বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে পারছে না চার হাজারেরও বেশি পরিবার। আঙুলের ছাপ না মেলায় গত দুই মাস ধরে তারা চাল কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। চাল নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনলাইন ডাটাবেজে সুবিধাভোগীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নামের মিল নেই। তাই তথ্যের গরমিল হওয়ায় জটিলতায় পড়েছেন তারা। যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে নভেম্বর থেকে চাল পাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সঠিক যাচাই করে তালিকা সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ বাদ পড়লে পুনরায় তদন্ত করে দেখা হবে।
ডিলাররা ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফিঙ্গার মেশিন ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। একাধিকবার টেকনিশিয়ান আসলেও কাজ হচ্ছে না। চাল নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকেই।
আঙুলের ছাপ মিলিয়ে চাল দেয়ার পদ্ধতিটি প্রশংসাযোগ্য। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া কার্ডধারীরা একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবে না। তবে এখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে বা কোন কারণে যদি মেশিনে আঙুলের ছাপ না মিলে তাহলে উপকারভোগীরা কি বঞ্চিত হবে? চাল কিনতে তাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হবে?
নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে যেসব পরিবার গত দুই মাস ধরে চাল পাচ্ছে না তাদের সংকটময় পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। কারণ তারা এ চালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।
আমরা বলতে চাই, হয় পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত করতে হবে; না হয় খুব দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল পায়। তাছাড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটিও খতিয়ে দেখতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে পারছে না চার হাজারেরও বেশি পরিবার। আঙুলের ছাপ না মেলায় গত দুই মাস ধরে তারা চাল কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। চাল নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনলাইন ডাটাবেজে সুবিধাভোগীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নামের মিল নেই। তাই তথ্যের গরমিল হওয়ায় জটিলতায় পড়েছেন তারা। যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে নভেম্বর থেকে চাল পাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সঠিক যাচাই করে তালিকা সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ বাদ পড়লে পুনরায় তদন্ত করে দেখা হবে।
ডিলাররা ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফিঙ্গার মেশিন ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। একাধিকবার টেকনিশিয়ান আসলেও কাজ হচ্ছে না। চাল নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকেই।
আঙুলের ছাপ মিলিয়ে চাল দেয়ার পদ্ধতিটি প্রশংসাযোগ্য। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া কার্ডধারীরা একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবে না। তবে এখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে বা কোন কারণে যদি মেশিনে আঙুলের ছাপ না মিলে তাহলে উপকারভোগীরা কি বঞ্চিত হবে? চাল কিনতে তাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হবে?
নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে যেসব পরিবার গত দুই মাস ধরে চাল পাচ্ছে না তাদের সংকটময় পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। কারণ তারা এ চালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।
আমরা বলতে চাই, হয় পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত করতে হবে; না হয় খুব দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল পায়। তাছাড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটিও খতিয়ে দেখতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।