দেশে বনের আয়তন দিন দিন কমছেই। মানুষের বসতি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে বন সংকুচিত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। বনের আকার ছোট হওয়ার কারণে বন্যপ্রাণীদের জগৎ ছোট হয়ে গেছে। তাদের থাকার-খাবারের সংকট প্রকট হচ্ছে।
বনে খাবারের অভাবে বন্যপ্রাণীদের প্রায়ই লোকালয়ে আসতে দেখা যায়। লোকালয়েও গাছপালা অপ্রতুল। এক শ্রেণীর অসহিষ্ণু মানুষের কারণে লোকালয়ে এসব প্রাণী সুবিধা করতে পারে না। সরকার অবশ্য কোন কোন এলাকায় বন্যপ্রাণীদের খাবারের জোগান দেয়। তবে এক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাদারীপুরে বানরের খাবার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বানরের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ঠিকমতো দেয়া হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, পর্যাপ্ত খাবার পায় না বলেই এই প্রাণীর দল স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে হানা দিচ্ছে। অনেক বানর অপুষ্টিতে ভুগছে। মাদারীপুরে তাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বানরের খাবার নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আমরা আশা করি। অভিযোগ শুধু মুখে অস্বীকার করাই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। সেখানকার বানরের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার যেন যথাযথভাবে যথাস্থানে সরবরাহ করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। খাবারের বরাদ্দ বাড়ানো যায় কিনা সেটা যাচাই করে দেখা দরকার।
দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বনভূমি সম্প্রসারণ করার কাজ সময়সাপেক্ষ হলেও সেটা করতে হবে। বনভূমি বিস্তৃত হলে খাবারের খোঁজে প্রাণীদের লোকালয়ে আসতে হবে না। বনের ভেতরে প্রাণীদের যেন মানুষের অত্যাচার সইতে না হয় সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। বনবিধ্বংসী কার্যক্রম থেকে মানুষকে নিবৃত্ত থাকতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, বনভূমি ধ্বংস করে প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না।
লোকালয়েও গাছ লাগানো জরুরি। শুধু মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে অর্থকরী গাছ লাগালে চলবে না। গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের অন্যদের কথাও ভাবতে হবে। প্রকৃতিতে সবার সহাবস্থান নিশ্চিত করা না গেল এর ভারসাম্য নষ্ট হবে। যেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।
শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশে বনের আয়তন দিন দিন কমছেই। মানুষের বসতি বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে বন সংকুচিত হওয়ার যোগসূত্র রয়েছে। বনের আকার ছোট হওয়ার কারণে বন্যপ্রাণীদের জগৎ ছোট হয়ে গেছে। তাদের থাকার-খাবারের সংকট প্রকট হচ্ছে।
বনে খাবারের অভাবে বন্যপ্রাণীদের প্রায়ই লোকালয়ে আসতে দেখা যায়। লোকালয়েও গাছপালা অপ্রতুল। এক শ্রেণীর অসহিষ্ণু মানুষের কারণে লোকালয়ে এসব প্রাণী সুবিধা করতে পারে না। সরকার অবশ্য কোন কোন এলাকায় বন্যপ্রাণীদের খাবারের জোগান দেয়। তবে এক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
মাদারীপুরে বানরের খাবার নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বানরের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার ঠিকমতো দেয়া হয় কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, পর্যাপ্ত খাবার পায় না বলেই এই প্রাণীর দল স্থানীয়দের ঘরবাড়িতে হানা দিচ্ছে। অনেক বানর অপুষ্টিতে ভুগছে। মাদারীপুরে তাদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বানরের খাবার নিয়ে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে আমরা আশা করি। অভিযোগ শুধু মুখে অস্বীকার করাই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করা উচিত। সেখানকার বানরের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার যেন যথাযথভাবে যথাস্থানে সরবরাহ করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। খাবারের বরাদ্দ বাড়ানো যায় কিনা সেটা যাচাই করে দেখা দরকার।
দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। বনভূমি সম্প্রসারণ করার কাজ সময়সাপেক্ষ হলেও সেটা করতে হবে। বনভূমি বিস্তৃত হলে খাবারের খোঁজে প্রাণীদের লোকালয়ে আসতে হবে না। বনের ভেতরে প্রাণীদের যেন মানুষের অত্যাচার সইতে না হয় সেটাও নিশ্চিত করা দরকার। বনবিধ্বংসী কার্যক্রম থেকে মানুষকে নিবৃত্ত থাকতে হবে। তাদের বুঝতে হবে যে, বনভূমি ধ্বংস করে প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না।
লোকালয়েও গাছ লাগানো জরুরি। শুধু মানুষের স্বার্থ বিবেচনা করে অর্থকরী গাছ লাগালে চলবে না। গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে প্রাণিকুলের অন্যদের কথাও ভাবতে হবে। প্রকৃতিতে সবার সহাবস্থান নিশ্চিত করা না গেল এর ভারসাম্য নষ্ট হবে। যেটা কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।