সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যচক্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে বনের পরিবেশ। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বন বিভাগ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পাস-পারমিট নিয়ে বনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকায় মাছ ধরতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সেখানে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল। বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে তাদের বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
বনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে আদালত। কিন্তু জেলে নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারী এই নিকৃষ্ট কাজ করেই চলেছে। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই তারা এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেখানকার অন্যান্য জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে পড়ছে।
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। অপরাধ প্রমাণ করে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।
মাছ শিকারের জন্য দৃষ্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। এগুলো সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয়, সেটা নিশ্চিত করা দরকার।
সোমবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার প্রবণতা বন্ধ হয়নি। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে সংশ্লিষ্ট জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। খাদ্যচক্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে বিপন্ন হচ্ছে বনের পরিবেশ। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তারও করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত মঙ্গলবার সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে বন বিভাগ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্তদের সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা পাস-পারমিট নিয়ে বনের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া ভেরি খাল এলাকায় মাছ ধরতে যায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা সেখানে বিষ দিয়ে মাছ ধরছিল। বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়ে তাদের বিষসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
বনের অভ্যন্তরের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ আহরণকে ‘অত্যন্ত নিকৃষ্ট’ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে আদালত। কিন্তু জেলে নামধারী এক শ্রেণীর দুষ্কৃতকারী এই নিকৃষ্ট কাজ করেই চলেছে। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই তারা এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে সুন্দরবনের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে কমতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেখানকার অন্যান্য জলজ প্রাণীও হুমকির মুখে পড়ছে।
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করা হলেও বনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না, সেটা একটা প্রশ্ন। শুধু অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। সুষ্ঠু তদন্ত করে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। অপরাধ প্রমাণ করে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে।
মাছ শিকারের জন্য দৃষ্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। এগুলো সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয়, সেটা নিশ্চিত করা দরকার।