alt

সম্পাদকীয়

পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় নয়

: রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গত শুক্রবার দুজন পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে তারা আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকদ্বয় বাংলাদেশের নাগরিক।

দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম মূল আকর্ষণ কক্সবাজার। শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও এর আবেদন রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিকমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে সেটাই কাম্য। কিন্তু সেখানে প্রায়ই পর্যটকদের নানা অপরাধের শিকার হতে হয়। ছিনতাই বা চুরির ঘটনার কথা গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হয়। অতীতে সেখানে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

আনন্দময় অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে মানুষ সমুদ্রসৈকতে যায়। ঘুরতে গিয়ে কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হতে চান না। কোন অপরাধের শিকার হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সহায়তা বা চিকিৎসা সেবাও যদি না মেলে তবে পর্যটকদের হতাশার শেষ থাকে না।

কক্সবাজারে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কেমন তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণের আগ্রহ হারাবেন। এর প্রভাব পড়বে গোটা পর্যটন শিল্পের ওপর।

কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে। ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের লোকবল যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারে এমনও দিন আছে যেদিন লাখো মানুষের ঢল নামে। এত মানুষের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে মাত্র কয়েকশ। তাদের তৎপরতা প্রধানত সৈকত ঘিরেই। সৈকতের বাইরেও যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল করতে হয় সেসব স্থানেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

পর্যটন এলাকায় ছিনতাইকারী, বখাটেদের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

tab

সম্পাদকীয়

পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় নয়

রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সিগাল পয়েন্টে গত শুক্রবার দুজন পর্যটক ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। সেসময় ছিনতাইকারীদের ছুরির আঘাতে তারা আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা নিতে গিয়ে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকদ্বয় বাংলাদেশের নাগরিক।

দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম মূল আকর্ষণ কক্সবাজার। শুধু দেশের মানুষের কাছেই নয়, বিদেশি পর্যটকদের কাছেও এর আবেদন রয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিকমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে সেটাই কাম্য। কিন্তু সেখানে প্রায়ই পর্যটকদের নানা অপরাধের শিকার হতে হয়। ছিনতাই বা চুরির ঘটনার কথা গণমাধ্যমে মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হয়। অতীতে সেখানে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগও পাওয়া গেছে।

আনন্দময় অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে মানুষ সমুদ্রসৈকতে যায়। ঘুরতে গিয়ে কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হতে চান না। কোন অপরাধের শিকার হওয়ার পর প্রয়োজনীয় সহায়তা বা চিকিৎসা সেবাও যদি না মেলে তবে পর্যটকদের হতাশার শেষ থাকে না।

কক্সবাজারে যদি পর্যটকরা অনিরাপদ হয় তাহলে দেশের অন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর অবস্থা কেমন তা সহজেই অনুমান করা যায়। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকলে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভ্রমণের আগ্রহ হারাবেন। এর প্রভাব পড়বে গোটা পর্যটন শিল্পের ওপর।

কক্সবাজারসহ দেশের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে, কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা বাড়াতে হবে। ভ্রমণকালে পর্যটকরা যাতে কোন বিপদে না পড়ে বা পড়লেও যাতে সাহায্য চাইতে পারে সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের লোকবল যথেষ্ট নয় বলে অভিযোগ রয়েছে। কক্সবাজারে এমনও দিন আছে যেদিন লাখো মানুষের ঢল নামে। এত মানুষের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ রয়েছে মাত্র কয়েকশ। তাদের তৎপরতা প্রধানত সৈকত ঘিরেই। সৈকতের বাইরেও যেসব স্থানে পর্যটকদের চলাচল করতে হয় সেসব স্থানেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় কোন ছাড় দেয়া চলবে না।

পর্যটন এলাকায় ছিনতাইকারী, বখাটেদের অপতৎপরতা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

back to top