কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গত শুক্রবার দুজন পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে তারা আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকদ্বয় বাংলাদেশের নাগরিক।
দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম মূল আকর্ষণ কক্সবাজার। শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও এর আবেদন রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিকমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে সেটাই কাম্য। কিন্তু সেখানে প্রায়ই পর্যটকদের নানা অপরাধের শিকার হতে হয়। ছিনতাই বা চুরির ঘটনার কথা গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হয়। অতীতে সেখানে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
আনন্দময় অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে মানুষ সমুদ্রসৈকতে যায়। ঘুরতে গিয়ে কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হতে চান না। কোন অপরাধের শিকার হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সহায়তা বা চিকিৎসা সেবাও যদি না মেলে তবে পর্যটকদের হতাশার শেষ থাকে না।
কক্সবাজারে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কেমন তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণের আগ্রহ হারাবেন। এর প্রভাব পড়বে গোটা পর্যটন শিল্পের ওপর।
কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে। ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের লোকবল যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারে এমনও দিন আছে যেদিন লাখো মানুষের ঢল নামে। এত মানুষের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে মাত্র কয়েকশ। তাদের তৎপরতা প্রধানত সৈকত ঘিরেই। সৈকতের বাইরেও যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল করতে হয় সেসব স্থানেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়া চলবে না।
পর্যটন এলাকায় ছিনতাইকারী, বখাটেদের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গত শুক্রবার দুজন পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে তারা আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকদ্বয় বাংলাদেশের নাগরিক।
দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম মূল আকর্ষণ কক্সবাজার। শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও এর আবেদন রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিকমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে সেটাই কাম্য। কিন্তু সেখানে প্রায়ই পর্যটকদের নানা অপরাধের শিকার হতে হয়। ছিনতাই বা চুরির ঘটনার কথা গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হয়। অতীতে সেখানে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।
আনন্দময় অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে মানুষ সমুদ্রসৈকতে যায়। ঘুরতে গিয়ে কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হতে চান না। কোন অপরাধের শিকার হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সহায়তা বা চিকিৎসা সেবাও যদি না মেলে তবে পর্যটকদের হতাশার শেষ থাকে না।
কক্সবাজারে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কেমন তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণের আগ্রহ হারাবেন। এর প্রভাব পড়বে গোটা পর্যটন শিল্পের ওপর।
কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে। ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের লোকবল যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারে এমনও দিন আছে যেদিন লাখো মানুষের ঢল নামে। এত মানুষের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে মাত্র কয়েকশ। তাদের তৎপরতা প্রধানত সৈকত ঘিরেই। সৈকতের বাইরেও যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল করতে হয় সেসব স্থানেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়া চলবে না।
পর্যটন এলাকায় ছিনতাইকারী, বখাটেদের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।