alt

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

: মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানকার বদ্ধ ভবানি এলাকায় ৩০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের প্রায় এক একর কেটে ফেলেছে স্থানীয় একটি চক্র। এ ছাড়া বদ্ধ ঝিলতলি, কয়লা ও সোনাইছড়ি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িঘরের পাশে বা বসতির পাদদেশের পাহাড়ও কাটছে চক্রটি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার অভিযোগ নতুন নয়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। অতীতে পাহাড়-টিলা ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না।

দেশে পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না পাহাড়-টিলা কাটা।

বাস্তবে আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে পাহাড়-টিলা-বন কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চক্রের মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বা পরিবেশ আদালতে মামলা করেই যেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ। পাহাড় ধ্বংসকারীদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও যে তাদের রয়েছে, এ কথা তারা বেমালুম ভুলে যান।

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বংসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানকার বদ্ধ ভবানি এলাকায় ৩০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের প্রায় এক একর কেটে ফেলেছে স্থানীয় একটি চক্র। এ ছাড়া বদ্ধ ঝিলতলি, কয়লা ও সোনাইছড়ি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িঘরের পাশে বা বসতির পাদদেশের পাহাড়ও কাটছে চক্রটি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার অভিযোগ নতুন নয়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। অতীতে পাহাড়-টিলা ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না।

দেশে পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না পাহাড়-টিলা কাটা।

বাস্তবে আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে পাহাড়-টিলা-বন কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চক্রের মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বা পরিবেশ আদালতে মামলা করেই যেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ। পাহাড় ধ্বংসকারীদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও যে তাদের রয়েছে, এ কথা তারা বেমালুম ভুলে যান।

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বংসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।

back to top