alt

সম্পাদকীয়

সমাজের মানসে শেকড় গেড়ে বসা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে

: শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষার একটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্নে দেশের একজন সাহিত্যিককে হেয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘এমন প্রশ্নপত্র কারা করেছেন, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।” প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে চিহ্নিত করছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়া বা কোন ব্যক্তি মানুষকে হেয় করা হয়েছে, সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। প্রশ্নপত্রে যেন কোন সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য না থাকে, সে জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সময়ই লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানা যায়। এমন নির্দেশনার পরও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ প্রশ্ন করা হলো এবং সেটা পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে পরীক্ষা গ্রহণের আগপর্যন্ত কোন স্তরে বিষয়টি ধরা পড়ল না কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রশ্নপত্রের একজন মডারেটর গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রশ্ন থাকলে তা সংশোধন করে দেয়া হয়, অথবা কেটে নতুন প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। কিন্তু কীভাবে প্রশ্নটি রয়ে গেল, তা বুঝতে পারছি না।’

আমরা বলতে চাই, সমাজে সাম্প্রদায়িকতার শেকড় কত গভীরে প্রোথিত হলে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেখেও বুঝতে পারেন না যে কোনটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত আর কোনটা ব্যক্তি আক্রমণ।

‘বিতর্কিত প্রশ্ন’ তৈরির অভিযোগে ইতোমধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নকর্তা ও চার মডারেটরকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে সরকার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হয়তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে করা প্রশ্নপত্রে একজন সাহিত্যককে হেয় করার ঘটনায়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজের মানসে শেকড় গেড়ে বসা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

tab

সম্পাদকীয়

সমাজের মানসে শেকড় গেড়ে বসা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে

শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্নে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এখন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় বাংলা-২ (সৃজনশীল) পরীক্ষার একটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্নে দেশের একজন সাহিত্যিককে হেয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ‘এমন প্রশ্নপত্র কারা করেছেন, তা চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।” প্রশ্নপত্র প্রণয়নকারী ও মডারেটরকে চিহ্নিত করছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে নাকি অনিচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষার প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়া বা কোন ব্যক্তি মানুষকে হেয় করা হয়েছে, সেটা খুঁজে দেখা জরুরি। প্রশ্নপত্রে যেন কোন সাম্প্রদায়িক ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য না থাকে, সে জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সময়ই লিখিত নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানা যায়। এমন নির্দেশনার পরও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপূর্ণ প্রশ্ন করা হলো এবং সেটা পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছেছে। প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে পরীক্ষা গ্রহণের আগপর্যন্ত কোন স্তরে বিষয়টি ধরা পড়ল না কেন, সেটা একটা প্রশ্ন।

প্রশ্নপত্রের একজন মডারেটর গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রশ্ন থাকলে তা সংশোধন করে দেয়া হয়, অথবা কেটে নতুন প্রশ্ন সংযোজন করা হয়। কিন্তু কীভাবে প্রশ্নটি রয়ে গেল, তা বুঝতে পারছি না।’

আমরা বলতে চাই, সমাজে সাম্প্রদায়িকতার শেকড় কত গভীরে প্রোথিত হলে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেখেও বুঝতে পারেন না যে কোনটা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত আর কোনটা ব্যক্তি আক্রমণ।

‘বিতর্কিত প্রশ্ন’ তৈরির অভিযোগে ইতোমধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নকর্তা ও চার মডারেটরকে চিহ্নিত করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে সরকার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হয়তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াও হবে। পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে করা প্রশ্নপত্রে একজন সাহিত্যককে হেয় করার ঘটনায়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আমরা আশা করি। প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজের মানসে শেকড় গেড়ে বসা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

back to top