দেশের নদ-নদী দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবাই নানাভাবে দূষণ ঘটাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না হলে নদীটি অচিরেই ভরাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক্ষ অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত করছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা নানা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের কোন কথাই শোনে না। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। ঢাকার আশপাশের নদ-নদী দূষণের জন্য ওয়াসার এমডি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কারাদন্ড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তার অভিযোগ, রাজধানীর মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪৫ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসা এসব মানববর্জ্য শোধন করছে না। সংস্থাটিকে তিনি এক নম্বর দূষণকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
দায়িত্বশীলরা যদি নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল না করে তবে পরিস্থিতি বদলাবে না। তাদের দখল-দূষণ বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকলে দেশের নদ-নদী রক্ষা করা যাবে না।
সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে। মানুষ সচেতন না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদীদূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে।
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
দেশের নদ-নদী দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবাই নানাভাবে দূষণ ঘটাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না হলে নদীটি অচিরেই ভরাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক্ষ অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত করছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা নানা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের কোন কথাই শোনে না। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। ঢাকার আশপাশের নদ-নদী দূষণের জন্য ওয়াসার এমডি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কারাদন্ড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তার অভিযোগ, রাজধানীর মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪৫ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসা এসব মানববর্জ্য শোধন করছে না। সংস্থাটিকে তিনি এক নম্বর দূষণকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
দায়িত্বশীলরা যদি নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল না করে তবে পরিস্থিতি বদলাবে না। তাদের দখল-দূষণ বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকলে দেশের নদ-নদী রক্ষা করা যাবে না।
সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে। মানুষ সচেতন না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদীদূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে।