alt

সম্পাদকীয়

মুহিবুল্লাহ হত্যার সুষ্ঠু বিচার করা জরুরি

: শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২

পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনির নির্দেশে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রেপ্তার আসামিরাও এ বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধরার জবানবন্দি দিয়েছে। তারপরও আরসাপ্রধানের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আরসাপ্রধানের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঠিকানা না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আরও ছয় আসামিকে।

মুহিবুল্লাহ হত্যার পর এক বছর পেরিয়েছে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কার্যালয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করায় তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

আলোচিত হত্যা মামলাটির বিচার শুরু হয়েছে। হত্যা মামলার সাক্ষ্য নেয়ার শুরু হবে দ্রুতই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১৪ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতা হত্যার বিচার হওয়া নানা কারণেই জরুরি। এটা শুধু তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়ার সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসের অবসান ঘটানোর জন্যও এই বিচার হওয়া জরুরি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে ক্যাম্পগুলোতে অপতৎপরতা চালানো বিভিন্ন অশুভ গোষ্ঠীকে একটি বার্তা দেয়া যেত। কিন্তু মুহিবুল্লাহ হত্যার মূল নির্দেশদাতাকেই যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলে ক্যাম্পে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়মিতই হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে অনেকে মারাও যাচ্ছে। গত এক বছরে ক্যাম্পগুলোতে ২৭টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সাত ব্যক্তি কেন বাদ পড়ল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, বাদ পড়া ব্যক্তিদের ঠিকানা শনাক্ত করা যায়নি। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, এসব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাদ দেয়ার পেছনে কোন একটি গোষ্ঠীর লাভালাভের সম্পর্ক থাকতে পারে। আমরা বলতে চাই, এই অভিযোগ আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মুহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িত কেউ যেন পার পেয়ে না যায়, সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

tab

সম্পাদকীয়

মুহিবুল্লাহ হত্যার সুষ্ঠু বিচার করা জরুরি

শনিবার, ০১ অক্টোবর ২০২২

পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার ওরফে জুনুনির নির্দেশে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার গ্রেপ্তার আসামিরাও এ বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধরার জবানবন্দি দিয়েছে। তারপরও আরসাপ্রধানের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আরসাপ্রধানের ঠিকানা পাওয়া যায়নি। ঠিকানা না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয়া হয়েছে আরও ছয় আসামিকে।

মুহিবুল্লাহ হত্যার পর এক বছর পেরিয়েছে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের কার্যালয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মায়ানমারে প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করায় তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

আলোচিত হত্যা মামলাটির বিচার শুরু হয়েছে। হত্যা মামলার সাক্ষ্য নেয়ার শুরু হবে দ্রুতই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, হত্যার অভিযোগে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ১৪ আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

রোহিঙ্গা নেতা হত্যার বিচার হওয়া নানা কারণেই জরুরি। এটা শুধু তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেয়ার সঙ্গেই সম্পৃক্ত নয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসের অবসান ঘটানোর জন্যও এই বিচার হওয়া জরুরি। বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা গেলে ক্যাম্পগুলোতে অপতৎপরতা চালানো বিভিন্ন অশুভ গোষ্ঠীকে একটি বার্তা দেয়া যেত। কিন্তু মুহিবুল্লাহ হত্যার মূল নির্দেশদাতাকেই যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এই উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। মূলহোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলে ক্যাম্পে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়মিতই হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে অনেকে মারাও যাচ্ছে। গত এক বছরে ক্যাম্পগুলোতে ২৭টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত সাত ব্যক্তি কেন বাদ পড়ল, সেই প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন যে, বাদ পড়া ব্যক্তিদের ঠিকানা শনাক্ত করা যায়নি। তবে অভিযোগ উঠেছে যে, এসব অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাদ দেয়ার পেছনে কোন একটি গোষ্ঠীর লাভালাভের সম্পর্ক থাকতে পারে। আমরা বলতে চাই, এই অভিযোগ আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মুহিবুল্লাহ হত্যার সঙ্গে জড়িত কেউ যেন পার পেয়ে না যায়, সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

back to top