কেরানীগঞ্জে ব্যাপকহারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বাল্যবিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি তিন শতাধিক বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। আর এ বাল্যবিয়ে বাড়ার মূলে স্থানীয় বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা একাধিক সহকারীর মাধ্যমে নকল জন্মসনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।
একটি মেয়েশিশুর অকালে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার কারণ বাল্যবিয়ে। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।
বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। যেমনটা অস্বীকার করছেন কেরানীগঞ্জের বিয়ে নিবন্ধকরা। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কাগজপত্র যে জাল-জালিয়াতি করে বানানো হয় এবং এ কাজে তারাও সহায়তা করেন- সেটা স্বীকার করতে চান না। এটা কোন দায়ত্বশীলতার পরিচয় হতে পারে না।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা আইনে ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
কেরানীগঞ্জে ব্যাপকহারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বাল্যবিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি তিন শতাধিক বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। আর এ বাল্যবিয়ে বাড়ার মূলে স্থানীয় বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা একাধিক সহকারীর মাধ্যমে নকল জন্মসনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।
একটি মেয়েশিশুর অকালে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার কারণ বাল্যবিয়ে। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।
বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। যেমনটা অস্বীকার করছেন কেরানীগঞ্জের বিয়ে নিবন্ধকরা। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কাগজপত্র যে জাল-জালিয়াতি করে বানানো হয় এবং এ কাজে তারাও সহায়তা করেন- সেটা স্বীকার করতে চান না। এটা কোন দায়ত্বশীলতার পরিচয় হতে পারে না।
বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা আইনে ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।