দেশে জমি কমছে কিন্তু খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহারই হয় বেশি। সমস্যা হচ্ছে নির্বিচারে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে জমির উর্বরতা শক্তি ও জৈবিক উপাদান কমে যায়। যার ফলে একপর্যায়ে ফসলের ফলন কমে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ে বিরূপ প্রভাব।
আশার কথা হচ্ছে- রাসায়নিক সারের বিকল্প রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টের কথা বলা যায়। কেঁচো সার ব্যবহার করা হলে ফসলের উৎপাদন ও জমির উর্বরতা দুই-ই বাড়ে। এতে রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদন করা যায়। তুলনামূলক কম খরচের কারণে লাভবান হন কৃষক।
কেঁচো সার তৈরি করে অনেক প্রান্তিক চাষীও লাভবান হচ্ছেন। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কয়েকশ প্রান্তিক চাষি। এর মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে সচ্ছলতা।
ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা দেশে রয়েছে। সহজলভ্য উপাদান দিয়ে অল্প পুঁজিতেই সার উৎপাদন করা যায়। কৃষকরা নিজেরাই তাদের উৎপাদিত সার ব্যবহার করতে পারেন আবার অন্যদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন।
কেঁচো সার উৎপাদন বা ব্যবহারে বহুমাত্রিক সুবিধা মেলে। দেশে এর ব্যবহার বাড়ুক সেটাই আমাদের চাওয়া। যেসব কৃষক এখনো এই সার ব্যবহার করছেন না তাদের এর উপকারিতা সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তাদের এর ব্যবহারে উৎসাহী করতে হবে।
কেঁচো সারের গুণগতমান উন্নয়নে দেশে গবেষণা হচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। এখন জরুরি হচ্ছে, সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। সার উৎপাদনে যদিও বড় পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তবে প্রান্তিক দরিদ্র অনেক মানুষের পক্ষে অল্প পুঁজিও হয়তো সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার।
সোমবার, ০৩ অক্টোবর ২০২২
দেশে জমি কমছে কিন্তু খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহারই হয় বেশি। সমস্যা হচ্ছে নির্বিচারে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে জমির উর্বরতা শক্তি ও জৈবিক উপাদান কমে যায়। যার ফলে একপর্যায়ে ফসলের ফলন কমে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ে বিরূপ প্রভাব।
আশার কথা হচ্ছে- রাসায়নিক সারের বিকল্প রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টের কথা বলা যায়। কেঁচো সার ব্যবহার করা হলে ফসলের উৎপাদন ও জমির উর্বরতা দুই-ই বাড়ে। এতে রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদন করা যায়। তুলনামূলক কম খরচের কারণে লাভবান হন কৃষক।
কেঁচো সার তৈরি করে অনেক প্রান্তিক চাষীও লাভবান হচ্ছেন। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কয়েকশ প্রান্তিক চাষি। এর মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে সচ্ছলতা।
ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা দেশে রয়েছে। সহজলভ্য উপাদান দিয়ে অল্প পুঁজিতেই সার উৎপাদন করা যায়। কৃষকরা নিজেরাই তাদের উৎপাদিত সার ব্যবহার করতে পারেন আবার অন্যদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন।
কেঁচো সার উৎপাদন বা ব্যবহারে বহুমাত্রিক সুবিধা মেলে। দেশে এর ব্যবহার বাড়ুক সেটাই আমাদের চাওয়া। যেসব কৃষক এখনো এই সার ব্যবহার করছেন না তাদের এর উপকারিতা সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তাদের এর ব্যবহারে উৎসাহী করতে হবে।
কেঁচো সারের গুণগতমান উন্নয়নে দেশে গবেষণা হচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। এখন জরুরি হচ্ছে, সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। সার উৎপাদনে যদিও বড় পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তবে প্রান্তিক দরিদ্র অনেক মানুষের পক্ষে অল্প পুঁজিও হয়তো সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার।