চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানকার বদ্ধ ভবানি এলাকায় ৩০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের প্রায় এক একর কেটে ফেলেছে স্থানীয় একটি চক্র। এ ছাড়া বদ্ধ ঝিলতলি, কয়লা ও সোনাইছড়ি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িঘরের পাশে বা বসতির পাদদেশের পাহাড়ও কাটছে চক্রটি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার অভিযোগ নতুন নয়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। অতীতে পাহাড়-টিলা ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না।
দেশে পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না পাহাড়-টিলা কাটা।
বাস্তবে আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে পাহাড়-টিলা-বন কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চক্রের মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বা পরিবেশ আদালতে মামলা করেই যেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ। পাহাড় ধ্বংসকারীদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও যে তাদের রয়েছে, এ কথা তারা বেমালুম ভুলে যান।
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বংসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।
মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানকার বদ্ধ ভবানি এলাকায় ৩০ ফুট উঁচু একটি পাহাড়ের প্রায় এক একর কেটে ফেলেছে স্থানীয় একটি চক্র। এ ছাড়া বদ্ধ ঝিলতলি, কয়লা ও সোনাইছড়ি এলাকায় বিভিন্ন বাড়িঘরের পাশে বা বসতির পাদদেশের পাহাড়ও কাটছে চক্রটি। এ নিয়ে গত রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার অভিযোগ নতুন নয়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা। অতীতে পাহাড়-টিলা ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না।
দেশে পাহাড়-টিলা সুরক্ষায় আইন রয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ৬ (খ) ধারা অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না পাহাড়-টিলা কাটা।
বাস্তবে আইনের প্রয়োগ খুব একটা চোখে পড়ে না। মাঝেমধ্যে পাহাড়-টিলা-বন কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু চক্রের মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বা পরিবেশ আদালতে মামলা করেই যেন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব শেষ। পাহাড় ধ্বংসকারীদের আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্বও যে তাদের রয়েছে, এ কথা তারা বেমালুম ভুলে যান।
মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধ্বংসকারী চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।