ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী চৌরাস্তা থেকে কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে বলে জানা গেছে। চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায়ই কার্পেটিং উঠে গেছে। সেখানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এসব খান-খন্দে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণ ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের। প্রায়ই গাড়ি উল্টে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রাস্তাটি পূর্বে গ্রামীণ মাটির রাস্তা ছিল। তিন বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাকা করে। রাস্তাটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই স্থানীয়দের চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া রাজগাতী ও মুশুল্লী ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।
জানা গেছে, ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তার বিভিন্ন জায়গা দেবে গিয়ে গর্ত ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপর পানি জমে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামীণ এ রাস্তাটি ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে বা ভারী যানবহন চলাচলে দেশের অনেক রাস্তা-সড়ক-মহাসড়ক এবং সেতুই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেক জায়গায়ই যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। যেমনটা হয়নি নান্দাইলের এই রাস্তায়।
রাস্তাটি তিন বছর আগে নির্মাণ করা হলেও এর মান কেমন ছিল, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, উন্নত মানের বিটুমিন ব্যবহার করলে ভারী বৃষ্টিতেও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কথা নয়। দেশে রাস্তা বা সড়ক নির্মাণে পদে পদে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে। দুদকের অনুসন্ধানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা বিশেষভাবে শনাক্ত করা হয়।
জনসাধারণের চলাচলের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। রাস্তা সংস্কারে নির্মাণসামগ্রীর মান যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী হলে আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ যেমন হয়, তেমনি রাষ্ট্রের অর্থেরও অপচয় হয়। রাস্তা নির্মাণ স্থায়ী ও টেকসই করার জন্য বিটুমিনের বদলে কংক্রিট ব্যবহার করার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দেরও সচেতন হতে হবে, তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী চৌরাস্তা থেকে কালিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে বলে জানা গেছে। চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায়ই কার্পেটিং উঠে গেছে। সেখানে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এসব খান-খন্দে পানি জমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীসাধারণ ও বিভিন্ন যানবাহন চালকদের। প্রায়ই গাড়ি উল্টে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, রাস্তাটি পূর্বে গ্রামীণ মাটির রাস্তা ছিল। তিন বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পাকা করে। রাস্তাটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই স্থানীয়দের চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তা ছাড়া রাজগাতী ও মুশুল্লী ইউনিয়নসহ কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণের উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি।
জানা গেছে, ভারী যানবাহন চলাচল করায় রাস্তার বিভিন্ন জায়গা দেবে গিয়ে গর্ত ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপর পানি জমে পিচ উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামীণ এ রাস্তাটি ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে বা ভারী যানবহন চলাচলে দেশের অনেক রাস্তা-সড়ক-মহাসড়ক এবং সেতুই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অনেক জায়গায়ই যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। যেমনটা হয়নি নান্দাইলের এই রাস্তায়।
রাস্তাটি তিন বছর আগে নির্মাণ করা হলেও এর মান কেমন ছিল, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, উন্নত মানের বিটুমিন ব্যবহার করলে ভারী বৃষ্টিতেও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কথা নয়। দেশে রাস্তা বা সড়ক নির্মাণে পদে পদে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে। দুদকের অনুসন্ধানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ, কাজ শেষ হওয়ার আগে বিল প্রদান, টেন্ডার নিয়ে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ ও নজরদারির দুর্বলতা বিশেষভাবে শনাক্ত করা হয়।
জনসাধারণের চলাচলের গুরুত্ব বিবেচনা করে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। রাস্তা সংস্কারে নির্মাণসামগ্রীর মান যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী হলে আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার আগেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ যেমন হয়, তেমনি রাষ্ট্রের অর্থেরও অপচয় হয়। রাস্তা নির্মাণ স্থায়ী ও টেকসই করার জন্য বিটুমিনের বদলে কংক্রিট ব্যবহার করার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা যেতে পারে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে গ্রামীণ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয়দেরও সচেতন হতে হবে, তাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।