alt

সম্পাদকীয়

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

: রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্র প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চান না। শান্তিই তাদের আরাধ্য। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনো যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোর মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন, ঘর-বাড়ি হারাচ্ছেন অনেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে লাখো মানুষকে বেছে নিতে হচ্ছে শরণার্থীর জীবন।

যুদ্ধ শুধু বিবদমান দেশগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এর মন্দ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কম-বেশি পুরো বিশ্বেই পড়েছে। তাদের যুদ্ধের খেসারত শুধু ইউরোপকেই দিতে হচ্ছে না, বাংলাদেশের মানুষকেও এর মাশুল গুনতে হচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।

আমরা যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব দেখতে চাই। মানবতার বিজয় হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। যুদ্ধে টেকসই কোন সমাধান মেলে না। অতীতে আমরা দেখেছি যে, ইরাক বা আফগানিস্তান যুদ্ধে কোন সমাধান মেলেনি।

দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। তবে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা হলে সমাধান মিলতে পারে, শান্তির পথ সুগম হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে। বাকি বিশ্বকে এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। যুদ্ধকে জিইয়ে রাখা বা এতে ইন্ধন দেয়া কাম্য নয়। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিগুলো যে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে সুফল মেলেনি। বরং মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হয়েছে।

মানুষ যুদ্ধ চান না, শান্তি চান। মানুষের শান্তির আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। বিশ্বনেতাদের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করতে হবে। সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের কাজ করতে হবে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

রোববার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ত্র প্রতিযোগিতা, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ যুদ্ধ চান না। শান্তিই তাদের আরাধ্য। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের নানা প্রান্তে এখনো যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলোর মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বহু মানুষ হতাহত হচ্ছেন, ঘর-বাড়ি হারাচ্ছেন অনেকে। মাতৃভূমি ছেড়ে লাখো মানুষকে বেছে নিতে হচ্ছে শরণার্থীর জীবন।

যুদ্ধ শুধু বিবদমান দেশগুলোকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না। বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলেও এর মন্দ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কম-বেশি পুরো বিশ্বেই পড়েছে। তাদের যুদ্ধের খেসারত শুধু ইউরোপকেই দিতে হচ্ছে না, বাংলাদেশের মানুষকেও এর মাশুল গুনতে হচ্ছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে দেশে দেশে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা।

আমরা যুদ্ধমুক্ত বিশ্ব দেখতে চাই। মানবতার বিজয় হোক সেটাই আমাদের চাওয়া। যুদ্ধে টেকসই কোন সমাধান মেলে না। অতীতে আমরা দেখেছি যে, ইরাক বা আফগানিস্তান যুদ্ধে কোন সমাধান মেলেনি।

দেশগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। তবে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করা হলে সমাধান মিলতে পারে, শান্তির পথ সুগম হতে পারে। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়কেই আলোচনায় বসতে হবে। বাকি বিশ্বকে এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। যুদ্ধকে জিইয়ে রাখা বা এতে ইন্ধন দেয়া কাম্য নয়। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পরাশক্তিগুলো যে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে সুফল মেলেনি। বরং মানুষের কষ্ট দীর্ঘায়িত হয়েছে।

মানুষ যুদ্ধ চান না, শান্তি চান। মানুষের শান্তির আকাঙ্ক্ষা চিরন্তন। বিশ্বনেতাদের মানুষের এই আকাঙ্ক্ষাকে উপলব্ধি করতে হবে। সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের কাজ করতে হবে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে শান্তি প্রতিষ্ঠার যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে আমাদের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।

back to top