পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বরদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে উৎসব হচ্ছিল। শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় চড়ে যাচ্ছিলেন সেই মন্দিরে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। করতোয়া নদীতে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে তীর্থযাত্রীদের অনেকে মারা গেছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছেন ৪০ জনের বেশি আর নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
তীর্থযাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের মর্ম স্পর্শ করেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সন্ধান মিলবে সেই প্রত্যাশা করি। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
নৌকাটি ডুবেছে ওই উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায়। সেখানে করতোয়া নদীর গভীরতা বেশি নয়। যদিও বৃষ্টির প্রভাবে গত কয়েকদিনে উজানের ঢলে নদীতে পানি বেড়েছে। তবে নদীটির স্রোত তেমন তীব্র নয়। মোটামুটি শান্ত একটি নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল কীভাবে আর এতো মানুষইবা কেন মারা গেল সেই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠেছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিতে না পেরেই সেটি ডুবেছে। যাত্রীদের মধ্যে যারা সাঁতার জানতেন তাদের অনেকেই নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। নয়তো মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। নদীতে ডুবে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
দেশে এখন ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবহার বেড়েছে। স্বল্প দূরত্বের নৌপথে অনেক যাত্রীই ট্রলারে যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রলারের নিবন্ধন বা অনুমোদনের কোন ব্যবস্থা আছে বলে আমাদের জানা নেই। ট্রলারগুলো চলাচলের উপযোগী কিনা, এর চালকদের দক্ষতা-সক্ষমতা কতটুকু সেটা জানবার উপায় নেই।
এই নৌযান ব্যবহারে যাত্রীসাধারণের মধ্যেও সচেতনতার ঘাটতি আছে। ট্রলার চালকরা যেমন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে, তেমনি যাত্রীরাও ঝুঁঁকি নিয়ে তাতে চড়ে বসেন। যে কারণে দেশে প্রায়ই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে হতাহতও হন।
ইঞ্জিনচালিত নৌযান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। এগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। তাতে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হতে পারে।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় বরদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া উপলক্ষে উৎসব হচ্ছিল। শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় চড়ে যাচ্ছিলেন সেই মন্দিরে। কিন্তু তাদের কেউই সেখানে পৌঁছাতে পারেননি। করতোয়া নদীতে নৌকাটি উল্টে যায়। এতে তীর্থযাত্রীদের অনেকে মারা গেছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মারা গেছেন ৪০ জনের বেশি আর নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
তীর্থযাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যু আমাদের মর্ম স্পর্শ করেছে। নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। এখনও যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের সন্ধান মিলবে সেই প্রত্যাশা করি। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
নৌকাটি ডুবেছে ওই উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাট এলাকায়। সেখানে করতোয়া নদীর গভীরতা বেশি নয়। যদিও বৃষ্টির প্রভাবে গত কয়েকদিনে উজানের ঢলে নদীতে পানি বেড়েছে। তবে নদীটির স্রোত তেমন তীব্র নয়। মোটামুটি শান্ত একটি নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটল কীভাবে আর এতো মানুষইবা কেন মারা গেল সেই প্রশ্ন উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, নৌকাটিতে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী উঠেছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ নিতে না পেরেই সেটি ডুবেছে। যাত্রীদের মধ্যে যারা সাঁতার জানতেন তাদের অনেকেই নদী সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। নয়তো মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারত। নদীতে ডুবে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
দেশে এখন ইঞ্জিনচালিত নৌকার ব্যবহার বেড়েছে। স্বল্প দূরত্বের নৌপথে অনেক যাত্রীই ট্রলারে যাতায়াত করেন। কিন্তু ট্রলারের নিবন্ধন বা অনুমোদনের কোন ব্যবস্থা আছে বলে আমাদের জানা নেই। ট্রলারগুলো চলাচলের উপযোগী কিনা, এর চালকদের দক্ষতা-সক্ষমতা কতটুকু সেটা জানবার উপায় নেই।
এই নৌযান ব্যবহারে যাত্রীসাধারণের মধ্যেও সচেতনতার ঘাটতি আছে। ট্রলার চালকরা যেমন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে, তেমনি যাত্রীরাও ঝুঁঁকি নিয়ে তাতে চড়ে বসেন। যে কারণে দেশে প্রায়ই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে হতাহতও হন।
ইঞ্জিনচালিত নৌযান নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগী হতে হবে। এগুলোকে একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। তাতে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানো সম্ভব হতে পারে।