য মতে, ১৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের প্রায় ৮৯ শতাংশ বাড়িতে সহিংসতার শিকার হয়। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। ঘরের বাইরেও শিশুরা মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিশুশ্রমে লঙ্ঘিত হচ্ছে অধিকার।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় ৫৪টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি শিশুর সুরক্ষাবিষয়ক ধারা রয়েছে ২৪টি। সেখানে একটি ধারায় বলা হয়েছে ‘শরিক রাষ্ট্রসমূহ অর্থনৈতিক শোষণ থেকে শিশুর অধিকারকে রক্ষা করবে এবং শিশুর শিক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী কিংবা তার স্বাস্থ্য অথবা শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, নৈতিক বা সামাজিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর কাজ করানো না হয়, সে ব্যবস্থা নেবে।’

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু দেশে এই সনদের বাস্তবায়ন দেখা যায় না। এখনও দেশের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে না। প্রায় অর্ধেক শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই।

তাই শিশু সুরক্ষার প্রয়োজন ও গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। দেশের নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল, তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি দেশে-বিদেশের অনেক সংগঠন ও গোষ্ঠী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে। গত সোমবার ঢাকায় হয়ে গেল ‘বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষাবিষয়ক জাতীয় সম্মেলন।’ সম্মেলনে শিশু সুরক্ষা পরিষেবা জোরদার করা এবং সমাজকর্মীর সংখ্যা ২০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এটা সমস্যা অনুযায়ী যথেষ্ট কিনা- সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে।

শিশু সুরক্ষার প্রশ্নে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করা ও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ নিপীড়নের শিকার শিশু নানা মানসিক ট্রমা নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের মনোবৈকল্য তৈরি হয়, বিকাশ হয় বাধাগ্রস্ত। আর এর পরিণতি ভোগ করতে হয় দেশ ও জাতিকেই।

তাই শিশুদের সুরক্ষায় বিরতিহীনভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন ও এনজিও কাজ করছে। তাদের কাজের আওতা বাড়াতে হবে, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে। লোক দেখানো কিংবা মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়, শিশু সুরক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশু অধিকার সুরক্ষা ও তাদের নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষার জন্য শুধু অঙ্গীকার নয়, সুনির্দিষ্ট আইনও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ ও প্রতিফলন খুব একট দেখা যায় না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। শিশু সুরক্ষার বিষয়টি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় পরিবার, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এনজিও ও জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই প্রতিটি শিশুই সুরক্ষিত থাকুক।

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

পাহাড়ে ব্যাংক হামলা কেন

সিসা দূষণ রোধে আইনের কঠোর বাস্তবায়ন জরুরি

হার্টের রিংয়ের নির্ধারিত দর বাস্তবায়নে মনিটরিং জরুরি

রইচপুর খালে সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা যাচ্ছে না কেন

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

নিয়মতান্ত্রিক সংগঠনের সুযোগ থাকা জরুরি, বন্ধ করতে হবে অপরাজনীতি

ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সংস্কার করুন

শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে

স্লুইসগেটের ফাটল মেরামতে উদ্যোগ নিন

পরিবেশ দূষণ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

রংপুর শিশু হাসপাতাল চালু হতে কালক্ষেপণ কেন

দেশে এত খাবার অপচয়ের কারণ কী

রায়গঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ দূর করুন

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠী নিয়ে ভাবতে হবে

জলাশয় দূষণের জন্য দায়ী কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

বহরবুনিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভবন নির্মাণে আর কত বিলম্ব

মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিন

সিলেট ‘ইইডি’ কার্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

পাহাড় কাটা বন্ধ করুন

স্বাধীনতার ৫৪ বছর : মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা কতটা পূরণ হলো

চিকিৎসক সংকট দূর করুন

tab

সম্পাদকীয়

শিশুর সুরক্ষায় সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে

বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২

শিশুদের বড় একটি অংশ অরক্ষিত। জাতীয় গৃহস্থালি জরিপের তথ্য মতে, ১৫ বছরের কমবয়সী শিশুদের প্রায় ৮৯ শতাংশ বাড়িতে সহিংসতার শিকার হয়। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। ঘরের বাইরেও শিশুরা মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিশুশ্রমে লঙ্ঘিত হচ্ছে অধিকার।

জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় ৫৪টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে সরাসরি শিশুর সুরক্ষাবিষয়ক ধারা রয়েছে ২৪টি। সেখানে একটি ধারায় বলা হয়েছে ‘শরিক রাষ্ট্রসমূহ অর্থনৈতিক শোষণ থেকে শিশুর অধিকারকে রক্ষা করবে এবং শিশুর শিক্ষায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী কিংবা তার স্বাস্থ্য অথবা শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, নৈতিক বা সামাজিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর কাজ করানো না হয়, সে ব্যবস্থা নেবে।’

জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কিন্তু দেশে এই সনদের বাস্তবায়ন দেখা যায় না। এখনও দেশের প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষ করে না। প্রায় অর্ধেক শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই।

তাই শিশু সুরক্ষার প্রয়োজন ও গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। দেশের নীতিনির্ধারকরাও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল, তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি দেশে-বিদেশের অনেক সংগঠন ও গোষ্ঠী শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করছে। গত সোমবার ঢাকায় হয়ে গেল ‘বাংলাদেশে শিশু সুরক্ষাবিষয়ক জাতীয় সম্মেলন।’ সম্মেলনে শিশু সুরক্ষা পরিষেবা জোরদার করা এবং সমাজকর্মীর সংখ্যা ২০০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু এটা সমস্যা অনুযায়ী যথেষ্ট কিনা- সেই প্রশ্ন করা যেতে পারে।

শিশু সুরক্ষার প্রশ্নে আরও বিস্তৃত পরিসরে কাজ করা ও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ নিপীড়নের শিকার শিশু নানা মানসিক ট্রমা নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের মনোবৈকল্য তৈরি হয়, বিকাশ হয় বাধাগ্রস্ত। আর এর পরিণতি ভোগ করতে হয় দেশ ও জাতিকেই।

তাই শিশুদের সুরক্ষায় বিরতিহীনভাবে কাজ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংগঠন ও এনজিও কাজ করছে। তাদের কাজের আওতা বাড়াতে হবে, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে হবে। লোক দেখানো কিংবা মৌখিক প্রতিশ্রুতি নয়, শিশু সুরক্ষায় অবশ্যই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শিশু অধিকার সুরক্ষা ও তাদের নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষার জন্য শুধু অঙ্গীকার নয়, সুনির্দিষ্ট আইনও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ ও প্রতিফলন খুব একট দেখা যায় না। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটাতে হবে। শিশু সুরক্ষার বিষয়টি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। শিশুদের সুরক্ষায় পরিবার, শিক্ষক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, এনজিও ও জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা চাই প্রতিটি শিশুই সুরক্ষিত থাকুক।

back to top